একটু একটু করে কমছে তাপমাত্রা। বাড়ছে শীতের প্রকোপ আর কুয়াশার ঘোর। গতকাল (রোববার) উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর সংলগ্ন এলাকায় এগিয়ে এসেছে। যা আগের দিন ছিল ভারতের বিহার ও এর সংলগ্ন এলাকায়। এর ফলে দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিম, দক্ষিণ-পশ্চিম ও উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ক্রমেই মধ্যাঞ্চল পর্যন্ত শীত ও কুয়াশার মাত্রা তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠতে পারে সামনের দিনগুলোতে।
গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বিক্ষিপ্ত ও অস্থায়ীভাবে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, বরিশাল, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন স্থানে হালকা থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত হয়েছে। যা পৌষে এবং নতুন বছরের ৫ম দিনের মতো অকাল বর্ষণ। বন্দরনগরী চট্টগ্রাম ও আশপাশ এলাকা ৫ দিন পর গতকালই দিনভর ছিল রোদ ঝলমল।

গতকাল টাঙ্গাইলে ৩ মি.মি. বৃষ্টি ঝরেছে। চলতি সপ্তাহের শেষে অর্থাৎ পৌষের শেষের কয়েকদিনে আবারও বৃষ্টিপাতের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। দেশের অনেক অঞ্চলে রয়েছে আকাশ মেঘলা থেকে মেঘাচ্ছন্ন। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিনের (শনিবার দিনাজপুর) চেয়ে ৩ ডিগ্রি সে. নিচে নামলো পারদ। ঢাকার তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ২২.৮ এবং সর্বনিম্ন ১৬.৩ ডিগ্রি সে.। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা সীতাকুন্ডে ২৬.৬ ডিগ্রি সে.।

আজ সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানা গেছে, সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারে। তবে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। অস্থায়ীভাবে আকাশ আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে কুমিল্লা অঞ্চলসহ সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় বিক্ষিপ্ত হালকা থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত হতে পারে। মাঝরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের অনেক জায়গায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় রাতের তাপমাত্রা আরও হ্রাস পেতে পারে। এরপরের ৫ দিনে অর্থাৎ পৌষের শেষ দিকে আবারও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।