বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ময়মনসিংহে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ৬ গ্রুপে বিভক্ত হয়ে র্যালী করেছে ছাত্রদল। এনিয়ে মিশ্র প্রক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের ভেতরে-বাইরে। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জেলা ও মহানগর বিএনপির শীর্ষ নেতারা।
ক্ষোভ প্রকাশ করে বিএনপি নেতারা বলেন, বর্তমান সময়ে দলের ক্রান্তিকাল চলছে। দলীয় প্রধান দীর্ঘ প্রায় আড়াই বছর যাবত সরকারের প্রতিহিংসায় কারাগারে বন্দি। এ অবস্থায় রাজপথে ঐক্যবদ্ধ ছাত্রদলের কোন বিকল্প নেই। কিন্তু ছাত্রদল নেতারা খন্ডে খন্ডে বিভক্ত হয়ে নিজেরাই নিজেদের শক্তি হারাচ্ছে। বিষয়টি সংগঠনের জন্য খুবই বেমানান। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে দল। এ অবস্থায় সংগঠনের স্বার্থে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের হস্থক্ষেপ এখন সময়ের দাবি।
জানা যায়, ময়মনসিংহ ছাত্রদল তিনটি ইউনিটে বিভক্ত। এ গুলো হল- মহানগর ছাত্রদল এবং জেলা দক্ষিণ ও জেলা উত্তর ছাত্রদল। কিন্তু একমাত্র মহানগর ছাত্রদল ব্যতিত বাকি দুটি জেলা ছাত্রদলের নেতারা ৫টি ভাগে বিভক্ত। এর মধ্যে দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মাহাবুবুর রহমান রানা, সাধারন সম্পাদক আবু দাউদ রায়হান এবং সাংগঠনিক সম্পাদক জহিরুল তিন গ্রæপে বিভক্ত। একই ভাবে জেলা উত্তর ছাত্রদলের সভাপতি নিহাদ সালমান ডুনন এবং সাধারন সম্পাদক রায়হান শরীফ হলুদ দুই ভাগে বিভক্ত। ফলে বিগত প্রায় আগে কমিটি গঠনের পর থেকেই তারা নিজ নিজ গ্রæপে বিভক্ত হয়ে কেন্দ্রীয় কর্মসূচী পালন করে আসছে। বুধবার সংগঠনের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যেও তাদের গ্রুপিং বিভক্তি ছিল প্রকাশ্য। এদিনও তারা ৬টি ভাগে বিভক্ত হয়ে র্যালী ও সমাবেশ করেছে। এনিয়ে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মাঝে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। বিরক্তি প্রকাশ করেছেন নিরাপত্তায় নিয়জিত উপস্থিত পুলিশ সদস্যরাও।
এ ঘটনায় অবিভক্ত জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রতন আকন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ছাত্রদলকে এক সাথে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচী পালন করার জন্য বার বার আহবান জানানো হয়েছে মহানগর ও জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে। কিন্তু ছাত্রদল নেতাদের গ্রুপিং মানসিকতার কারণে তা সম্ভব হয়নি। এটা ছাত্রদল এবং বিএনপির জন্য লজ্জাজনক বিষয়।
বিষয়টি নিয়ে বুধবার দুপুরে নগরীর নতুন বাজারস্থ জেলা বিএনপির কার্যালয়ে উপস্থিত বিএনপির শীর্ষ অন্য নেতারাও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এ সময় তারা দলের স্বার্থে সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের হস্থক্ষেপ কামনা করেন।
এবিষয়ে মহানগর বিএনপির প্রথম যুগ্ম আহবায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদ বলেন, কারান্তরিন নেত্রীর মুক্তি আন্দোলনকে বেগবান করতে ছাত্রদল সকল গ্রæপিং ভুলে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করবে বলে আশা করছি। এতে দল এবং সংগঠনের স্বার্থ জড়িত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।