Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বরাদ্দ পেতে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ

ময়মনসিংহে কালো তালিকাভুক্ত ৩১ মিল

মো. শামসুল আলম খান | প্রকাশের সময় : ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

ময়মনসিংহে কালো তালিকাভুক্ত ৩১টি মিলে বরাদ্দ পেতে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ উঠেছে। খোদ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে ঘটেছে মারপিটের ঘটনাও। অতঃপর বিষয়টি গড়িয়েছে থানা পুলিশে। প্রকৃত মিলারদের মাঝে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার ফলে তোলপাড় সৃষ্টি হয় খাদ্য বিভাগের ভেতরে-বাইরে।
সূত্র জানায়, বিগত সময়ে স্থানীয় একটি সিন্ডিকেট প্রভাব বিস্তার করে অস্তিত্বহীন ভুয়া মিল, বন্ধ মিল এবং একই মিলের নামে একাধিক লাইসেন্সে বরাদ্দ দেখিয়ে বিপুল পরিমাণ চালের বরাদ্দ নিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ফলে সম্প্রতি ময়মনসিংহ জেলায় সরকারিভাবে খাদ্যশস্য ক্রয় অভিযানে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে সরেজমিনে অনিয়ম তদন্তের নির্দেশ দেন খাদ্যমন্ত্রী।

সরেজমিন তদন্তে অস্তিত্বহীন ও ভুয়া মিলের প্রমাণ মিললে জেলার মোট ৩১টি মিলের বরাদ্দ বাতিল করে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়। কিন্তু গত ১৯ ডিসেম্বর ওইসব কালো তালিকাভুক্ত মিলে বরাদ্দ পেতে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মাঝে অবৈধ চাপ সৃষ্টি করে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালায় স্বঘোষিত মিল মালিক সমিতির সভাপতি খলিলুর রহমান, কথিত সাধারণ সম্পাদক হাজী এরশাদ আলী ও আব্দুল মান্নানের নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট। এ সময় খলিলুর রহমান ও হাজী এরশাদের নেতৃত্বে হাসিম আটো রাইস মিলের মালিক মো. হাসিম উদ্দিনের ওপর হামলা চালায়।
পরে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মো. হাসিম উদ্দিন কোতয়ালী মডেল থানায় সাধারন ডায়েরি দায়ের করেছেন। সূত্রের দাবি, ময়মনসিংহ সদর উপজেলায় মোট ৮৯ মিলের সঙ্গে খাদ্য বিভাগ চাল ক্রয়ের চুক্তি করলেও অনিয়ম-দুর্নীতি অভিযোগে তদন্ত সাপেক্ষে ১৫ মিলের বরাদ্দ বাতিল করে ৭৪ মিলে বরাদ্দ দেয়া হয়। তার মধ্যে ১৩ মিল নামে বেনামে সচল দেখিয়ে এবং আতপ চালের মিলে সিদ্ধ চাল দেখিয়ে বরাদ্দ নেয় খলিলুর রহমান ও হাজী এরশাদ আলীর সিন্ডিকেট।

অভিযোগ রয়েছে, আগের মন্ত্রীর আমলে হাজী এরশাদ আলী নামে-বেনামে অস্তিত্বহীন মিলের বিপরীতে প্রায় এক হাজার মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ নিয়ে কমপক্ষে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে খাদ্য বিভাগ থেকে। এনিয়ে মিলারদের মাঝে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অভিযোগ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ