Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খালেদা জিয়ার মুক্তি না হলে গণতন্ত্রের মুক্তি অসম্ভব: ডা. জাফরুল্লাহ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৮:৩৬ পিএম

‘অদূর ভবিষ্যতে তারেক জিয়া (তারেক রহমান) প্রধানমন্ত্রী হবেন। কিন্তু এখন তাকে নাক গলানো বন্ধ করতে হবে। স্কাইপের মাধ্যমে ওহি দেওয়া বন্ধ করতে হবে। তা না হলে খালেদা জিয়ার মুক্তি অসম্ভব। আর খালেদা জিয়া মুক্ত না হলে গণতন্ত্রের মুক্তিও অসম্ভব। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হলে শুধু হলে বসে বক্তৃতা নয়, মাঠে যেতে হবে।’- গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এসব কথা বলেছেন।

ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, তারেক আমার খুব প্রিয় মানুষ। ছোটবেলা থেকেই তাকে দেখেছি। সেই জন্য তাকে বলি, এতদূর থেকে বসে তোমার মায়ের মুক্তি ঘটাতে হবে না। তুমি প্লিজ ওখানে বসে দু’বছর মাস্টার্স বা এমফিল করো। এখানে (বাংলাদেশে) যারা আছে, তাদের কাউকে দায়িত্ব দিয়ে দাও। আর এখানে স্থায়ী কমিটির যাদের হাত-পা ধরে আসে; দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না, তাদের বাড়িতে পাঠাও। তারা এসে দু’ঘণ্টা দাঁড়াতে পারেন না, এরা বাড়িতে বসেই রাজনীতি করুক।

আজ সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবন মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার কোন পথে’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

এ সময় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি প্রসঙ্গে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের এই প্রতিষ্ঠাতা বলেন, বাংলাদেশ চলছে ওহি দ্বারা। বিচার বিভাগের বিচারপতিরা আমাদের বিবেক, জাতির একমাত্র আশা-আকাঙ্ক্ষার জায়গা। সেখানে তারা একটি জামিনের মামলা শুনতে সাহস পান না। এই নিম্ন আদালতে খুনের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তকেও সুপ্রিম কোর্ট জামিন দেওয়ার নজির আছে। এমন বহু উদাহরণ আছে। অথচ বিচারপতিদের জামিন শুনানি শুনতে হাঁটু কাঁপে, বিবেক তো ঘুমিয়ে আছে, হাঁটু কাঁপছে। তারা বললেন, পুরো বেঞ্চ শুনবেন। তারা আবার মেডিক্যাল রিপোর্ট চাইলেন, খালেদা জিয়া অসুস্থ কিনা। তিনি অসুস্থ না থাকলে হাসপাতালে থাকবেন কেন? আর অসুস্থ না হলে তাকে হাসপাতালে আটকে রেখেছে কেন? বিচারপতিরা হুকুমনামার আশায় থাকলেন, ওহি কখন আসবে! তারপর সাতজন বিচারপতি মিলে জামিনের মামলা শুনলেন। ছয়জন বিশেষজ্ঞের নামের সেই রিপোর্ট এলো, কিন্তু যে মূল বিশেষজ্ঞের নাম থাকার দরকার, তা ছিল না।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারাও ওহি দ্বারা পরিচালিত হচ্ছেন। এটাই এই জাতির চরম দুর্ভাগ্য। আপনাদের ওহি আসছে লন্ডন শহর থেকে, স্কাইপের মাধ্যমে। আপনারা এটা ছাড়েন। আপনাদের মাঝে চৌকশ কিছু নেতা আছে, তাদের দায়িত্ব দিয়ে দেন। দেখবেন দেশবাসী আপনাদের পাশে আছে। আপনাদের প্রায় ১ লাখ কর্মী বর্তমানে জামিনে আছেন। পাটকল শ্রমিকরা যেমন এই শীতের মাঝেও কম্বল গায়ে বসে আছেন, আপনারাও অন্তত দুটো দিন হাইকোর্টের মাঠে বসে থাকুন না, দেখুন আমাদের বিচারপতিদের বুকে সাহস আছে কিনা, তারা (বিচারপতিরা) ন্যায়ের জন্য দাঁড়ায় কিনা, তাদের (বিচারপতি) মনে এক মূহূর্তের জন্য জাগে কিনা এই জনতার মঞ্চে তাদের (বিচারপতিদের) বিচার হবে। তাই আপনারা এই ওহির ভরসা ছাড়েন।

এসময় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাবেক সাংসদ এহসানুল হক মিলন ও গোলাম মাওলা রনি, সমিতির সাবেক সহসভাপতি গোলাম রহমান ভূঁইয়া প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ডা. জাফরুল্লাহ

৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ