মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
লাস ভেগাসে কনজিউমার ইলেট্রনিক্স শো’তে (সিইএস) মঙ্গলবার রাতে আত্মপ্রকাশ করল, স্যামসাং এর তৈরি বিশ্বের প্রথম কৃত্রিম মানব ‘নিওন’। যে তার সঙ্গীর দুঃখে সান্ত্বনা দেবে প্রিয় বন্ধুর মতো। সঙ্গীর আনন্দে পরিবারের সদস্যের মতোই হাবেভাবে তা প্রকাশও করতে পারবে, একেবারে মানুষের গলায়। ভাষাও বাধা নয় তার কাছে। নিওন কথা বলতে পারবে বিশ্বের প্রথম সারির একাধিক ভাষায়। অ্যালেক্সা-বিক্সবি বা সিরি-র মতো ডিজিটাল অ্যাসিস্ট্যান্ট বা যন্ত্রমানবের সঙ্গে কথা বলার অনুভূতি হবে না মোটেই। যে জন্য একে ‘যন্ত্রমানব’ না বলে ‘কৃত্রিম মানব’ বলছেন স্যামসাং কর্তৃপক্ষ।
স্যামসাং সংস্থার দাবি, ‘নিউ হিউম্যান’ থেকে তৈরি করা শব্দ ‘নিয়ন’- আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং মেশিন লার্নিং-এর বলে বলীয়ান এমন এক হিউম্যানয়েড (মানুষের যান্ত্রিক প্রতিরূপ), যে তার সঙ্গীর সঙ্গে ভাবের আদানপ্রদান করতে পারবে একেবারে মানুষের মতোই ন্যূনতম সময়ের প্রতিবর্ত ক্রিয়ায়। স্যামসাং-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কম্পিউটার সায়েন্টিস্ট প্রণব মিস্ত্রির তত্ত্বাবধানে কাজ চলছে তাদের স্টার ল্যাবরেটরিতে। স্যামসাং-এর সিক্সথ সেন্স প্রযুক্তি এবং ভার্চুয়াল রিয়েলিটি গ্যালাক্সি গিয়ার হেডসেট তৈরির মুখ্য কারিগর এবং স্টার ল্যাবের সিইও ও প্রেসিডেন্ট প্রণব জানিয়েছেন, এ দিন যা দেখানো হল, তা হল কম্পিউটারে তৈরি করা প্রজ্ঞা ও অনুভূতির মিশেলে এক কৃত্রিম মানব, যাকে কর্তৃপক্ষ পছন্দমতো রূপে যে কোনও কাজকর্ম করানোর জন্য প্রোগ্রামিং করেছেন। ‘রিয়েলিটি, রিয়েল টাইম রেসপনসিভনেস’, থ্রি-আর মিশ্রণে আগামী দিনে, যখন এই ‘কৃত্রিম মানব’ বাণিজ্যিক ভাবে বাজারে আসবে, তখন তাকে আরও গ্রাহকবান্ধব, আরও মানবিক, আরও চিন্তাশীল করে তোলার পাইলট প্রকল্প শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। চলতি বছরের মাঝামাঝি হওয়া ‘নিওনওয়ার্ল্ড ২০২০’ প্রদর্শনীতে দেখানো হবে নিওনের মূল চালিকাশক্তি স্পেকট্রা প্রযুক্তির খুঁটিনাটি। তখন নিওনের আরও উন্নত সংস্করণ দেখার আশা করতে পারেন আগ্রহীরা।
প্রণবের কথায়, ‘বিহেভিয়ারাল নিউরাল নেটওয়ার্ক, ইভোলিউশনারি জেনারেটিভ ইন্টেলিজেন্স এবং কম্পিউটেশনাল রিজনিং রিয়্যালিটির মিশেলে তৈরি নিওন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে পৌঁছে দেবে আগামী দিনের বিজ্ঞানের সিঁড়িতে। যার ফলে এখন নিওন শুধুমাত্র অপারেটিং প্ল্যাটফর্ম নির্ভর (যেমন ধরা যাক, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কোনও নিয়নকে তাদের কাস্টমার কেয়ারে নিযুক্ত করলে, সে শুধুমাত্র এই ব্যাঙ্ক সম্পর্কিত তথ্যই দিতে পারবে) হলেও আগামী দিনে স্পেকট্রার বলে বলীয়ান হয়ে হিউম্যান ইমোশন, ইন্টেলিজেন্স এবং এক্সপ্রেশনকে পৌঁছে দেবে অন্য স্তরে। যার ফলে তার সঙ্গে মানুষের তফাত করা শক্ত হয়ে পড়বে।’ আপাতত ভারত-সহ একাধিক দেশে নিওনের বিটা পাইলট টেস্টিং-এর জন্য একাধিক সংস্থার সঙ্গে কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তবে কবে নিয়নকে জনসমক্ষে আনা যাবে, সে বিষয়ে এখনই কিছু বলতে রাজি নন প্রণব। আইআইটি বম্বের এই প্রাক্তনীর দাবি, ‘বাজারে থাকা একাধিক আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট রোবটের ভিড়ে সংখ্যাটা আরও এক বাড়িয়ে নো-ইট-অল ধরনের কোনও পণ্য হাজির করার দৌড়ে নেই আমরা। নিওনকে যথাসম্ভব বেশি মানবিক মস্তিষ্কসম্পন্ন করে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। যাতে গর্বের সঙ্গে আমরা বলতে পারি, নতুন প্রজাতির ‘কৃত্রিম মানুষ’ সৃষ্টি করতে পেরেছি আমরা। হতে পারে আগামী পাঁচ বছর, এমনকী দশ বছরও লাগল তাতে। কিন্তু নতুন কিছু করার তাগিদটাই আমাদের প্রেরণা।’ সূত্র: দ্য সান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।