Inqilab Logo

বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘তিন দেশের সম্মিলিত মহড়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি সতর্কবার্তা’

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৮:৩৩ পিএম

ভারত মহাসাগর ও ওমান সাগরে যৌথ সামরিক নৌ-মহড়া শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের তিন প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ইরান, চীন এবং রাশিয়া। শনিবার দ্বিতীয় দিনের মতো এ মহড়া চালায় তিন মিত্র দেশ। এই মহড়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি সতর্কবার্তা বলে উল্লেখ করেছেন ইরানের নৌপ্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল হোসেইন খানজাদি।

মস্কো-বেইজিং এবং তেহরানের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করাই এই নৌ-মহড়ার অন্যতম লক্ষ্য বলে জানিয়েছে ইরান। ইরানি সংবাদমাধ্যম প্রেসটিভি জানায়, রাশিয়া-চীন ও ইরানের সম্মিলিত নৌমহড়া যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি সতর্কবার্তা। রোববার সম্মিলিত মহড়ার বিরতিতে এমন মন্তব্য করেন ইরানের নৌপ্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল হোসেইন খানজাদি।

হোসেইন খানজাদি বলেন, ‘ধীরে ধীরে এই অঞ্চল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে যেতে হবে। তিনটি দেশ সহযোগিতা ও সম্পর্কের সর্বোচ্চ স্তরটি দেখিয়েছে। রাশিয়া-চীন ও ইরানের সম্মিলিত নৌ-মহড়া যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি সতর্কবার্তা।’ তিনি আরও বলেন, ‘সামরিকবাহিনী কোনো মহড়ার আয়োজন করলে সেটার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিকসহ নানামাত্রিক প্রভাব থাকে। আমরা দেখছি, বিশাল এই মহড়ার আয়োজন করা হয়েছে অঞ্চলটির সুরক্ষা নিশ্চিতের জন্য।’ ইরানের নৌপ্রধান বলেন, ‘পশ্চিম এশিয়ায় আমেরিকার শক্তি প্রদর্শনের যুগ শেষ হয়ে গেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই মধ্যপ্রাচ্য ত্যাগ করতে হবে।’

প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকালে ‘মেরিন সিকিউরিটি বেল্ট’ নামের চার-দিনব্যাপী সম্মিলিত নৌ-মহড়া শুরু করে ইরান, রাশিয়া ও চীন। এই মহড়া শেষ হবে সোমবার। এদিকে, পরমাণু এবং ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিসহ ইরানের নানামুখী তৎপরতা ইসরাইলের নিরাপত্তার জন্য বিশাল চ্যালেঞ্জ বলে মনে করে তেল আবিব। পরমাণু কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ওয়াশিংটন-তেহরান উত্তেজনা আর বাকযুদ্ধ যখন চরমে, তখন ভারত মহাসাগর এবং ওমান সাগরে ব্যাপক আকারে যৌথ নৌ মহড়া শুরু করেছে ইরান, চীন এবং রাশিয়া।

১৯৭৯ সালে ইরানের ইসলামী বিপ্লবের পর এই প্রথম এ ধরনের নৌ মহড়া চালাচ্ছে তিন দেশ। পারস্য উপসাগরে নিজেদের বাণিজ্যক জাহাজের নিরাপত্তায় ট্রাম্প প্রশাসনের জোট গঠনের তৎপরতার মধ্যেই এ মহড়া চালাচ্ছে তিন দেশ।

ইরান বলছে, বিশ্ব বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ওমান সাগর ও ভারত মহাসাগর। বিশ্বের বহু দেশের বাণিজ্যিক জাহাজ এই রুট দিয়ে চলাচল করে। গুরুত্বপূর্ণ এই পানিসীমায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিরাপত্তা রক্ষা, জলদস্যুতা এবং সামুদ্রিক সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা এই মহড়ার অন্যতম লক্ষ্য। এছাড়া, রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে ইরানের সামরিক অভিজ্ঞতা বিনিমিয়ও এ আয়োজনের উদেশ্য বলে জানায় তেহরান। সূত্র: জিনহুয়া।

 



 

Show all comments
  • mahbubur rahman babu ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১১:১০ পিএম says : 0
    na chin na mosko na,,,, kew islamer bondhu noi,,jotokhkhon muslimra nizera towhider mulnitir vititte oikko na korbe totokhkhon muslimder konu bijoy nei
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ