Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে যুবলীগের হামলা, বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুর

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ জানুয়ারি, ২০২০, ৭:২৮ পিএম

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় হামলা চালিয়েছে যুবলীগের একটি গ্রুপ। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, পুলিশ সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে দুটি প্রাইভেট গাড়ি।

শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা ভাণ্ডারী মহল এলাকায় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। যুবলীগের নেতাকর্মীরা হামলার সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুর ও অবমাননা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।


আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানান, সকালে ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে উপজেলা আওয়ামী লীগ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভুঁইয়া। এসময় উপজেলা যুব লীগের একটি মিছিল বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের র্যালি নিয়ে যাওয়ার পথে আওয়ামী লীগের সভাস্থলে প্রবেশ করে হামলা করে। পুলিশ মিছিলের সামনে থাকলেও তারা বাধা দিয়ে ব্যর্থ হয়। এসময় ছবি তুলতে গিয়ে আ: মমিন গাজী নামে এক সাংবাদিক হামলার শিকার হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টার সময় এএসআই মঞ্জুর আলম, এএসআই দিদার হোসেন ও কনস্টেবল রাশেদ আহত হয়।


এছাড়াও যুবলীগের লাঠি হামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা সুলতান আহমেদ রিপন, যুব লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মহিউদ্দিন ইরান, আওয়ামী লীগ নেতা নুর হোসেন, মোবাশ্বেরা বেগম, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইলিয়াছ বেগ, সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের সভা চলাকালে যুব লীগের নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। তারা বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবিসহ আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে জাতির পিতা ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি অবমাননা মেনে নেয়া যায় না।


সাবেক এমপি ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভুঁইয়া বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের অনুষ্ঠানে হামলার ঘটনা ন্যক্কারজনক। পুলিশের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ।

উপজেলা যুব লীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হেলাল উদ্দিন জানান, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের অনুষ্ঠানে বর্তমান এমপি সফিকুর রহমান, উপজেলা যুব লীগসহ কাউকেই দায়াত দেয়া হয়নি। তাছাড়া র্যালি নিয়ে যাওয়ার সময় তাদের মিছিলে ইট মারায় ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে নেতাকর্মীরা সেখানে প্রবেশ করে।

ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রকিব বলেন, যুবলীগের মিছিলটি পুলিশ বেষ্টনীর মধ্যে থাকলেও তারা বেষ্টনি ভেদ করে হামলা চালায়। পুলিশ চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়।

ফরিদগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিউলী হরি জানান, আজকের এ আনন্দময় দিনে এ ধরনের ঘটনা কাম্য নয়। সংবাদ পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছি।



 

Show all comments
  • ** হতদরিদ্র দীনমজুর কহে ** ১০ জানুয়ারি, ২০২০, ৮:৫৬ পিএম says : 0
    যারা বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর করেছে তারা কখনোই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হতে পারেনা।এরা হীনস্বার্থ চরিতার্থ করতে ই নোংড়া রাজনীতি করে থাকে।এরা দেশের শত্রু দলের শত্রু।এদের কারনেই দলের বদনাম হয়।এদের দল থেকে বাইরে রাখুন।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ