পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রেলের মিটার রিডিংয়ে নয়-ছয় করে কোটিপতি হয়েছেন মিটার রিডার মো. মনিরুল ইসলাম। বাংলাদেশ রেলওয়ের মিটার রিডার গ্রেড-২ পদে চাকরি করেন তিনি। রেল সংশ্লিষ্ট মিটার রিডারে নয়-ছয় করা, নিয়োগ, বদলি ও তদবির বাণিজ্যের হোতা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। ২০১১ সালের ২৭ জুলাই চাকরিতে যোগদান করে হঠাৎ আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যাওয়ায় আলোচনায় এসেছেন মনিরুল। রাজধানীর মানিকনগরে নিজ নামে ফ্ল্যাট কিনেছেন। মিরপুরে নিজের নামে জমি ক্রয় ছাড়াও নামে-বেনামে অনেক সম্পদ গড়েছেন। এখানেই শেষ নয়, ঠিকমতো অফিস তো করেনই না বরং তার চেয়ারে বহিরাগতদের বসিয়ে অফিস করান। আর মনিরুলের এসব অনিয়মে সহযোগীতা করছেন একজন সিনিয়র সাব এ্যাসিট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (বিদ্যুৎ), মনিরুল ওই কর্মকর্তার অধিনস্থ কর্মচারি।
সূত্র মতে, মিটার রিডার মো. মনিরুল ইসলাম তার অধীনে থাকা শাহজাহানপুর, গোপীবাগ ও নরসিংদী রেল কলোনীর বৈধ বাসা থেকে মিটার রিডিং নয়-ছয় করে বিদ্যুৎ বিল কম দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করছেন। এতে বড় অঙ্কের রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
অনুসন্ধানে শাহজাহানপুর রেল কলোনীর অধিকাংশ বাসার মিটার রিডিং থেকে দেখা যায়, প্রত্যেকটি বাসায় দেড় হাজার থেকে প্রায় ৭ হাজার ইউনিট বাকি রেখেই বিল করছেন মনিরুল। কলোনীর ২২-২৩টি বাসার মালিকদের কাছ থেকে মাসে মাসে বাড়তি অর্থের বিনিময়ে এই অনিয়ম করছেন তিনি। কলোনীর এসব বাসা থেকে সরকার প্রতি মাসে বড় অঙ্কের রাজস্ব হারাচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, খাদিজা আক্তারের শাহজাহানপুর রেল কলোনীর বি/২-এইচ বাসার মিটার নং ১০৬৮১৪৩৬। বর্তমানে এই মিটারের রিডিং ১৪২৩৭ ইউনিট, আগের মিটার রিডিং ৭৩৬৪ ইউনিট। বকেয়া মিটার রিডিং ৬৮৭৩ ইউনিট। একইভাবে বি১-এইচ বাসার মালিক কালাম হোসাইন। তারা বাসার মিটার নং ১০৬৮১৩৯২। বর্তমানে এই মিটারের রিডিং ১১৩৮৭ ইউনিট, আগের মিটার রিডিং ৬২৩৫ ইউনিট। বকেয়া মিটার রিডিং ৪৮৯৭ ইউনিট।
সম্প্রতি শাহজাহানপুর থানা সংলগ্ন ২১ নম্বর ভবনের পেছেনে ই কে/১/১, ই কে/১/এ, ই কে/১/বি, ই কে/১/সি, এ বি ২৯/এ এবং এ বি ২৯/বি এর কাঁচা কোয়ার্টারের মিটারে গড়মিল পাওয়া গেছে। প্রত্যেকটি মিটারে২৫/৩০ হাজার রিডিং জমা আছে। টাকার হিসেবে প্রতিটিতে প্রায় দুই/আড়াই লাখ টাকা বকেয়া থাকলেও বড় অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে মিটার পরিবর্তন করে দিয়েছে মনিরুল। শাহজাহানপুর রেল কলোনীর বাসিন্দারা জানান, প্রত্যেকটি বাসায় বাড়তি অর্থের বিনিময়ে ভুল তথ্য দিয়ে এভাবে বিদ্যুৎ বিল কম দেখাচ্ছেন মনিরুল। নিজে লাভবান হলেও সরকারকে বড় অঙ্কের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত করছেন তিনি।
অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, নরসিংদীর রেল কলোনীতে রেলের বৈধ বাসা ২৫টিরও বেশি। কিন্তু সরকার ৭টি থেকে রাজস্ব পাচ্ছে। বাকি বাসা থেকে মনিরুল বিকাশ বা অন্যান্য মাধ্যমে টাকা এনে বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ করে দিয়েছে। প্রত্যেক বাসা থেকে মনিরুল প্রতিমাসে গড়ে ২ হাজার টাকা আদায় করছে বলে সূত্র জানিয়েছে। এভাবে রাজধানীর গোপীবাগের রেল কলোনীর বাসা থেকেও বিদ্যুৎ বিল কম দেখিয়ে প্রতিমাসে বড় অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন মনিরুল।
এদিকে বাংলাদেশ রেলওয়ের মিটার রিডার মনিরুলের বিরুদ্ধে ঠিকমতো অফিস না করারও অভিযোগ রয়েছে। প্রতিষ্ঠানের সিসিটিভি ফুটেজ চেক করলেও পাওয়া যাবে ২/৩ দিন পর পর অফিসে এসে শুধু হাজিরা দিয়ে চলে যান তিনি। এমনকি তিনি অফিস না করলেও সরকারি অফিসে তার চেয়ারে বহিরাগতদের দিয়ে অফিস করান। বহিরাগতদের দিয়ে অফিস করানোয় সবসময়ই আতঙ্কে থাকেন অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তারা। মনিরুল ইসলামের অফিস চেয়ারে বসে বহিরাগতের কাজ করার দৃশ্যের ভিডিও ইনকিলাবের হাতে রয়েছে। এসব অভিযোগের বিষয়ে মনিরুলের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।