মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বাতাস দিয়ে প্রোটিন জাতীয় খাদ্য তৈরি করেছেন ফিনল্যান্ডের কিছু বিজ্ঞানী। তারা বলছেন, এই খাবার পুষ্টিগুণের দিক দিয়ে সয়া’র প্রতিযোগী হয়ে উঠতে পারবে। তাদের দাবি এই খাবার তৈরিতে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন প্রায় শ‚ন্যের কোটায় থাকবে ; যদি এর জন্য প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সৌর অথবা বাতাস দিয়ে তৈরি হয়। এই বিজ্ঞানীদের স্বপ্ন যদি বাস্তব রূপ পায়, তাহলে কৃষির মাধ্যমে বর্তমানে যেসব সমস্যা তৈরি হচ্ছে তা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ইলেক্ট্রোলাইসিস ব্যাবহার করে পানি থেকে হাইড্রোজেন আলাদা করা হয়। তারপর সেই হাইড্রোজেন, বাতাস থেকে নেয়া কার্বন ডাইঅক্সাইড ও খনিজ পদার্থ মাটিতে পাওয়া যায় এমন এক প্রকার ব্যাকটেরিয়াকে খাইয়ে প্রোটিন জাতীয় খাদ্য তৈরি করা হয়েছে। এর নাম দেয়া হয়েছে ‘সোলেন’ যা খেতে একদম স্বাদহীন। বিজ্ঞানীরা বলছেন, তারা এমনটাই চেয়েছেন। এই প্রোটিন সরাসরি খাওয়া নয় বরং অন্য ধরনের খাবারের সাথে এটি যুক্ত করে পুষ্টিগুণ বাড়ানো যায়। এটিকে ব্যাবহার করে বিস্কুট, পাস্তা, নুডুলস বা রুটি এমনকি কৃত্রিম মাংস বা মাছ তৈরি সম্ভব। এই প্রোটিন গবাদিপশুর খাবারও হতে পারে। ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কি শহরের পাশে অবস্থিতি এই ‘সোলেন’ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী কর্মকর্তা পাসি ভাইনিক্কা। যুক্তরাজ্যের ক্র্যানফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। তিনি বলেন, এমন খাবার উৎপাদন প্রযুক্তির ধারণা প্রথম এসেছে ষাটের দশকে। মহাকাশযানে ব্যবহারের জন্য এমন প্রযুক্তির শুরু। তিনি স্বীকার করছেন যে তারা কাজে কিছুটা পিছিয়ে আছেন। তবে আশা করছেন, ২০২২ সালের মধ্যে তারা কাজ শেষ করতে পারবেন। এই প্রকল্পের জন্য তারা তহবিল তৈরি করছেন। এখনো পর্যন্ত ৫৫ লাখ ইউরো যোগাড় হয়েছে। ফ্যাক্টরি পর্যায়ে সোলেন তৈরির কাজ তারা শুরু করতে চান ২০২৫ সালে। বিদ্যুতের দাম এখানে বড় একটি বিষয় বলছিলেন পাসি ভাইনিক্কা। তবে সৌর বিদ্যুৎ প্রযুক্তি যেভাবে সামনে এগোচ্ছে তাতে করে এর দাম হয়তো ভবিষ্যতে আরও কমে আসবে। তাই সোলেন উৎপাদনে সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহারেই তার আগ্রহ বেশি। এই বিজ্ঞানীরা যদি পরিকল্পনা অনুযায়ী এগোতে পারেন তবুও বিশ্বের চাহিদা মেটানোর মতো বিশাল পরিমাণে এই প্রোটিন উৎপাদন সম্ভব হতে বহু বছর লেগে যাবে। তাদের পরিকল্পনা ব্যর্থও হতে পারে। তবে কৃত্রিম খাবার তৈরির ভবিষ্যতের দিকে অগ্রসর হওয়ার এটি একটি ধাপ বলা যেতে পারে। বিবিসি বাংলা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।