গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
পানিবদ্ধতামুক্ত-ব্যবসায়ী বান্ধব ওয়ার্ড গড়ার অঙ্গীকার করছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩৭, ৩৮ ও ৪১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীরা। পুরাণ ঢাকার এই ওয়ার্ডগুলোতে শিশু-কিশোরদের মানসিক বিকাশ ও চিত্তবিনোদনের জন্য কোনো খেলার মাঠ, ব্যয়ামাগার, পার্কের সমস্যা প্রকট। এছাড়া বিশুদ্ধ পানি, ড্রেনেজ সমস্যা, বৃষ্টিতে পানিবদ্ধতা, সরু রাস্তা, যানজট ওয়ার্ড বাসিন্দাদের ভোগান্তির কারণ। কাউন্সিলররা চান এই সমস্যা গুলো সমাধান করে সুন্দর পরিচ্ছন্ন ও বাসযোগ্য ওয়ার্ড গড়ে তোলার জন্য।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৩৭ ও ৩৮ নং ওয়ার্ড ওয়ারী থানার দুটি ওয়ার্ড। পুরোদস্তুর ব্যবসা বাণিজ্যের কেন্দ্র ৩৮ নং ওয়ার্ড। ৩৭ নং ওয়ার্ড এই ওয়ার্ডটি। আশেক লেন, বাধিকা মোহন বসাক লেন, হরি প্রসন্ন মিত্র রোড, সৈয়দ আওলাদ হোসেন লেন, কোর্ট হাউস ষ্ট্রীট, উচ্ছব পোদ্দার লেন, প্রসন্ন পোদ্দার লেন, রাখাল চন্দ্র বসাক লেন, বাঁশিচরণ সেন পোদ্দার লেন ইসলামপুর, নবরয় লেন, কৈলাশ ঘোষ লেন, শাখারী বাজার, রাজার দেউরী, জজকোর্ট, ডি, সি কোর্ট ও রায় সাহেব বাজার।
ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর আবু আহমেদ মন্নাফী ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় কাউন্সিলর নির্বাচন করবেন না। এখানে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থীরা সবাই হেভিওয়েট। তারা হলেন, ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী আশিকুর রহমান লাভলু, ৩৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার মঈনূর রহমান জুয়েল এবং আবু আহমেদ মন্নাফীর ছোট ছেলে ৩৮ নং ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ ইমতিয়াজ গৌরব। বিএনপির প্রার্থী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি কাজী আবুল বাশারের স্ত্রী কাজী মেহেরুন নেছা। ৩৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির নেতা এবং বাংলাদেশ অটো স্পেয়ার পার্টস মার্চেন্ট এন্ড ম্যানুফাকচারিং এসোসিয়েশনের প্রচার সম্পাদক অ্যাড. মাহফুজুর রহমান মনা।
আশিকুর রহমান লাভলু ৩৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি। শুধু এই ওয়ার্ড নয় পুরো ওয়ারি থানার মধ্যে জনপ্রিয়তা রয়েছে তার। গতবার তিনি দলীয় মনোনয়ন না পেলেও দলের কাউন্সিলর প্রার্থী আবু আহমেদ মন্নাফীর পক্ষে কাজ করেন। এবার তিনি সার্বিক বিবেচনায় এগিয়ে থাকবেন বলে মনে করেন। তার মতে, দীর্ঘদিন এই ওয়ার্ড ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের দায়িত্ব পালন করেছি। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি না হয়েও তাদের জন্য রাত-দিন কাজ করছি। আশা করছি, বঙ্গবন্ধুকন্যা আমাকে যথাযথ মূল্যায়ন করবেন। তিনি আরো বলেন, চৌধুরী আশিকুর রহমান লাভলু বলেন, নির্বাচিত হলে ওয়ার্ডের দুর্বল ড্রেনেজ ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার আধুনিকায়ন করে পানিবদ্ধতা নিরসন, মাতৃসদন, কমিউনিটি সেন্টার, হাসপাতাল, খেলার মাঠ, পাঠাগার ও ব্যায়ামাগার করব। এলাকার ব্যবসায়ীরা যাতে সুন্দর পরিবেশে ব্যবসা করতে পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিব।
আরেক প্রার্থী মঈনূর রহমান জুয়েলের বাবা মরহুম খন্দকার হাবিবুর রহমান ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন এবং এই ওয়ার্ডের (তৎকালীন ২৭) প্রথম কমিশনার ছিলেন। জুয়েল ছাত্রলীগ কর্মী হিসেবে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছেন। তিনি বর্তমানে এফবিসিসিআই’র পরিচালক এবং বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল মেশিনারি মার্চেন্টস এ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান। এছাড়া দীর্ঘ দিন ধরে নবাবপুর এলাকায় ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃত্বে দিয়ে আসছেন জুয়েল।
জুয়েল ইনকিলাবকে বলেন, বাবা এই এলাকার জনপ্রতিনিধি ছিলেন। আমিও এলাকার ব্যবসায়িক সংগঠনগুলোর নেতৃত্ব দিয়ে আসছি। জনপ্রতিনিধি না হয়েও এলাকার মানুষের সুখে দুঃখে পাশে আছি। মানুষের সেবা করার ক্ষেত্র বেড়ে যায় তাই নির্বাচন করতে চাই। দলের মনোনয়নের বিষয়ে আশাবাদি তিনি।
আহমেদ ইমতিয়াজ গৌরব ইতোমধ্যে এলাকাতে বেশ পরিচিত। বাবা মন্নাফী কমিশনার ও প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে গৌরব রাজনীতিবিদ ও সাধারণ জনগণের কাছে অনেক আগ থেকেই পরিচিত। গৌরব ইনকিলাবকে বলেন, বাবা আওয়ামী লীগের নেতা ও কাউন্সিলর হবার সুবাদে এলাকার সকলের সুখে দুঃখে পাশে থাকার সুযোগ হয়েছে। দল ও দলের বাইরে সকলের সাথে সুসম্পর্ক রয়েছে। দলের মনোনয়ন পেলে কাউন্সিলর নির্বাচন করবেন, তা না হলে দলের সিদ্ধান্ত মেনে কাজ করবেন। গৌরব আরো বলেন, কাউন্সিলর হতে পারলে চলমান উন্নয়ন কাজের গতি বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া কাজের এলাকার সুরু রাস্তা বড় করা, ফায়ার সার্ভিসের একটি সাব ষ্টেশন করা, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং এই এলাকার ব্যবসায়ীর সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবো।
বিএনপির প্রার্থী কাজী মেহেরুন নেছা বলেন, দলীয় সিদ্ধান্ত পেলে নির্বাচন করব। নির্বাচনে কারচুপি না হলে জনগণের বিপুল ভোটে নির্বাচিত হব। কাউন্সিলর নির্বাচিত হলে পানিবদ্ধতা নিরসনসহ খেলার মাঠ, কমিউনিটি সেন্টার স্থাপনসহ ওয়ার্ডের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করে একটি মডেল ওয়ার্ড উপহার দেব।
বিএনপির প্রার্থী অ্যাড. মাহফুজুর রহমান মনা ইনকিলাবকে বলেন, নির্বাচিত হতে পারলে পয়ঃনিষ্কার ব্যবস্থা উন্নত করা, পানিবদ্ধতা দূরীকরণ, খেলার মাঠ তৈরী করা, সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি, মাদকমুক্ত করার চেষ্টা করবো। সর্বোপরি ওয়ার্ডটিকে একটি আধুনিক ওয়ার্ডে রুপান্তরিত করার চেষ্টা করবো।
৪১ নং ওয়ার্ড:
ওয়ারী থানার লালমোহন শাহ্ স্ট্রীট, ভজহরি সাহা স্ট্রীট, দক্ষিন মসুন্দি, ওয়ারী ষ্ট্রীট, জয়কালী মন্দির রোড, নবাব ষ্ট্রীট, মদন মোহন বসাক রোড, টিপু সুলতান রোড, নারিন্দা রোড, জোরপুল লেন ফোল্ডার ষ্ট্রীট, চন্ডী চরণ বোস ষ্ট্রীট, হাটখোলা রোড এ্যান্ড বলধা হাউস, লারমিনি ষ্ট্রীট রাঁধা-শ্যাম সাহা ষ্ট্রীট নিয়ে গঠিত গঠিত ৪১ নং ওয়ার্ড। ওয়ার্ডে ড্রেনেজ সমস্যা, বিশুদ্ধ পানির সংকট নিয়ে এলাকাবাসীর ভোগান্তি রয়েছে। বর্তমান কাউন্সিলর সোরোয়ার হোসেন আলো জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব হলেও তিনি এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে হঠাৎ চোখে দেখতে পারছেন না। বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন।
এ ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থীরা হলেন, বর্তমান কাউন্সিলর সোরোয়ার হোসেন আলো, ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রশিদুল হক ভুইয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সহ-সভাপতি আলী আকবর বাবুল, ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল ইসলাম, রাশেদ রেজা রিজভী। বিএনপির প্রার্থী, ওয়ারী থানা বিএনপির সভাপতি হাজী লিয়াকত আলী।
বর্তমান কাউন্সিলর সোরোয়ার হোসেন আলো ইনকিলাবকে বলেন, আমার চোখের চিকিৎসা চলছে। অতীতে দলের জন্য অবদান ও কাউন্সিলর হিসেবে আমার কাজের মূল্যায়ন হিসেবে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশা করি। গতবার নির্বাচিত হয়ে ড্রেনেজ ব্যবস্থার ব্যাপক সংস্কার করেছি, পুরো ওয়ার্ড সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে এসেছি। প্রাইমারি স্কুলে প্রতিদিন ৫০০ শিশু শিক্ষার্থীকে টিফিনের ব্যবস্থা করি। আমি যা কাজ করেছি তাতে এলাকার বাসিন্দারা চায় আমি আবার কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হয়ে তাদের সেবা করি।
রশিদুল হক ভুইয়া ৪১ নং ওয়ার্ডের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি, বর্তমান ওয়ারী থানা আওয়ামীলীগ এর সহ সভাপতি, নারিন্দা জুনিয়র লায়ন্স ক্লাবের সভাপতি ৩০ বছর যাবত সভাপতি। তিনি ইনকিলাবকে বলেন, কাউন্সিলর নির্বাচিত হতে পারলে এলাকার ড্রেনেজ সমস্যা নিরসন, যুবকদের সামাজিক কাজে যুক্ত করা, রাস্তাঘাট সংস্কার করার মাধ্যমে একটি বাসিন্দাদের উন্নত সেবা প্রদান করার চেষ্টা করবো।
আলী আকবর বাবুল বলেন, দলের মনোনয়ন পেলে নির্বাচন করবেন। এলাকার বাসিন্দা চান নির্বাচন করি। জনপ্রতিনিধি না হলেও সামাজিক কাজের মাধ্যমে জনগণের সেবা করে আসছি। জনপ্রতিনিধি হতে পারলে সেবা করার পরিসর বাড়বে তাই নির্বাচন করবো।
শরীফুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন, যদি কাউন্সিলর নির্বাচিত হই তাহলে সর্বাধুনিক পরিকল্পনার মাধ্যমে একটি আধুনিক ওয়ার্ড হিসেবে গড়ে তুলবো। রাশেদ রেজা রিজভী বলেন, নির্বাচিত হতে পারলে সন্ত্রাস চাঁদাবাজ, ভূমি দস্যুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। ওয়ার্ডটি সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন রাখতে নিয়মিত কাজগুলো করবো।
৩৭ নম্বর ওয়ার্ড:
পুরান ঢাকার ইসলামপুর, পাটুয়াটুলী, পিকে রায় রোড, সদরঘাট, বাংলাবাজার, সিমসন রোড, কুমারটুলী লেন, জিএল সাহা লেন, কবিরাজ গলি, আহসানউল্লাহ রোড, লিয়াকত এভিনিউ, ওয়াইজঘাট, রমাকান্ত নন্দী লেন, লয়াল স্ট্রিট, চিত্তরঞ্জন এভিনিউ ও এর আশপাশের কয়েকটি এলাকা নিয়ে ডিএসসিসির ৩৭ নম্বর ওয়ার্ড। এ ওয়ার্ডে জনসংখ্যা প্রায় ৭০ হাজার। ভোটার রয়েছেন প্রায় ১২ হাজার ৪৫০ জন। ওয়ার্ডে ব্যবসায়ী, লঞ্চ যাত্রীসহ দৈনিক চলমান মানুষের সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ। ওয়ার্ডের ইসলামপুর, সদরঘাটসহ বিভিন্ন সড়ক ও ফুপাত দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে দোকানপাট। এতে অসহনীয় যানজটে অতিষ্ঠ বাসিন্দারা। বিশুদ্ধ পানির সংকট, আবাসিক ভবনে বাণিজ্যিক কার্যক্রমে নষ্ট হচ্ছে আবাসিক এলাকার পরিবেশ।
ওয়ার্ডের সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীরা হলেন- বর্তমান কাউন্সিলর ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কোতোয়ালী থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. আবদুর রহমান মিয়াজী, ৩৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. আনিসুর রহমান খোকন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. রিপন বেপারী। ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও ইসলামপুর দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হাজী মো. ফরহাদ রানা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শ্রমিক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. সুমন ভূঁইয়া, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এবিএম পারভেজ রেজা।
এ ওয়ার্ডের বিভিন্ন সড়কে ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন পলিথিন, ময়লা-আবর্জনা ড্রেনে ফেলায় মাঝে মধ্যেই পয়ঃনিষ্কাশন ড্রেনগুলো অকেজো হয়ে পড়ে। নিয়মিত পরিষ্কার না করায় বৃষ্টিতে এ সমস্যা আরো প্রকট হয়। বর্তমান কাউন্সিলর মো. আবদুর রহমান মিয়াজী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন ২০ বছর, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি বলেন, আমি কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর ওয়ার্ডের ১৭টি রাস্তার সবক’টিই সিসি ঢালাই করে পাকা করেছি। ড্রেনেজ সংস্কার করে বড় পাইপ বসানো এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা তদারকি করায় এলাকায় বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় না ও অপরিচ্ছন্ন থাকে না। কমিউনিটি সেন্টার করতে চেয়েছি কিন্তু জমি সল্পতার কারণে তা হয়নি, আশা করি নির্বাচিত হলে জমির ব্যবস্থা করে কমিউনিটি সেন্টার করতে পারবো। ওয়ার্ডে একটি খেলার মাঠ করার প্রয়োজন কিন্তু জায়গার অভাবে তা প্রায় অসম্ভব। এছাড়া ওয়ার্ডের সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনকে সহযোগিতা করে কাজ করেছি। সর্বোপরি চেষ্টা করে যাচ্ছি সকলের প্রচেষ্টা সুন্দর ওয়ার্ড গড়ে তোলার জন্য। পুনরায় নির্বাচিত হলে অসমাপ্ত কাজ ও চলমান কাজ সমাপ্ত করে একটি আধুনিক ওয়ার্ড উপহার দিব।
মো. রিপন বেপারী ইনকিলাবকে বলেন, মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করছি। আমি কাউন্সিলর নির্বাচিত হলে শিক্ষার মান উন্নয়নে ও নাগরিক সুবিধার জন্য যা করতে হয় সে মোতাবেক কাজ করব। ওয়ার্ডের নাগরিক সুবিধা পেতে সামাজিক ও ধর্মীয় বিভিন্ন কমিটিতে থেকে থেকে উন্নয়ন কাজ করে আসছি। দলীয় মনোনয়ন পেলে ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের ভোটে কাউন্সিলর নির্বাচিত হব। নির্বাচিত হলে ওয়ার্ডকে ঢেলে সাজাব। কমিউনিটি সেন্টার, সরকারি স্কুল প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করবো।
বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী মো. সুমন ভূঁইয়া শ্রমিক দলের দক্ষিণের সিনিয়র সহ-সভাপতি, সদরঘাট শ্রমিক দল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক, ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক। তিনি ইনকিলাবকে বলেন, দলীয় মনোনয়ন পেলে কাউন্সিলর পদপ্রার্থী হব। ওয়ার্ডে কোন কমিউনিটি সেন্টার নাই। নির্বাচিত হলে নাগরিক সুবিধাগুলো নিশ্চিত করবো। ঘাট আছে, সেখানে যেসব অনিয়ম ও বৈষম্য আছে তা দূর করা হবে। ১৯৯২ সাল থেকেই এই দলের সাথে আছি। প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে মাঠে ছিলাম, আছি। মাঠের কর্মী হিসেবে দল আমাকে মূল্যায়ন করবে বলে আশা করি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।