নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে দল হিসেবে ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। ৮ ম্যাচে ৩টিতে জিতে দেশে ফেরে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। দলের পাশাপাশি অধিনায়ক নিজেও পারফর্ম করতে পারেননি। ৮ ম্যাচে নিয়েছিলেন মাত্র একটি উইকেট। বিশ্বকাপে এমন পারফর্ম করার পর ওয়ানডে স্কোয়াডে জায়গা পাওয়ার ব্যাপারে আশা করেন না ওয়ানডে দলপতি।
ওয়ানডে দলে ফেরা বা না ফেরার বিষয়টি সম্প‚র্ণ নির্বাচকদের ওপর ছেঁড়ে দিয়েছেন মাশরাফি। বিশ্বকাপের এমন পারফরম্যান্স করার পর তার জায়গায় অন্য কেউ থাকলে আরও আগেই বাদ পড়তো বলে জানান ওয়ানডে দলপতি। তাই এই পারফরম্যান্সের পর ওয়ানডে দলে ফের সুযোগ পাওয়ার কথা বলতে চাইছেন না ডানহাতি এই পেসার। গতকাল ঢাকা প্লাটুনের এই অধিনায়ক সংবাদ সম্মেলনে এসে বলেন, ‘৮ ম্যাচে ১ উইকেট পাওয়ার পর আমি আশা করি না যে আমাকে স্কোয়াডে নেয়া হবে। সত্যি বলছি। এটা নির্বাচকদের ব্যাপার। নির্বাচকরা যদি মনে করে আমাকে সুযোগ দেবে আমি আমার সর্বোচ্চটা চেষ্টা করবো। কিন্তু এই মুহ‚র্তে ৮ ম্যাচে ১ উইকেট পেয়ে আপনাদের সামনে কিভাবে বলি যে আমি জাতীয় দলে সুযোগ পাবো। আমার জায়গায় অন্য কেউ হলে তো আরও আগে বাদ পড়ত।’
বিশ্বকাপের পর শ্রীলংকা সিরিজে খেলার কথা ছিল মাশরাফির। কিন্তু চোটের কারণে সেই সিরিজে যাওয়া হয়নি ডানহাতি এই পেসারের। লম্বা সময় ধরে আছেন মাঠের বাইরে। তাই তখন যে সুযোগ এসেছিলো এটা সামনে নাও আসতে পারে মনে মন্তব্য করেছেন ওয়ানডে দলপতি।
নির্বাচকরা যদি সুযোগ দেন তাহলে অবশ্যই দেশের জন্য কলার উঁচু করেই মাঠে নামবেন মাশরাফি, ‘শ্রীলংকা সিরিজে ছিলাম হয়তো আমার ফিরে আসার একটা সুযোগ ছিলো। তারপরে আবার একটা বিরতি এসেছে। ওই সিরিজে সাকিবও ছিল না। তো সব কিছু মিলেছিলো। হয়তোবা একটা সুযোগ আমার এসেছিলো। এরপরে তো খেলার ভিতর আমি নেই। আমি তো জানি না নির্বাচকদের কি চিন্তা ভাবনা আছে। আমার সাথে আলোচনা হয়নি। এরপরেও তো খেলোয়াড়দের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আমার সঙ্গে কারও কোনো কথা হয়নি। এমি এরপরে একপক্ষ থেকে কিভাবে বলবো। একজন খেলোয়াড় হিসেবে যেভাবে চিন্তা করা উচিৎ আমি সেভাবেই করছি। খেলছি। উপভোগ করছি। যদি ওয়ানডে আসে আর উনারা মনে করে আমার খেলা উচিৎ। অবশ্যই আমি আছি। দিন শেষে আমার কাছে ক্রিকেটটাই সব।’
অনিশ্চয়তার দোলাচলে থাকা পাকিস্তান সফর নিয়ে নিজের মত জানাতে গিয়ে ওয়ানডে অধিনায়খ বলেন, ‘সুযোগ থাকলে আমি নিশ্চিত যেতাম। তবে অবশ্যই পরিবারের মতামত নিয়ে।’ অনেকেই এই সফর নিয়ে ভিন্নমত পোষ করেছেন। তাদের প্রসঙ্গে ওয়ানডে অধিনায়কের মন্তব্য, ‘এটার মানে এই না যে যারা যেতে চায় না বা যাবে না তারা ভুল। অবশ্যই খেলার চাইতে জীবন অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ব্যক্তিগত চাহিদা সবার থেকে গুরুত্বপূর্ণ, যে বুঝবে যে আমি যেতে কিংবা চাই না- অবশ্যই তাদের মতামতকে সম্মান দিতে হবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।