পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ভারত অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে এতদিন নীরব থাকলেও এবার তৎপরতা দেখাতে শুরু করেছে সউদী আরব। ক‚টনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, কাশ্মীর ইস্যুতে পদক্ষেপ নিতে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সদস্য মুসলিম দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের পরিকল্পনা করছে সংস্থাটির দায়িত্বে থাকা সউদী আরব। কিছুদিন আগেই ‘মুসলিমবিরোধী’ বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে ভারতকে ‘কড়া’ বার্তা দিয়েছিল রিয়াদ। খবর দ্যা ডন’র। গণমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বিষয়ে কথা বলতে বৃহস্পতিবার একদিনের সফরে ইসলামাবাদ আসেন সউদী পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল-সউদ। প্রথমে তিনি পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশির সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মিলিত হন তিনি। বৈঠকে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে চরম মানবাধিকার লংঘনসহ বিজেপি সরকারের বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন পাসের বিষয়টিকে গুরুত্বারোপ করা হয়। এছাড়া অঞ্চলটি সম্পর্কে ওআইসির ভ‚মিকা কি, তা নিয়েও আলোচনা করা হয়। পরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান। সেখানে ইমরান খান বলেন, ভারত সবসময়ই সীমান্তে আন্তর্জাতিক আইন লংঘন করে আসছে। এতে প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে। এ সময় কাশ্মীরি মুসলমানদের অধিকার ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করে তাদের ন্যায্য সমাধানের সুবিধার্থে এবং ভারতে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ভ‚মিকা রাখার আহŸান জানান পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এর আগে গত রোববার সউদী আরবের জেদ্দায় অনুষ্ঠিত ওআইসির এক অধিবেশনে সম্প্রতি পাস হওয়া সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও বাবরি মসজিদ মামলার রায়ে মুসলিমদের স্বার্থ রক্ষা হয়নি বলে অভিযোগ করে ওআইসি। অভিযোগে বলা হয়, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক আইনে প্রতিটি দেশের সংখ্যালঘুদের অধিকার সংরক্ষণ করা হয়েছে। সংখ্যালঘু মুসলিমদের নিয়ে ভারতের এমন আচরণ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ডন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।