চরিত্র মানুষের শ্রেষ্ঠতম অলঙ্কার
সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুকাত- মানবজাতি। এ শ্রেষ্ঠত্ব মানুষ তার চরিত্র দিয়ে অর্জন করে নেয়।
ইসলামি কর্মতৎপরতা
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, দ্রবমূল্যের উধ্বগর্তি মানুষের জীবনকে চরম দূর্বিষহ করে তুলেছে। প্রতিনিয়ত দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি হচ্ছে। পেঁয়াজ, চাল, ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের আকাশচুম্বি মূল্যবৃদ্ধিতে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। অপরদিকে আবারও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করছে সরকার। বিদ্যুতের দাম বাড়লে জনগণের সীমাহীন দুর্ভোগ সৃষ্টি হবে। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে দায়মুক্তি আইন বাতিল করতে হবে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে লোকসানের মূল কারণ সিস্টেমলস এবং সরকারের দুর্নীতি ও ভুলনীতি। কিন্তু সরকার তা দূর না করে ক্রমাগত দাম বাড়িয়ে জনগণের ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। পেঁয়াজ ও চালসহ নিত্যপণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধিতে জনগণ দিশেহারা। এখন বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির অপচেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। বিদ্যুতের দাম বাড়লে জনগণ আরও দুর্ভোগে পড়বে। তিনি বলেন, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির অপচেষ্টা জনগণ রুখে দাড়াবে। বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির গণবিরোধী যে কোনো সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দেশবাসী রুখে দাড়াবে।
পুরানা পল্টনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মজলিসে আমেলার এক জরুরী সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান ও মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সহকারী মহাসচিব আমিনুল ইসলাম, দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, কেএম আতিকুর রহমান, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাকী, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, হারুন অর রশিদ, প্রিন্সিপাল শেখ ফজলে বারী মাসউদ, আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, মাওলানা নেছার উদ্দিন, এডভোকেট লুৎফুর রহমান শেখ, ইঞ্জিনিয়ার শরীফুল ইসলাম তালুকদার, মুফতী কেফায়েতুল্লাহ কাশফী, বরকত উল্লাহ লতিফ, জিএম রুহুল আমীন, খন্দকার গোলাম মাওলা, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, এডভোকেট একেএম এরফান খান প্রমুখ।
জাতীয় তাফসীর পরিষদ
জাতীয় তাফসীর পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম বলেছেন, ঐতিহাসিক বাবরী মসজিদ রক্ষায় বিশ্বমুসলিমকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আল্লাহর ঘর মসজিদ ভেঙ্গে মন্দির বানানো হবে তা হতে দেয়া হবে না। আল্লাহর ঘরে মানুষ সিজদা করে, মন্দির হলে সেখানে উলুধ্বনি হবে, ঘন্টা বাজবে এটা হতে পারে না। মুসলমানরা জীবন ও রক্ত দিয়ে হলেও আল্লাহর ঘর রক্ষা করবে, ইনশাআল্লাহ।
মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম বলেন, প্রকাশ্য দিবালোকে যারা বাবরী মসজিদ মাটির সাথে গুড়িয়ে দিয়েছিল আদালত তাদের শাস্তির বিধান কার্যকর না করে ভারতের আদালত তার গ্রহণ যোগ্যতা হারিয়েছে। বিশ্ব মুসলিম এটা সহজভাবে নেবে না। তিনি বলেন, বাবরি মসজিদের জায়গা নিয়ে বিতর্ক ছিল, ভারতের অনেক হিন্দু বিচারপতিও তা স্বীকার করেন যে, এটা গুন্ডামী করে ভাঙ্গা হয়েছে, এটা বাবরি মসজিদেরই জায়গা। চরম বিতর্কিত ও কট্টরপন্থী বর্তমান বিজেপি নেতাদের উপস্থিতিতেই সে বছর ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয় চরমপন্থী সন্ত্রাসি হিন্দুরা।
এক বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মুফতী বাকি বিল্লাহ, হাফেজ মাওলানা নাযীর আহমদ শিবলী, মুফতী ওমর ফারুক যুক্তিবাদী প্রমুখ। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।