পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
বিশেষায়িত বেসিক ব্যাংকের স্বতন্ত্র বেতন-কাঠামো বাতিল করে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকের অনুরূপ বেতন কাঠামো নির্ধারণ করা হয়েছে। গত ১১ ডিসেম্বর ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত রোববার রাত ৮টায় ব্যাংকটির মানবসম্পদ বিভাগের মহ্যব্যবস্থাপক আহমেদ হোসেন স্বাক্ষরিত এই সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশ জারি করা হয়। এতে বলা হয়েছে, বেসিক ব্যাংকের বেতন কাঠামো হবে রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের অনুরূপ। এ ব্যাপারে গতকাল সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন এ মজিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বতন্ত্র বেতনকাঠামোতে বেতন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ব্যাংকটি বড় ধরনের লোকসানে থাকার কারণে বিদ্যমান কাঠামোতে বেতন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই বেসিক ব্যাংকের বর্ধিত বেতন কাঠামো বাতিল করা হয়েছে। তিনি বলেন, এখন থেকে বেসিক ব্যাংকের বেতন কাঠামো হবে রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকের অনুরুপ। তবে কোনো কর্মকর্তা কত টাকা বেতন পাবেন তা ফিক্সেশন করার পর জানা যাবে। তবে ইতোমধ্যে নতুন বেতন কাঠামো কার্যকর করা হয়েছে।
অন্যদিকে বেসিক ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, গত রোববার রাত ৮টায় ব্যাংকটির মানবসম্পদ বিভাগের মহ্যব্যবস্থাপক আহমেদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বেসিক ব্যাংকের বেতন কাঠামো হবে রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের অনুরূপ। তিনি বলেন, এই আদেশের ফলে বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন আগের চেয়ে কমে যাবে।
নতুন বেতন কাঠামোর নির্দেশনা জারি করায় বেসিক ব্যাংকে কর্মী অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুর থেকে সেনা কল্যাণ ভবনে বেসিক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে কর্মীরা বিক্ষোভ করেছেন। এ সময় তারা এমডি কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেসিক ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, ব্যাংকের সার্কুলার অনুযায়ী বেতন কাঠামো দেখে আমরা নিজ যোগ্যতায় চাকরি নিয়েছি। এখন বেতন কমানো অযৌক্তিক, এটা লেবার ল’ অনুযায়ী বেআইনি।
তিনি জানান, আমরা যখন চাকরি নিয়েছি তখন আমাদের বয়স কম ছিল, সরকারি অন্যান্য চাকরিতে যাওয়ার একটি অবস্থা ছিল। আমাদের অনেক চাকরির অফার ছিল কিন্তু আমরা যাইনি। এখন আমাদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা অতিক্রম করেছে। এই অবস্থায় বেতন কমানোর মাধ্যমে আমাদের ওপর অন্যায় করা হচ্ছে। এটি আমরা মানি না। আমরা এমডি’র কাছে জানিয়েছি। এমডি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন।
পরিসদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে অপর এক কর্মী বলেন, বোর্ডের অদক্ষতা অযোগ্যতা আর অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে আমরা কর্মীরা কেন দায়ভার নেব? আমরা কোনো অন্যায় করিনি, আমরা আমাদের যোগ্যতা দিয়ে কাজ করছি। আমাদের বেতন কমানো অযৌক্তিক, অন্যায় ও অমানবিক। এটা আমরা কেন মানব? এদিকে বেসিক ব্যাংকের স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো বাতিল সংক্রান্ত একটি চিঠি ব্যাংকের সব শাখায় পাঠানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বেসিক ব্যাংক গত সাত বছর ধরে অব্যাহত লোকসানে থাকায় ২০১৩ সালের প্রবর্তিত ব্যাংকের নিজস্ব বেতন কাঠামো ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধাদি বাতিল করা হলো। এই সিদ্ধান্ত গত রোববার থেকে কার্যকর হয়েছে। চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, গত সাত বছর ধরে লোকসানে থাকায় স্বতন্ত্র বেতন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এখন থেকে বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তারা অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের বাস্তবায়ন অনুবিভাগের জারিকৃত ‘চাকরি (ব্যাংক, বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান) (বেতন ও ভাতাদি) আদেশ ২০১৫’-এর অনুরূপ কাঠামো অনুযায়ী বেতন পাবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।