মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : গত বছরের নভেম্বরে রাশিয়ার একটি জঙ্গি বিমান ভূপাতিত করার পর মস্কোর সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার অংশ হিসেবে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েব এরদোগান রাশিয়ার কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বলে দাবি করা হয়েছে। এতে এরদোগান বলেছেন, সুনির্দিষ্ট কোনো উদ্দেশ্য থেকে ঐ হামলা চালানো হয়নি। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ গত সোমবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। অবশ্য রাশিয়ার এ দাবি সম্পর্কে তুরস্ক কোনো মন্তব্য করেনি। পেসকভ বলেন, এরদোগান ওই ঘটনায় নিহত পাইলটের পরিবারের প্রতি সহানুভূতি এবং গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন, সেই সাথে এই ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এরদোগান আরো বলেছেন, তিনি রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য সম্ভব সবকিছু করবেন। এ ঘটনার পর, ক্রেমলিন এক বিবৃতিকে স্বীকার করে নিয়েছে যে, উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিমানটি ভূপাতিত করা হয়নি। এরদোগানের মুখপাত্র ইব্রাহীম কালিন তুর্কী নেতার দুঃখ প্রকাশ করার কথা স্বীকার করেছেন। গত বছরের নভেম্বরে তুর্কী সীমান্তের কাছে সিরিয়ায় রাশিয়ার একটি বিমান ভূপাতিত করার পর মস্কো ও আঙ্কারার সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটে। এরপর সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পূর্বশর্ত হিসেবে রাশিয়া তুরস্কের কাছ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা এবং ক্ষতিপূরণের দাবি করে আসছিল। তুরস্ক বলেছিল, রাশিয়ার ঐ বিমানটি তাদের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছিল। এই ঘটনার মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে যে তুরস্ক ও রাশিয়া সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নিয়েছে। তুরস্ক এবং রাশিয়া একে অপরের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার। ক্রেমলিনের মুখপাত্রের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান এক বার্তা পাঠিয়ে ভøাদিমির পুতিনের কাছে এ ক্ষমা চেয়েছেন। পুতিনকে পাঠানো বার্তায় নিহত পাইলটটির পরিবারের প্রতি সহানুভূতি জানিয়েছেন এরদোগান। চিঠিতে বলা হয়েছে রাশিয়া তুরস্কের বন্ধু ও কৌশলগত সহযোগী। তুরস্ক তা নষ্ট করতে চায় না। অবশ্য রাশিয়ার এ দাবি সম্পর্কে তুরস্ক এখনো কোনো মন্তব্য করেনি। প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৪ নভেম্বর তুর্কি-সিরিয়া সীমান্তে একটি রাশিয়ান এসইউ-২৪ যুদ্ধ বিমানকে ভূপাতিত করে তুরস্ক। বিমানটি সিরিয়ার লাতাকিয়া প্রদেশের জাবাল তুর্কম্যান অঞ্চলে বিধ্বস্ত হয়। বিমানের পাইলট নিহত হলেও নেভিগেটর ক্যাপ্টেন কনস্টানটিন মুরাখতিনকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার কাজে নিয়োজিত একটি হেলিকপ্টারে আগুন লেগে গেলে সেখানে একজন রাশিয়ান নিহত হন। এ ঘটনায় রুশ-তুর্কি সম্পর্কে চিড় ধরে। বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন উভয় দেশের রাষ্ট্র প্রধানরা। যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে রাশিয়া তুরস্ককে ক্ষমা চাইতে বলে। ক্ষমা না চাওয়ায় তুরস্কের ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এবং রাশিয়ানদের তুরস্কে পর্যটনের সমস্ত প্যাকেজ বাতিল করে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছিলেন, তুরস্ক ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে না। এরদোগান বলেছিলেন, রুশ বিমান তুরস্কের আকাসসীমা লঙ্ঘন করেছে। এজন্য রাশিয়ার কাছে কখনো ক্ষমা চাওয়া হবে না। বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।