Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিলেও পথ দুস্তর

প্রকাশের সময় : ২৯ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

গণভোটে ক্যামেরনের পরাজয়ে জনসনের পোয়াবারো
ইনকিলাব ডেস্ক : ইইউ গণভোটের বাজিতে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের হারে এখন পোয়াবারো তার প্রতিদ্বন্দ্বী বরিস জনসনের। যুক্তরাজ্যের ঐতিহাসিক ওই গণভোটের রায় ইইউ ছাড়ার পক্ষে যাওয়ায় পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন ক্যামেরন। এতে লন্ডনের সাবেক মেয়র বরিস জনসনই সবচেয়ে বেশি লাভবান হচ্ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। কনজার্ভেটিভ পার্টির নেতা বরিস জনসন গণভোটে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে প্রচার চালিয়েছিলেন। আর এর ঠিক বিপরীতে প্রচার চালিয়ে জয় পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী ছিলেন ক্যামেরন। এখন সেই বাজিতেই হেরে ক্যামেরন পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার পর তারই স্কুল সহপাঠী বরিস জনসনের নতুন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তবে তার জয়ের পথ চ্যালেঞ্জে পরিপূর্ণ। কারণ, জয়ী হতে জনসনকে প্রথমে কনজার্ভেটিভ দলের এমপি’দের তাকে সমর্থন করার জন্য রাজি করাতে হবে। তারপর দলটির ইউরোপ বিরোধী সদস্যদের হাত করতে হবে।  ফেব্রুয়ারিতে ইইউ থেকে বিচ্ছেদের পক্ষে নিজের সমর্থন জানান জনসন, শুরু করেন জোর প্রচারণা। কনজারভেটিভ দলের এমপি হলেও লন্ডনের সাবেক মেয়র হিসেবে জনসনের একটি আলাদা প্রভাব ছিল। এছাড়া সমকামী অধিকার রক্ষা ও অভিবাসনের পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় তিনি যুক্তরাজ্যে দারুণ জনপ্রিয়। জনসনের একজন বন্ধু রয়টার্সকে বলেন, বিচ্ছেদের পক্ষে জনসন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি দলের সম্পদ ছিলেন। তিনি দলকে আশাবাদী, শক্তিশালী ও ইতিবাচক করেছেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, অনেক হিসাব-নিকাশ করে কৌশলগত এই পদক্ষেপ নিয়েছিলেন জনসন। যা তার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথ প্রশস্ত করেছে। ইইউ-তে থেকে যাওয়ার জন্য ২০১৩ সালের শুরুর দিকে কনজারভেটিভ দলের সক্রিয় ইউরোপ বিরোধীদের দলে ভেড়াতে শুরু করেন ক্যামেরন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে জনসনের এক বন্ধু ও সাবেক সহকর্মী রয়টার্সকে বলেন, প্রাথমিকভাবে জনসনকে নিজ দলে টানতে ক্যামেরন তার মন্ত্রিসভায় জনসনকে স্থান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু জনসন সমর্থন দেওয়ার পরিবর্তে নিজের বড় ধরনের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে ‘বিচ্ছেদের’ পক্ষে প্রচার শুরু করেন। ২০০৮ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত টানা দুই মেয়াদে লন্ডনের মেয়র ছিলেন জনসন। বিবিসি, রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিলেও পথ দুস্তর
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ