Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তেহরান বিধ্বস্ত বিমানের ব্ল্যাক বক্স ফেরত দেবে না

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:২৬ পিএম
১৭৬ জন যাত্রী নিয়ে বিধ্বস্ত হওয়া ইউক্রেনগামী বিমানের উদ্ধারকৃত বø্যাক বক্স বোয়িং বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করবে না ইরান। বৈশ্বিক বিমান বিধিমালার অধীনে, এই ঘটনার তদন্তে নেতৃত্ব দেওয়ার অধিকার ইরানের রয়েছে বলে দাবি করছে দেশটি। খবর বিবিসি'র।
ইরানের রক্ষণশীল মেহের সংবাদ সংস্থায় প্রকাশিত বক্তব্যে ইরানের সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের (সিএও) প্রধান আলী আবেদজাদেহ বলেছেন, আমরা বø্যাক বক্সটি বিমানটির প্রস্ততকারক সংস্থা বোয়িং অথবা যুক্তরাষ্ট্রকে দেবো না। এই দুর্ঘটনাটি ইরানের বিমান সংস্থা তদন্ত করবে, তবে ইউক্রেনীয়রাও উপস্থিত থাকতে পারে বলে জানান আবেদজাদেহ।
বিমান দুর্ঘটনার ঘটনায় নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সাধারণত তদন্তে যুক্ত থাকে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, বিশ্বের মাত্র কয়েকটি দেশই বø্যাক বক্সগুলো বিশ্লেষণ করতে সক্ষম। তবে কোন দেশ যে এই বø্যাক বক্সগুলো বিশ্লেষণ করবে এটি এখনও পরিষ্কার নয় বলে ইরানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
এদিকে বোয়িং বলছে যে, তারা যে কোনও প্রয়োজনে সহায়তা দিতে প্রস্তুত। এদিকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন যে, তার দেশ তদন্তে ভূমিকা রাখতে চায় এবং এজন্য তিনি প্রযুক্তিগত সহায়তারও প্রস্তাব দিয়েছেন।
গত ৮ জানুয়ারি (বুধবার) ইউক্রেনীয় বোয়িং ৭৩৭-৮০০ তেহরানের বিমানবন্দর ছেড়ে যাওয়ার ঠিক কয়েক মিনিটের মধ্যে বিধ্বস্ত হয়ে যায়। ওই ঘটনায় বিমানটিতে থাকা সকল আরোহী নিহত হন। বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে তার ধ্বংসাবশেষ থেকে উদ্ধারকৃত বø্যাক বক্স ফ্লাইট রেকর্ডারটি বিমানের প্রস্ততকারক সংস্থা বোয়িং বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করবে না ইরান।
ইউক্রেনের তেহরান দূতাবাস এই বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পেছনে প্রথমে ইঞ্জিন ব্যর্থতার কথা বললেও পরে বিবৃতিটি সরিয়ে দিয়ে তারা জানায়, কমিশনের তদন্তের আগে দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে কোন মন্তব্যই আনুষ্ঠানিক নয়।
উড়োজাহাজটি ইরানের রাজধানীর কাছাকাছি বিধ্বস্ত হওয়ার সময় আবহাওয়া পরিষ্কার ছিল বলে জানিয়েছে ফ্লাইটরেডার-টোয়েন্টিফোর এভিয়েশন ওয়েবসাইট। এছাড়া বিমান সংস্থাটির কর্মকর্তাও বলেছেন যে বিমানটির ক্রুরাও ছিলেন অভিজ্ঞ।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সতর্ক করে বলেছেন, আনুষ্ঠানিক প্রতিবেদন প্রস্তুত না হওয়া পর্যন্ত এই বিপর্যয় সম্পর্কে কোন অনুমান বা মনগড়া তথ্য দেয়া যাবে না।"
ইরানী গণমাধ্যম বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পেছনে প্রযুক্তিগত সমস্যাকে দায়ী করছে এবং বিমানের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে তারা বলছে যে কোনও জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়নি।
মিঃ আবেদজাদেহ বলেছেন, এই দুর্ঘটনার সাথে সন্ত্রাসবাদের কোন যোগসূত্র নেই, জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম মেহের। বিমান সংস্থাটি ২০১৬ সালে বোয়িং- এর "পরবর্তী প্রজন্মের" ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজটি কিনেছিল
বিমানটিতে যারা ছিলেন : নিহতদের মধ্যে ৮২ জন ইরানি, ৬৩ জন ক্যানাডিয়ান, ১১ জন ইউক্রেনিয়ান, যাদের মধ্যে ৯ জনই ক্রু, ১০ জন সুইডিশ, চারজন আফগান, তিনজন ব্রিটিশ এবং তিনজন জার্মান নাগরিক ছিলেন। নিহতদের মধ্যে ১৫ জন শিশু।
তবে পরে জার্মান সরকার বলেছে যে "ইরানের বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে জার্মান নাগরিক আছে কি সে বিষয়ে আমাদের কিছু জানা নেই।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তেহরান
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ