নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট মানেই ধুমধাড়াক্কা চার-ছক্কার খেলা। তাই অতি আগ্রাসন নিয়েই খেলতে হয় ক্রিকেটারদের। হালের এ নতুন সংস্করণে নিজেকে প্রমাণও করেছেন অনেকে। কিন্তু ক্রিস গেইলের মতো কেউ নেই। বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে একাই প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দিয়েছেন বহুবার। তাই নিজেই নিজেকে নাম দিয়েছেন ‘ইউনিভার্স বস’। বাস্তব প্রেক্ষাপটের সঙ্গে মিলে যাওয়ায় এক বাক্যেই সবাই তা মেনেও নিয়েছেন। এবার জানালেন তার পর আর কোন ‘ইউনিভার্স বস’ আসবে না ক্রিকেট অঙ্গনে।
অথচ বয়সটা ৪০ পেরিয়েছে অনেক আগেই। সমবয়সী অনেক খেলোয়াড় এখন ক্রিকেট ছেড়ে ভিন্ন পেশা ধরেছেন। কিন্তু এখনও তরুণের মতো খেলে চলেছেন গেইল। এবারের বিপিএলেও মধ্যমণি তিনি। ভক্তদের আগ্রহের কেন্দ্র বিন্দু। অথচ এ সময় নতুন কোন তরুণে চোখ রাখার কথা ছিল সমর্থকদের। এখনও ভক্তদের আগ্রহের শীর্ষে থাকায় দারুণ উচ্ছ¡সিত গেইল, ‘আর কোন ক্রিস গেইল কিংবা ইউনিভার্স বস আসবে না। সবসময়ই একজন না একজন আসবে এবং সেই একজন আমার মতো হবে না।’
ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ওপেনারদের একজন গেইল। টি-টোয়েন্টির সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন। কেন তার মতো আর কেউ আসবে না তার যুক্তিও উপস্থাপন করেছেন এ ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং দানব, ‘নিজের স্বকীয়তার জন্য আপনাকে অবশ্যই বিশ্বব্যাপি ঘুরতে হবে, নিজের নামটাকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে, সব ধরণের কন্ডিশনে পারফর্ম করতে হবে এবং আমি নিজের ক্ষেত্রে সেটাই কিছুটা ভালো ভাবে করতে পেরেছি। আমার আর কিছুই প্রমাণ করার নেই এবং আপনারা জানেন যে ক্রিকেট ক্যারিয়ারে আমি কোন জায়গায় আছি। সুতরাং তারা (নতুনরা) কিভাবে এগোচ্ছে সেদিকে খেয়াল রাখুন। তাদের অধিকাংশই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারের জন্য তেমন সুযোগ পায় না। এ কারণে অনেকেই বিশ্বব্যাপি খেলার সুযোগটা পায়না, যেহেতু তারা অধিকাংশই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে।’
১৯৯৯ সালে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় গেইলের। গত বিশ্বকাপের পরপর ক্রিকেট থেকে বিদায়ের আভাস দিয়েছিলেন গেইল। পরে মন বদল করে জানান, খেলা চালিয়ে যাওয়ার কথা। যত দিন উপভোগ করবেন তত দিন চালিয়ে যেতে চান খেলা। বিপিএলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে খেলা এই ব্যাটসম্যান জানালেন, দিন দিন যেন আরও তরুণ মনে হচ্ছে নিজেকে, ‘অনেক মানুষ এখনও ক্রিস গেইলকে মাঠে দেখতে চায়। খেলাটার জন্য এখনও আমার সেই একই রকম ভালোবাসা ও আবেগ রয়েছে। যত দিন সম্ভব আমি টি-টোয়েন্টি ও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট চালিয়ে যাব। আমি মনে করি, আমার অনেক কিছু দেওয়ার আছে তাই, পৃথিবীর নানা প্রান্তে কিছু ম্যাচ খেলব। শরীর ঠিক আছে, আমি নিশ্চিত দিন দিন আমি ছোট হচ্ছি! তাই আমি সামনের দিকে তাকিয়ে আছি। ৪৫ ভালো একটি সংখ্যা। চলো, ৪৫ নিয়ে কথা বলা যাক। আমার মনে হয়, এটা ভালো একটা সংখ্যা।’
বিপিএলে সবচেয়ে সফল বিদেশি খেলোয়াড় গেইল। এ আসরের আগে মাত্র ৩৮ ম্যাচে ৪১.৮১ গড়ে করেছেন ১৩৩৮ রান। আসরে সর্বোচ্চ পাঁচটি সেঞ্চুরিও এসেছে তার ব্যাট থেকে। ছক্কা মেরেছেন মোট ১২০টি। শুধু যে বিপিএল নয়, খেলে থাকেন বিশ্বের সকল ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে। টি-টোয়েন্টি সংস্করণের সর্বোচ্চ রানের অধিকারীও তিনি। রেকর্ড ২২টি সেঞ্চুরিতে করেছেন মোট ১৩১৭৫ রান। দ্বিতীয় স্থানে থাকা কাইরন পোলার্ড এখন পর্যন্ত এক হাজার রানও করতে পারেননি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই মুহ‚র্তে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় আইসিসির ‘চার দিনের টেস্ট’ ভাবনা। এর পক্ষে-বিপক্ষে আসছে নানা মত। গেইলও জানালেন নিজের ভাবনা। টেস্টকে পাঁচ দিনেই রাখা উচিত বলে মনে করেন টি-টোয়েন্টির কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান, ‘আমি এর পক্ষে নই। আমি ১০০ (আসলে ১০৩টি) টেস্ট খেলেছি। কিছু ম্যাচ শেষ হয়েছিল তিন দিনে, কয়েকটি চার দিনে। তবে পাঁচ দিনের টেস্টই সেরা। টেস্টকে চার দিনে নামিয়ে আনাৃআমি এর পক্ষে নই। এটি যুগ যুগ ধরে চলে আসছে, তাহলে কেন শুধু শুধু এটিকে পাল্টানো... পাঁচ দিনের টেস্ট খেলতে পারাটা জীবনকে বদলে দেওয়ার মতো একটা অভিজ্ঞতা হতে পারে।’
এই পরিকল্পনার পক্ষে ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা নিজেদের অবস্থান জানিয়েছে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াও বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে ভেবে দেখবে বলে জানিয়েছে। ক্রিকেট দুনিয়ার সবচেয়ে প্রভাবশালী ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) এখনও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে ব্যক্তিগতভাবে এমন প্রস্তাবে সায় নেই বলে স¤প্রতি জানান ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা এই সংস্করণের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করেন তিনি। ভারতের সাবেক তারকা ব্যাটস্যান টেস্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক শচীন টেন্ডুলকার ও অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি পেসার গেন ম্যাকগ্রাও টেস্ট চার দিনে নামিয়ে আনার বিপক্ষে মত দিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।