Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ওমানের সুলতান কাবুস ছিলেন সকলের প্রকৃত বন্ধু : ট্রাম্প

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ জানুয়ারি, ২০২০, ২:৪৭ পিএম

আধুনিক ওমানের প্রতিষ্ঠায় যার সবচেয়ে বেশি অবদান তিনি হলেন দেশটির প্রয়াত সুলতান কাবুস বিন সাইদ আল সাইদ। তার মৃত্যুতে ওমানে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এদিকে, প্রয়াত এই সুলতানের মৃত্যুতে সমবেদনা প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
সুলতান কাবুসকে একজন প্রকৃত বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, তিনি ছিলেন আমেরিকান বন্ধু। তিনি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করে গেছেন।
এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘমেয়াদে ক্ষমতাসীন এই নেতা তার দেশে উন্নতি, শান্তি ও সমৃদ্ধ নিয়ে এসেছেন। তিনি ছিলেন সবার বন্ধু।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, সুলতাব কাবুস ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের একজন প্রকৃত সঙ্গী এবং সবার বন্ধু। নয়জন মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কাজ করেছেন এই সুলতান।
তিনি সাবেক আরব উপদ্বীপটিকে একটি পশ্চাৎপদ অবস্থা থেকে আধুনিক রাষ্ট্রে রূপ দিয়েছিলেন। নিজের সালতানাতকে তিনি যেমন আঞ্চলিক উত্তেজনা থেকে দূরে রাখছিলেন, তেমনি মধ্যস্থতাকারী হিসেবেও তার চাহিদা ছিল।
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন অবিবাহিত। ব্যক্তিগতভাবে নিজের কোনো উত্তরাধিকার রেখে যাননি। যদিও আধুনিক আরব বিশ্বের দীর্ঘ সময়ের শাসক ছিলেন তিনি।
১৯৪০ সালের ১৮ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন কাবুস। দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রাদেশিক রাজধানী সালালাহে কয়েক বছরের পুরনো আল-সাঈদ রাজপরিবারে তার জন্ম। -খবর এএফপির
বয়স্ক ওমানিরা বলছেন, রাজধানী মাস্কাটে তখন কোনো বিদ্যুৎ কিংবা পয়োঃনিষ্কাষণ ছিল না। শহরের মধ্যযুগীয় ফটকগুলো সন্ধ্যার পরপরেই বন্ধ করে দেয়া হত।
পড়াশোনার জন্য ব্রিটেনে পাঠানো হয় তরুণ কাবুসকে। স্যান্ডহাস্ট রয়েল সামরিক অ্যাকাডেমি থেকে ১৯৬২ সালে স্নাতক ডিগ্রি নেন তিনি। পরে ব্রিটিশ পদাতিক বাহিনীতে যোগ দিয়ে জার্মানিতে চলে যান।
১৯৭০ সালের ২৩ জুলাই প্রাসাদ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাবাকে সিংহাসনচ্যুত করে দেশের এক নতুন যুগের প্রতিশ্রæতি দেন।
হরমুজ প্রণালীর তীরে ও দুই চিরবৈরী ইরান-সৌদি আরবের মাঝে কৌশলগত অবস্থানে ওমান। কিন্তু দুই দেশের সঙ্গেই ভালো সম্পর্ক ছিল কাবুসের। ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্কের কারণে পশ্চিমা ও আরব কূটনীতিকদের মধ্যমণিতে পরিণত হয়েছিল মাস্কাট। ২০১৫ সালে পরমাণু চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে নেপথ্য যোগাযোগে ভূমিকা রেখেছে ওমান।
এছাড়া সৌদি আরব ছাড়াও আরব উপসাগরীয় বাকি ছয় দেশের সঙ্গে কাবুসের ভালো সম্পর্ক ছিল। তবে কোনো হস্তক্ষেপ করা যাবে না, এই নীতিতে তিনি অটল ছিলেন।
২০১৫ সালে ইয়েমেনের বিরুদ্ধে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটে অংশ নেয়নি ওমান। এতে নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে ইয়েমেনে যুদ্ধরত বিভিন্ন গোষ্ঠীদের মধ্যে বন্দিবিনিময়ে সহায়তা করতে পেরেছেন কাবুস।
ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ সামরিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে দেশটি। ২০১৮ সালের অক্টোবরে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করেন কাবুস। এতে দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ নিয়ে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল।
২০১১ সালের আরব বসন্তেও তাকে খুবই কম বিক্ষোভের মুখোমুখি হতে হয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগ মন্ত্রীদের বরখাস্ত করেই সেই অবস্থা মোকাবেলায় সক্ষম হন তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ট্রাম্প


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ