Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আজ আখেরি মোনাজাত

ত্যাগের মহিমায় অতিবাহিত দ্বিতীয় দিন

মো. দেলোয়ার হোসেন ও মো. হেদায়েত উল্লাহ | প্রকাশের সময় : ১২ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০০ এএম

বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় দিনে প্রতি ওয়াক্ত নামাজ শেষে সমবেত মুসল্লিদের উদ্দেশে পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে বিশ্ব তাবলীগ জামাতের শীর্ষ ওলামায়ে কেরামের জ্ঞানগর্ভ বয়ান, তাশকিল, তালিম, মুসল্লিদের তাসবীহ তাহলিল ও ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে অতিবাহিত হয়েছে। মহান আল্লাহকে রাজি খুশি করতে দেশ বিদেশ হতে আগত লাখ লাখ মুসল্লি কনকনে শীত, তীব্র পানি সঙ্কট, ময়দানের মূল প্যান্ডেলে জায়গা না পেয়ে খোলা মাঠ, ফুটপাথ ও অলিগলিতে বিছানা পেতে ইবাদত বন্দেগিতে মশগুল থাকতে দেখা গেছে। আজ দুপুরের আগে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে ‘আলমি শুরা’ (বিশ্ব পরামর্শ সভা) আয়োজিত প্রথম পর্বের ৩ দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমা।

গতকাল ইজতেমার দ্বিতীয় দিনে বাদ ফজর থেকে বয়ান করেন ভারতের মাওলানা আব্দুর রহমান। সকাল ১০টা থেকে আলেম ওলামাদের উদ্দেশে বিশেষ বয়ান করেন ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা ও মাওলানা আহমদ লাট। আরবীয় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বিশেষ বয়ান করেন মাওলানা আকবর শরীফ। বাদ জোহর সমবেত মুসল্লিদের উদ্দেশে আম বয়ান করেন মাওলানা ইসমাইল গোধরা। বাদ আসর ও বাদ মাগরিব আম বয়ান করেন মাওলানা জোহায়রুল হাসান ও মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা। আজ বাদ ফজর মাওলানা জিয়াউল হকের আম বয়ান এবং মাওলানা আহমদ দেওলার হেদায়েতি বয়ান শেষে সকাল ১১টার দিকে বাংলাদেশের হাফেজ মাওলানা যোবায়ের আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন বলে ইজতেমা আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

ইজতেমা ময়দানে জায়গা না পেয়ে রাস্তায় মুসল্লিদের অবস্থান
গতকাল ইজতেমার দ্বিতীয় দিনে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের ১৬০ একর আয়তনের সুবিশাল প্যান্ডেলের কোথাও ঠাঁই নেই অবস্থা। লাখো মুসল্লির পদভারে ইজতেমা ময়দান যেন জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। মূল প্যান্ডেল তথা ময়দানের কোথাও ঠাঁই না পেয়ে মুসল্লিদের উপচে পড়া ভীড় আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ইজতেমা ময়দান ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় মুসল্লিদের কনকনে শীত উপেক্ষা করে রাস্তায় পাটি বিছিয়ে শুতে দেখা দেছে এবং রাতে এই রিপোর্ট লেখার সময়ও ইজতেমা অভিমুখী জনস্রোত অব্যাহত ছিল।

ইজতেমা ময়দানের উত্তর প্রান্তে অলিম্পিয়া স্কুল সংলগ্ন সড়কের ফুটপাতে অবস্থান নেয়া তাবলীগ জামাতের সাথী ষাটোর্ধ্ব বয়সের ইসমাইল হোসেনের সাথে কথা হয়। তিনি জানান, তারা ২৩ জনের জামাত নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি থেকে এসেছেন। ইজতেমার মাঠে তাদের নির্ধারিত খিত্তায় জায়গা না পেয়ে এখানে এসে আশ্রয় নিয়েছেন।

আশরাফ সেতু সড়কে অবস্থান নেয়া নওগাঁর বদরগাজী থানা থেকে আগত তাবলীগ জামাতের সাথী বৃদ্ধ আব্দুল খালেক জানান, তাদের ১৯ জনের একটি জামাত গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ইজতেমা ময়দানে এসে পৌঁছান। তাদের জন্য ময়দানের ৩৪ নম্বর খিত্তার ১৭ নম্বর খুঁটি নির্ধারিত ছিল। কিন্তু তারা নির্ধারিত ওই স্থানে গিয়ে বসা বা শোয়া তো দূরের কথা দাঁড়ানোর জায়গাও পাননি। অবশেষে তারা সড়কের ফুটপাতে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। আরো পরে আসলে ফুটপাতেও ঠাঁই হতো না বলে জানান তিনি। ফুটপাতে তারা যেখানে অবস্থান করছেন এর পেছনেই ইজতেমার ১০ নম্বর তিন তলা টয়লেট ভবন। টয়লেটের দুর্গন্ধ সহ্য করেই তাদেরকে বহু কষ্টে ফুটপাতে অবস্থান করতে হচ্ছে। সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ থেকে আসা সুলতান উদ্দিন জানান, তাদের এলাকা থেকে ৬৫ জনের একটি জামাত বুধবার রাত ১০টায় ইজতেমায় আসে। নির্ধারিত খিত্তায় স্থান সংকুলান না হওয়ায় অবশেষে তারা ফুটপাতে তাবু বিছিয়ে অবস্থান করছেন।

এবারের ইজতেমায় রেকর্ড সংখ্যক মুসল্লি অংশগ্রহণ করায় মূল ইজতেমা ময়দান ছাড়িয়ে সড়ক-মহাসড়কের আশপাশে এবং ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছেন হাজার হাজার মুসল্লি। প্রচন্ড শীত ও কনকনে হিমেল হাওয়া উপেক্ষা করে বয়ান শুনছেন তারা।

আলমি শুরার (বিশ্ব পরামর্শ সভা) তত্ত্বাবধানে ২ পর্বের ইজতেমা দাবি
বিশ্ব ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়ক মুফতি জহির ইবনে মুসলিম জানান, আলমে শুরার (বিশ্ব পরামর্শ সভা) তত্ত্বাবধানে আয়োজিত প্রথম ৩ দিনের এই বিশ্ব ইজতেমায় যে বিপুল পরিমাণ লোক সমাগম হয়েছে তাতে আগামীতে আমাদেরকেই দুই পর্বে ইজতেমা আয়োজনের অনুমতি প্রদানের জন্য সরকারের নিকট দাবি থাকবে। অর্ধশতাধিক দেশের দুই হাজার বিদেশি মেহমান ইজতেমা ময়দানে উপস্থিত হয়েছেন বলে তিনি জানান।

মুসল্লিদের স্রোত অব্যাহত
আজ প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাতে শরিক হতে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে মুসল্লিদের টঙ্গীমুখী স্রোত অব্যাহত রয়েছে। গতকাল সকাল থেকে বাস, ট্রেন, লঞ্চসহ বিভিন্ন যানবাহনে ও পায়ে হেঁটে মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকায় অবস্থান নিচ্ছেন। আজ ভোর রাত হতে আখেরি মোনাজাতের পূর্ব পর্যন্ত এই স্রোত আরো তীব্র হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে বিশেষ ট্রেন সার্ভিসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া সব আন্তঃনগর এক্সপ্রেস ট্রেন টঙ্গীতে যাত্রাবিরতি করবে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে। ইজতেমার সার্বিক নিরাপত্তায় সাড়ে ৮ হাজার পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। তবে মুসল্লিদের সমাগম বেশি হওয়ায় বাইরে অবস্থানরত হাজার হাজার মুসল্লি ভোগান্তিতে পড়েছেন। এছাড়া ওজু, গোসলসহ দৈনন্দিন কাজে তাদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আগত সহস্রাধিক বিদেশি মেহমানের আরামদায়ক অবস্থান ও চাহিদা অনুযায়ী মেহমানদারি করা হচ্ছে। বিদেশি নিবাসে কোনো ধরনের সমস্যা যেন না হয় সে জন্য সব সময় ইজতেমার মুরব্বিদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে।

আখেরি মোনাজাতের সময় যেসব সড়ক বন্ধ থাকবে
ইজতেমায় আগত মুসল্লি এবং আখেরি মোনাজত অংশ নেয়া মুসল্লিদের বাড়ি ফেরা নির্বিঘœ করতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ গাজীপুরে সড়ক-মহাসড়কে ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করবে। আখেরি মোনাজাতের জন্য থাকবে আলাদা ট্রাফিক ব্যবস্থা।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. আনোয়ার হোসেন জানান, আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে লাখ লাখ মুসল্লি ইজতেমাস্থলে আসেন। এর জন্য বিশেষ ট্রাফিক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। গতকাল মধ্যরাত হতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুর চৌরাস্তায় ঢাকামুখী, ঢাকা বাইপাস সড়কের ভোগড়ায়, শাখারোড বোর্ডবাজার, মীরেরবাজার থেকে আসা প্রত্যেকটি সড়ক ক্রসিং বন্ধ করে দেয়া হয়। যাতে কোন গাড়ি ইজতেমাস্থলের দিকে ঢুকতে না পারে।

গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস. এম. তরিকুল ইসলাম জানান, আজ ভোর রাত থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের এয়ারপোর্ট থেকে জয়দবেপুর চৌরাস্তা, ঢাকা-সিলেট সড়কের গাজীপুর সদরের মীরের বাজার থেকে টঙ্গী ও আব্দুল্লাহপুর-আশুলিয়া সড়কের আব্দুল্লাহপুর থেকে বাইপাস সড়ক পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ থাকবে।

তীব্র পানি সঙ্কটে মুসল্লিদের সীমাহীন ভোগান্তি
ইজতেমা ময়দানে গত শুক্রবার সকাল ১১টা থেকে তীব্র পানি সঙ্কট চলছে। ময়দানে পানি না পেয়ে মুসল্লিরা অজু, গোসল, রান্না ও পয়ঃনিষ্কাষণে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। পানির সন্ধানে মুসল্লিরা ময়দান থেকে আশপাশের এলাকায় ছুটছেন। ইজতেমার শুরুর দিন শুক্রবার সকাল ১১টার পর থেকে ময়দানে পানির সঙ্কট শুরু হয়। পানির অভাবে অনেকে অজু-গোসল করতে পারেননি। টয়লেট ভবনগুলোতে পানি না থাকায় শৌচ কাজ সারতে মুসল্লিরা আশপাশের এলাকার মসজিদ, মাদরাসা, বাসা, বাড়ির টয়লেট আবার কেউ খোলা জায়গায় প্রয়োজন সারছেন। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের গাজীপুর কার্যালয় এবং গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন থেকে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের পানি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আনিসুর রহমান জানান, ময়দানে একটি পাম্পে সমস্যা হয়েছে, তাই পানি সরবরাহে সাময়িক অসুবিধা হচ্ছে। অপরদিকে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কর্মকর্তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ইজতেমা ময়দানে একযোগে ১৩টি গভীর নলক‚পের সাহায্যে একটানা ২৪ ঘণ্টা পানি উত্তোলন করায় ভ‚গর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। ফলে পাম্পগুলো পুরোদমে পানি উত্তোলন করতে পারছে না। এ কারণে ময়দানে পানি সরবরাহ কমে গেছে।

এদিকে গাজীপুর সিটি মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম এক ব্রিফিংয়ে বলেন, আমাদের সরবরাহ সামর্থ্যরে অনেক বেশি পানি এবার মাঠে ব্যবহার হচ্ছে। ইজতেমায় এবার অধিক মুসল্লির সমাগম হওয়ায় অপ্রত্যাশিতভাবে পানির চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। ময়দানে আমাদের ১৩টি গভীর নলক‚প একযোগে পানি সরবরাহ করেও এই অতিরিক্ত চাহিদা মেটাতে পারছে না। ফলে আমরা সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব ও দমকল বাহিনীর গাড়ি দিয়ে বাহির থেকে পানি এনে ময়দানের চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করছি। পাশাপাশি আমাদের পাম্পগুলোও সার্বক্ষণিক সচল রাখার প্রাণান্ত চেষ্টা করছি।

বিদেশি মুসল্লিদের অংশগ্রহণ
ইজতেমার প্রথম পর্বে সউদী আরব, সংযুক্ত আরব-আমিরাত, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, চাঁদ, ইথিওপিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, পাকিস্থান, রাশিয়া, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ আফ্রিকা, স্পেন, সুইজারল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, কাজাখস্তান, খিরগিজস্থান, মালয়েশিয়া, মরক্কো, নেপাল, কেনিয়া, কুয়েত, কাতার, বাহরাইন, জর্দান, দুবাইসহ বিশ্বের ৬১টি দেশের প্রায় ১ হাজার ৯শ’ বিদেশি মুসল্লি ইজতেমায় অংশ নিয়েছেন। বিভিন্ন ভাষা-ভাষী ও মহাদেশ অনুসারে ইজতেমা ময়দানে বিদেশি মেহমানদের ভিন্ন ভিন্ন তাবু নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে তাদের জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

যৌতুকবিহীন বিয়ে
মোহরে ফাতেমি মেনে তাবলীগের রেওয়াজ অনুযায়ী ইজতেমার দ্বিতীয় দিন গতকাল বাদ আসর ইজতেমার বয়ান মঞ্চের পাশেই যৌতুকবিহীন বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। কনের সম্মতিতে বর ও উভয়পক্ষের লোকজনের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয় এ বিয়ে। গত বৃহস্পতিবার ইজতেমা শুরুর আগের দিন থেকেই অভিভাবকরা বর ও কনের নাম তালিকাভুক্ত করেন। বিয়ের পর বয়ান মঞ্চ থেকে মোনাজাতের মাধ্যমে নব দম্পতিদের সুখ-সমৃদ্ধিময় জীবন কামনা করা হয় এবং মঞ্চের আশেপাশের মুসুল্লিদের মাঝে খোরমা খেজুর দিয়ে মিষ্টিমুখ করানো হয়। ইজতেমার ১ম পবের্র ২য় দিন আসর নামাজের আগে ওই যৌতুকবিহীন বিয়ের জন্য ১০১ জনের নাম তালিকাভ‚ক্ত হয়। বিয়েতে মোহরানা ধার্য করা হয় ‘মোহরে ফাতেমি’র নিয়মানুযায়ী। এ নিয়ম অনুযায়ী মোহরানার পরিমাণ ধরা হয় দেড়শ’ তোলা রুপা বা উহার সমমূল্য অর্থ (১ লাখ ৫ হাজার টাকা)।

ইজতেমায় ৯ মুসল্লির মৃত্যু
শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত আরও পাঁচ মুসল্লি ইন্তেকাল করেন। এ নিয়ে এবারের ইজতেমায় যোগ দিতে আসা ৯ মুসল্লি ইন্তেকাল করেন।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়, শুক্রবার রাতে কুমিল্লার দেবিদ্বার থানার ডিমলা গ্রামের আবদুস সোবহানের ছেলে তমিজ উদ্দিন (৬৫), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থানার তোল্লা গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে শাহজাহান (৬০), বরিশালের গৌরনদী থানার খালিজপুর গ্রামের হাতেম আলী বয়াতীর ছেলে আলী আজগর (৭০), নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার দক্ষিণ কলাবাগান গ্রামের ওসমান গণির ছেলে ইউসুফ মেম্বার (৪৫) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এছাড়া শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজশাহীর চারঘাট থানার বনকির গ্রামের রহিম উদ্দিনের ছেলে আবদুর রাজ্জাক (৫০) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান।



 

Show all comments
  • Md Abu Rayhan ১২ জানুয়ারি, ২০২০, ১:০২ এএম says : 0
    আল্লাহ এই ইসতেমাকে কবুল করুন সারা বিশ্বের আলেম সমাজকে কবুল করুনএবং সারা বিশ্বের মসলিমকে কবুল করুনএবং মাফ করুন
    Total Reply(0) Reply
  • কে এম শাকীর ১২ জানুয়ারি, ২০২০, ১:০২ এএম says : 0
    সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলি এখানে জুবায়ের পন্থী না বলি, জুবায়ের পন্থী বলতে কোন শব্দ নাই, আমরা শুধু জুবায়ের সাহেব কে মানি না বরং গোটা আলেম সমাজকে মানি, আপনি আলেম পন্থী অথবা সুরা পন্থী বলতে পারেন। Mind your language
    Total Reply(0) Reply
  • Hamza Chowdhury ১২ জানুয়ারি, ২০২০, ১:০৩ এএম says : 0
    ,নামাজ বেহেস্তের চাবি | মরার আগে সবাই এই চাবি নেয়ার চেষ্টা করুন | অন্যথায় তালা খোলার কোনো উপায় থাকবে না | তখন তালা বিহীন জহান্নামে খুব সহজেই চলে যেতে পারেন |||
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammad Ullah ১২ জানুয়ারি, ২০২০, ১:০৪ এএম says : 0
    এ এজতেমার পর্ব নেই।এটাই এজতেমা।এরপরে এখানে কোন সমাগম হলে ওটা এজতেমা নয়। 6
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ আনোয়ার আলী ১২ জানুয়ারি, ২০২০, ৬:৫১ এএম says : 0
    গত শুক্রবার ইজতেমায় জুমার নামাজে অংশগ্রহণ করতে পেরে আত্মতৃপ্তি পাচ্ছি। হায় আল্লাহ! সকলের মেহনতকে কবূল করুন। এবং সারা দেশে ইসলামি পরিবেশ তৈরি করতে সকলকে তৌফিক দান করূন।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিশ্ব ইজতেমা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ