Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ইরানের শীর্ষ জেনারেলকে হত্যায় নেট দুনিয়ায় উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা

আবদুল মোমিন | প্রকাশের সময় : ৩ জানুয়ারি, ২০২০, ৬:৫৪ পিএম

ইরাকে মার্কিন রকেট হামলায় ইরানি বিপ্লবী গার্ডের অভিজাত বাহিনী কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলেইমানি নিহতের ঘটনায় নেট দুনিয়ায় বিরাজ করছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। শুক্রবার সকালে হামলার পর এরইমধ্যে তেলের বাজারে অস্থিরতা শুরু হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাবশালী এই শীর্ষ জেনারেলকে হত্যার জেরে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের বাঁধার আশঙ্কা করছেন অনেকে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে এই হামলার নিন্দা জানিয়ে বিপর্যয়কর যুদ্ধ লেগে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন নেটিজেনরা। এদিকে, সোলেইমানিকে হত্যার চরম প্রতিশোধ নেয়ার অঙ্গীকার করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা। পাল্টা হামলার আশঙ্কায় এরইমধ্যে ইরাকে অবস্থানরত সব মার্কিন নাগরিককে দ্রুত দেশে ফেরার নির্দেশ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। সব মিলিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতের আশঙ্কায় উত্তপ্ত সোশ্যাল মিডিয়া।

হামলার পর পেন্টাগন এক বিবৃতিতে জানায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশেই ওই হামলা চালানো হয়েছে। এতে জেনারেল কাসেম সোলেইমানিসহ ৮জন নিহত হয়।

বর্ণ বিদ্যান লিখেছেন, ‘‘আমেরিকা সব সময়ই দুর্বল জায়গায় হামলা করে! প্রথমে জাতিসংঘের মাধ্যমে তাদের সমরাস্ত্র ধ্বংস করে তাদের দুর্বল করে, তারপর কাপুরুষের মত আক্রমণ করে! আমেরিকা প্রমাণ করুক তারা কোন দিন কোন সুপুরুষের সাথে যুদ্ধ করেছে? ইরাকে হামলা করে ইরানের একজন জেনারেলকে পিছন থেকে গুলি করে মারাটাও কাপুরুষের লক্ষন!’’

উদ্বেগ জানিয়ে ইরান প্রবাসী আতিক মাহামুদ লিখেছেন, ‘‘কাসেম সোলইমানি নিহত হবার পরে পুরো ইরান জুরে চলছে উত্তেজনা। কাসেম সোরাইমানিকে ইরানে সবাই অনেক ভালোবাসতেন। আমি ইরান প্রবাসি আমার মালিক আজ সকালে বললেন যুদ্ধ শুরু হতে পারে।’’

কায়েস আল মাহমুদ লিখেছেন, ‘‘সরাসরি আমেরিকাতে আক্রমণ হানতে না পারলেও ইরান ও ইরানপন্থি দলগুলোর উচিত হবে ইসরাঈল ও মধ্যপ্রাচ্যে যত মার্কিন সেনাঘাঁটি আছে এগুলোকে ধংস্ব করে এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নেয়া!’’

‘‘৩য় বিশ্বযুদ্ধ হবেই। তবে কোনো দেশের নেতার দ্বারা নয়, অন্যভাবে। তবে এখন দুপক্ষেরও সংঘর্ষ হতে পারে’’ মন্তব্য গাজাওয়ান পারভেজের।

তবে আখতার জাহিদের মন্তব্য, ‘‘আমেরিকা অনেকদিন ধরে ইরান তথা কাসেম সুলাইমানিকে নিয়ে ইঁদুর বিড়াল খেলে আসছে। আরব মুসলমানদের পাইকারি হারে মারার ক্ষেত্রে শীয়া ইরানের ভূমিকায় এই কাসেম সুলাইমানির সরাসরি সম্পর্ক ছিলো। আমেরিকাও ছিলো অন্যতম সহযোগী। কিন্তু এবার আমেরিকা বাধ্য হয়েছে তাকে হত্যা করতে।’’

ওমর ফারুক লিখেছেন, ‘‘হাজী সোলেমান কাসেমী হত্যার প্রতিশোধ হিসাবে খুব দ্রুত সময়ের ভিতরেই পারমাণবিক বোমা তৌরি এবং তার সফল পরীক্ষা চালানো হোক। এটাই হবে সবচেয়ে ভালো প্রতিশোধ।’’

‘‘না দেখা অচেনা দুইজন মানুষের মৃত্যুতে খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। একজন বিডিয়ার বিদ্রোহে নিহত কর্নেল গুলজার, আরেকজন হলেন জেনারেল সোলাইমানি। ওনার কথা অনেক শুনেছি। অত্যাচারি কাফিরদের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন মূর্তিমান আতঙ্ক’’ লিখেছেন ফাতেমা জাহিন।

সুমন রানা শঙ্কা প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘‘গুপ্তহত্যা কাপুরুষের কাজ। চোরের মত গোপনে অতর্কিত হামলা-গুপ্তহত্যা চালিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন নিজেদের কাপুরুষতার ই বহিঃপ্রকাশ ঘটাল। বিশ্ব এখন ইরানি পরমাণু বোমা আর সুপারসনিক ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের তেজ আঁচ করার জন্য তৈরি থাকুক। পশ্চিমা দুনিয়া তোমরা আগুন নিয়ে খেলেছো কিন্তু জাহান্নামকে দেখনি, শীঘ্রই দেখবে ইনসায়াল্লাহ।’’

সুমন আহমেদের মন্তব্য, ‘‘এই হত্যার প্রতিশোধে ইরান আমেরিকার তেমন কোন ক্ষতি করতে পারবে না, তবে মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার জন্য বড় ধরণে বিপদ হয়ে যাবে।’’

গুলজার আহমেদ তালুকদার লিখেছেন, ‘‘আমেরিকা ও তার দোসর ঈসরাইল সন্ত্রাসী রাষ্ট্র দুটো সারাবিশ্বের জন্য বিপদজনক হয়ে উঠেছে। এসব অপকর্ম দ্রুতই তাদের ধ্বংসাত্মক পরিণতির দিকে নিয়ে যাবে।’’

‘‘সত্যি বলতে ইরান আমেরিকার কিছুই করবেনা অথবা করতে পারবেনা। তারা যেটা করবে সেটা হলো সৌদিদের উপর হামলা করার চেষ্টা করবে। আর সেটা করতে যেয়ে মুসলিমদের পবিত্র স্থানগুলোর যদি ক্ষতি হয়ে যায় তবে পুরো মুসলিম বিশ্বের সাথে ইরানের ভয়াবহ ঝামেলা বাঁধবে আর আমেরিকারও সম্ভবত সেটাই চাওয়া’’ এমন মন্তব্য আশরাফুল হোসাইনের।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ