বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
শুরু থেকেই সরকারিভাবে ধান ক্রয়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠছিলো। কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয়ের সরকারী নির্দেশনা থাকলেও কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ধান ক্রয় করা হচ্ছে বাইরের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে। আর এসব ধান ব্যবসায়ী ও তাদের পোষা বাহিনীর কড়া প্রহরায় ট্রলি বোঝাই হয়ে দিনের বেলায় সরবরাহ না করে রাতের আধারে দৌলতপুর খাদ্য গুদামে সরবরাহ করা হচ্ছে।
ধান ক্রয়ের প্রকাশ্য এমন অনিয়মের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন নির্বিকার ও নিশ্চিুপ ভূমিকা পালন করছে। ফলে দৌলতপুরের ধান উৎপাদনকারী কৃষকরা বঞ্চিত হচ্ছেন সরকার নির্ধারিত মূল্যে ধান বিক্রয় থেকে। কৃষকরা বলছেন, দৌলতপুর খাদ্য গুদামে কৃষকদের পরিবর্তে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মনোনীত ব্যবসায়ীরা ধান সরবরাহ করছেন। তবে এক্ষেত্রে ওইসব ব্যবসায়ীরা চাতুরতার আশ্রয় নিয়েছেন। ধান ক্রয়ে লটারী ও লটারীর বাইরে যেসব কৃষকদের তালিকা করা হয়েছে সেই সব কৃষকদের কাছ থেকে ধান সরবরাহকারী ব্যবসায়ীরা কৃষক কার্ড সরবরাহ করেছেন। কোন কৃষককে টন প্রতি ২ থেকে ৩ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে আবার কোন কোন কৃষককে হুমকি দিয়ে তাদের কার্ড কেড়ে নেয়া হয়েছে। জোর করে বা অর্থ দিয়ে সংগ্রহ করা ওইসব কৃষক কার্ড দিয়ে গুটি কয়েক প্রভাবশালী ব্যবসায়ী প্রশাসনকে ম্যানেজ করে খাদ্য গুদামে ধান সরবরাহ করছেন। যা দৌলতপুরের বাইরে এমনকি জেলার বাইরে থেকে ধান ক্রয় করে ট্রলি ভর্তি করে রাতের আধারে দৌলতপুর খাদ্য গুদামে ঢুকানো হচ্ছে। রোববার রাত সাড়ে ১০টার সময়ও ৮ ট্রলি ভর্তি ধান খাদ্য গুদামে সরবরাহ করতে দেখা গেছে। কাবিল হোসেন, সাইদুর রহমান, আব্দুল জব্বার, খালেকসহ কয়েকজন কৃষক জানান, ধান বিক্রয়ের কৃষক তালিকায় তাদের নাম থাকলেও তারা ধান বিক্রয় করতে পারেননি। তাদের কার্ড স্থানীয় নেতারা ভয় ভীতি দেখিয়ে নিয়ে নিয়েছেন।
চলতি মৌসুমে সরকারীভাবে দৌলতপুরে ২হাজার৪শ ২৪মেট্রিক টন আমন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যে ২হাজার ৪শ ২৪জন কৃষককে লটারির মাধ্যমে নির্বাচন করা হয়। উপজেলা পরিষদ কনফারেন্স রুমে লোক দেখানো লটারি করা হলেও তাৎক্ষনিকভাবে লটারির মাধ্যমে ঘোষিত নির্ধারিত কৃষকদের নাম ধান ক্রয়ের তালিকায় অর্ন্তভূক্ত করা হয়নি। যদিও লটারি হওয়ার দুই সপ্তাহ পর ইচ্ছেমত ব্যক্তিদের নাম আবার ভৌতিক নাম তালিকাভূক্ত করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নিজেদের সুবিধা আদায়ে ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে ধান ক্রয় কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। গতকাল সোমবার দুপুর ২টা পর্যন্ত দৌলতপুর খাদ্য গুদামে প্রায় ৭’শ মেট্রিক টন ধান ক্রয় করা হয়েছে বলে দৌলতপুর খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন জনিয়েছেন। রাতের আধারে ধান ক্রয়ের বিষয়ে তিনি জানান, রাতে ট্রলি ভর্তি ধান খাদ্য গুদাম চত্বরে আনা হলেও তা ওজন দেওয়া হয়নি। সেসময় খাদ্য গুদামে লেবার থাকে না। তবে ধান ক্রয় নিয়ে বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে রয়েছি বলে তিনি জানিয়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্যারের সাথে বসার কথা রয়েছে। ধান ক্রয়ে মন্থর গতির বিষয়ে দৌলতপুর খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন বলেন, আগামী ২৮ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত ধান ক্রয় করা যাবে। এখনও অনেক সময় রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।