পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩৫তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার এ উপলক্ষে শেখ হাসিনার সুন্দর জীবন ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দেশব্যাপী দোয়া, মিলাদ মাহফিল, শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের পর দীর্ঘ প্রবাস জীবন কাটিয়ে ১৯৮১ সালের এই দিনে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বদেশে আসেন। সারা দেশের লাখো মানুষ তাকে স্বাগত জানায়। সবার ভালোবাসায় সিক্ত হন বঙ্গবন্ধুকন্যা।
দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভা মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। দলের সভাপতিম-লীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের সভাপতিত্বে সভায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিম-লীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব ইল আলম হানিফ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। আলোচনা সভা ছাড়াও দলীয়ভাবে আওয়ামী লীগ অন্যান্য কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
এছাড়া, আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন যুবলীগ শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ৭ দিনব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। শিল্পকলা একাডেমিতে এ কর্মসূচি গত সোমবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে।
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদের কনফারেন্স রুমে ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা ও মুক্তিযুদ্ধেও চেতনা’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে।
এদিকে দেশের খ্যাতনামা আলেম-ওলামাদের নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার মঙ্গল ও দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল করেছে আওয়ামী ওলামা লীগ। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা দেলোওয়ার হোসেনের পরিচালনায় মোনাজাত করেন সংগঠনের সভাপতি মাওলানা ইলিয়াছ হোসাইন বিন হেলালী। শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও দেশ-জাতির কল্যাণ কামনা করে বিশেষ দোয়া মাহফিলে অংশ নেয় প্রায় দুই শতাধিক আলেম-ওলামাগণ।
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ডেমরায় এতিম-পথশিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ করেছেন ঢাকা-৫ আসনের এমপি হাবিুর রহমান মোল্লা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান মোল্লা সজল, আওয়ামী লীগ নেতা মো. জামালউদ্দিন পাটোয়ারিসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে ছাত্রলীগের আনন্দ র্যালি
এদিকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩৫তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আনন্দ র্যালি করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে এ আনন্দ র্যালি শুরু হয়। র্যালিটি বিশ^বিদ্যালয়ের কলাভবন, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, টিএসসি ও শাহবাগ হয়ে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) রাজু ভাস্কর্যের সামনে এসে শেষ হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোবারক হোসাইন, ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান, সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স, ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আব্দুল বাছেদ গালিব, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক লালন, সাংগঠনিক শরিফুল ইসলাম ফারুক, দপ্তর সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন শাহাজাদা, মহানগর উত্তরের সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রহমান, দক্ষিণের সভাপতি বায়েজিদ আহমেদ খান, ছাত্রলীগ নেতা সৈয়দ আরাফাত, গোলাম মোস্তফাসহ কেন্দ্রীয় ও বিশ^বিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের নেতৃবৃন্দ।
শোভাযাত্রায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী অংশ নেন।
স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্রদ্ধা
অপরদিকে, শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে জাতির জনকের ম্যূরালে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়। গতকাল সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ব্লকের নিচে এ ম্যুরালে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বাঁচলে, বাংলাদেশ বাঁচবে। আর বাংলাদেশ বাঁচলে, আমরা বাঁচবো। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে রক্ষা করা, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা, বাঙালির ঐহিত্য ও সংস্কৃতিকে রক্ষা করা, গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করাসহ অসাম্প্রদায়িক ও উন্নত বাংরাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প নেই।
এ সময় উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. শহীদুল্লাহ সিকদার, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. এএসএম জাকারিয়া, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আলী আসগর মোড়ল, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলালসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের পর দীর্ঘ প্রবাস জীবন কাটিয়ে ১৯৮১ সালের এই দিনে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বদেশ ফিরে আসেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে হত্যা করা হলেও দেশের বাইরে থাকায় বেঁচে যান তার দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। দেশের বাইরে অবস্থানকালে ১৯৮১ সালের ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি তিন দিনব্যাপী আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলে শেখ হাসিনা দলের সভানেত্রী নির্বাচিত হন। পরে ভারত থেকে তিনি দেশে ফিরে আসেন। দিনটিকে আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস হিসেবে পালন করে থাকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।