গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
খুলনা ব্যুরো : খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে নিয়ম বহির্ভূত ‘ইনজুরি সার্টিফিকেট’ বাণিজ্য বন্ধ হয়নি। বরং চক্রটি আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। নিয়মের কোনো তোয়াক্কা না করেই অর্থের বিনিময়ে সার্টিফিকেট দেয়া হচ্ছে। এর ফলে নিরীহ মানুষ ভোগান্তির মুখে পড়ছেন। ২৮ ফেব্রুয়ারী খুমেক হাসপাতাল থেকে দেয়া রোগীর ছাড়পত্র ও ইনজুরি সার্টিফিকেটে তথ্যের গরমিল পাওয়া যায়। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ২০ জুন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সুফিয়ান রুস্তমকে আদালতে তলব করা হয়। তিনি সশরীরে খুলনা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির হয়ে নথিপত্র উপস্থাপন করেন।
মহানগরীর টুটপাড়া সেন্ট্রাল রোডের বাসিন্দা জাবির হোসেনের দায়েরকৃত মামলার তথ্যে জানা গেছে, হাসপাতালে (৯, ১০ ওয়ার্ড) ভর্তি রোগীকে ওয়ার্ড থেকে দেয়া ছাড়পত্রে বড় ধরনের কোনো আঘাতের সাদৃশ্যতা নেই বলে উল্লেখ করা হয়। অথচ ওই একই রোগীকে আরএমও ডা. সুফিয়ান রুস্তম ৩২৬ ধারায় ইনজুরি সার্টিফিকেট দিয়েছেন। একই রোগীর ক্ষেত্রে ছাড়পত্র ও ইনজুরি সার্টিফিকেটে দুই ধরনের তথ্য থাকায় মামলা করা হলে আদালত আরএমওকে সশরীরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন।
জানা গেছে, প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সাধারণ রোগীদের ইনজুরি সার্টিফিকেট দেয়া হয় না। মামলা করার পর থানা বা আদালত থেকে রিকুইজিশন পেলে সার্টিফিকেট দেয়ার নিয়ম। অথচ টাকার বিনিময়ে সার্টিফিকেট দেয়ার অভিযোগ অহরহ পাওয়া যায়।
আদালতে হাজিরা দেয়ার বিষয়ে আরএমও ডা. সুফিয়ান রুস্তম বলেন, আদালত সার্টিফিকেটের কয়েকটি ‘পয়েন্ট’ বুঝতে না পারায় ডেকেছিলেন। নথিপত্র উপস্থাপনসহ আদালতে ব্যাখ্যা দিয়েছি।
এর আগে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার কুমিরা মহিলা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক আদিত্য ব্যানার্জি হাসপাতাল থেকে টাকার বিনিময়ে সার্টিফিকেট নিয়ে প্রতিপক্ষকে নাজেহালের চিত্র তুলে ধরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি ওই অভিযোগে জানান, কামনা শীষ ম-ল নামের এক রোগীকে ২৩ মার্চ তালা উপজেলা হাসপাতাল থেকে ৩২৩ ধারার সার্টিফিকেট দেয়া হয়, একদিন পর ২৪ মার্চ ওই রোগীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ৩২৬ ধারার সার্টিফিকেট দেয়া হয়। অভিযোগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, হাসপাতাল থেকে সার্টিফিকেট প্রদানের জন্য একজন ইএমও, একজন সংশিষ্ট ওয়ার্ড সহকারী রেজিস্ট্রার ও পদাধিকার বলে আরএমও চেয়ারম্যান। এই মেডিকেল বোর্ড না মেনে ডা. সুফিয়ান মনগড়া বোর্ডে ডা. জাকারিয়া ও ডা. অজয় কুমার সাহার সমন্বয়ে সার্টিফিকেট দিয়ে থাকেন। এরা দু’জনেই আউটডোর মেডিকেল অফিসার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।