মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সবাই তাকে ‘রাগী’ মনে করলেও সে যে ঠাট্টা-মস্করা করতে পারে, তা বুঝিয়ে দিল গ্রেটা থুনবার্গ। ফের এক বার।
পরিবেশ রক্ষার ব্যাপারে রাজনীতিকদের ঔদাসিন্য নিয়ে বার বার প্রতিবাদ করেছে। সতেরো বছরের এই কিশোরীর ঔদ্ধত্য রাষ্ট্রনেতাদের অস্বস্তি ক্রমেই বাড়িয়েছে। সম্ভবত সেই কারণেই ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জেয়ার বলসোনারো এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরাসরি আক্রমণের মুখে পড়ল সুইডেনের কিশোরী পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। প্রথম জন সরাসরি গ্রেটাকে ‘বেয়াদব’ বলতে কসুর করেননি, আর দ্বিতীয় জন তাকে রাগ নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ দিয়েছিলেন।
শুক্রবার ছিল সুইডিশ কিশোরীর জন্মদিন। এ বছর সতেরোয় পা দিয়েছে সে। তাই টুইটার-বায়োর বয়সের অংশটি বদলে যায়। কিন্তু চমক ছিল অন্যত্র। টুইটারে নিজের প্রোফাইলের নাম বদলে ‘শ্যারন’ করে দেয় গ্রেটা। কিন্তু শ্যারন কেন?
বেশিক্ষণ অবশ্য উত্তর খুঁজতে হয়নি নেটিজেনদের। তারা বুঝতে পারেন, অভিনেতা আমান্দা হেন্ডারসনকে হালকাচ্ছলে ব্যঙ্গ করতেই এই নাম-পরিবর্তনের ঘটনা। বৃহস্পতিবার বিবিসি-র জনপ্রিয় কুইজ শো, ‘সেলিব্রিটি মাস্টারমাইন্ডে’ প্রতিযোগীর আসনে বসেছিলেন অভিনেতা আমান্দা হেন্ডারসন। সঞ্চালক জন হাম্পফ্রিস তাকে প্রশ্ন করেন, ‘নো ওয়ান ইজ টু স্মল টু মেক আ ডিফারেন্স’ নামে ২০১৯ সালে প্রকাশিত বইটি আসলে এক সুইডিশ জলবায়ু পরিবর্তন বিরোধী আন্দোলনকারীর বক্তৃতার সংকলন। তার নাম কী? প্রশ্ন শুনে দৃশ্যতই আতান্তরে পড়েন আমান্দা। কার্যত ভাবলেশহীন মুখ করে বলেন, ‘শ্যারন?’
কী ভাবে তিনি গ্রেটার জায়গায় শ্যারন নামটি আমদানি করেছেন, তা নিয়ে রীতিমতো হাসির রোল ওঠে নেট দুনিয়ায়। প্রতিযোগিতার ওই অংশের ভিডিও ক্লিপ রাতারাতি নেটে ছড়িয়ে পড়ে, পৌঁছয় সুইডিশ কিশোরীর কাছেও। অতঃপর জন্মদিনের সকালের বয়সের সঙ্গে নামেও বদল।
এর আগেও একাধিক বার টুইটার বায়ো বদলেছে গ্রেটা। কখনও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কটাক্ষ উঠে আসে তার টুইটার বায়োতে, ‘রাগ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় থাকা কিশোরী।’ কখনও আবার ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জেয়ার বলসোনারোর সমালোচনার ভাষাতেই নিজের বর্ণনা দেয় সে, ‘পিরালহা’ যার অর্থ অসভ্য বাচ্চা। সবটাই মজার ছলে।
তবে পরিবেশ রক্ষায় তার আন্দোলন যে ‘মজা’ নয় তা গ্রেটা বুঝিয়ে দিয়েছে জন্মদিনেও। সে দিনও ‘ফ্রাইডেজ ফর ফিউচার’-এর কার্যক্রমে সামিল হয়েছে গ্রেটা। নিয়ম মেনে সুইডিশ পার্লামেন্টের সামনে সাত ঘণ্টা প্রতিবাদ জানিয়েছে। পরে সাংবাদিকদের বলে, ‘জন্মদিন উদ্যাপন করব, এমন মানুষ আমি নই। কেক কাটব না, তবে হ্যাঁ বাড়ি ফিরে একসঙ্গে রাতের খাওয়াদাওয়া করা হবে।’ সূত্র: সিনেট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।