Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ক্যাসিনো-মাদকমুক্ত ওয়ার্ডের প্রতিশ্রুতি আ.লীগের ভোটের শঙ্কায় বিএনপি

ঢাকা দক্ষিণ সিটি নির্বাচন : ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম

আসন্ন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মতিঝিল থানার ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডে বাসিন্দাদের সর্বোচ্চ নাগরিক সুবিধা প্রদান এবং মাদক, ক্যাসিনো, জুয়াসহ কোন অনৈতিক কাজে যেন কেউ না জড়াতে পারে সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের ওয়াদা দিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীরা। ৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মমিনুল হক সাঈদকে কাউন্সিলর পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে এবং যুবলীগ ঢাকা দক্ষিণের যুগ্ম-সাধারণ পদ থেকেও বহিষ্কৃত। তিনি বর্তমানে দেশের বাইরে রয়েছেন। তাই এই ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সংখ্যা বেশি। তবে ৮ নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থীদের ওতটা দৌড়ঝাপ নেই। দুই ওয়ার্ডেই কাউন্সিলরদের কর্মকাণ্ড নিয়ে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ রয়েছে।
সাধারণ মানুষ চায় ক্লাব পাড়ার সম্মান ফিরে আসুক। রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র অফিস পাড়া হিসাবে পরিচিত এই এলাকার জলাবদ্ধতা নিরস মাদক ও ক্লাব পাড়ার ক্যাসিনো জুয়া নির্মূল থেকে শুরু করে সড়কবাতি, সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ, পরিচ্ছন্ন ও পরিকল্পিত ওয়ার্ড হিসেবে গড়ে উঠুক।
রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র মতিঝিলের ও কমলাপুরের আশপাশের এলাকা নিয়ে ৮ নং ওয়ার্ড। বাংলাদেশ ব্যাংক কলোনী, সোনালী ব্যাংক কলোনী, আর কে মিশন রোডের আংশিক, গোপীবাগ, কমলাপুর উত্তর ও দক্ষিণ, মতিঝিল রেলওয়ে ব্যারাক, জসিম উদ্দীন রোড এই ওয়ার্ডে অন্তর্ভূক্ত। ওয়ার্ডে ২৩ হাজার ভোটার। আর আরামবাগ, ফকিরেরপুল, ফকিরেরপুল বাজার এলাকা, মতিঝিল বাণিজ্যিক/এলাকা, দিলকুশা বাণিজ্যিক/এলাকা, বঙ্গভবন নিয়ে গঠিত ৯ নং ওয়ার্ডে ভোটার ২৬ হাজার।
৯নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের প্রার্থী:
ডিএসসিসির ৯ নং ওয়ার্ড সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীরা হলেন, মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মো: সাব্বির হোসেন, ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক কার্যনিবাহি কমিটির সদস্য ও আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের সহ-সভাপতি হাজী আব্দুল কাদের, ঢাকা বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক অ্যাড. বাহালুল আলম বাহার, থানা আওয়ামী লীগ নেতা ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম শামীম, থানা আওয়ামী লীগ নেতা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক মো. আল আমিন।
হাজী সাব্বির হোসেন ইনকিলাবকে বলেন, দলের মনোনয়ন পেলে নির্বাচন করবো, তা না হলে নির্বাচন করবো না। আমি নির্বাচিত হলে এলাকাবাসীর সুখ দুঃখে পাশে থাকবো, এলাকার উন্নয়নে নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে কাজ করে যাব, ক্যাসিনোমুক্ত ওয়ার্ড গড়বো। হাজী আব্দুল কাদের ইনকিলাবকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে যোগ্য মনে করে মনোনয়ন দেন তাহলে আমি নির্বাচন করব, আমাকে না দিয়ে যাকে দেন তার পক্ষে কাজ করব। তবে আমি চাই এই ওয়ার্ডের স্থানীয় ব্যক্তিরা জনপ্রতিনিধি হয়ে আসুন। জনগণ যাতে ভালো একজন মানুষ কে ভোট দেন। আমি নির্বাচিত হলে, এই ওয়ার্ডকে মাদকমুক্ত করবো, সন্ত্রাস-চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকবো। এলাকাবাসীর যেকোন বিপদ আপদে ঝাপিয়ে পড়বো। পাশাপাশি একটি কমিনিউটি সেন্টার নির্মাণের চেষ্টা করবো। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহযোগীতায় মতিঝিল ক্লাব পাড়ার ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনব। এলাকায় ক্যাসিনোর মত অভিশাপ যেন ফিরে না আসে সেজন্য কাজ করব।
আরেক প্রার্থী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি মো. বাহালুল আলম বাহার ঢাকা বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক ছিলেন এবং বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবি পরিষদের নেতা। ছাত্রজীবনে মতিঝিল থানা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি বলেন, আমি জনগণের সেবা করার জন্য কাউন্সিলর হতে চাই। জনগণ চায় আমি নির্বাচন করি। আমি যেমন এলাকায় কোনো চাঁদাবাজি করব না, তেমনি নির্বাচিত হলে কাউকে এলাকায় কোনো চাঁদাবাজি করতেও দেব না। মাদক নির্মূলে সবোর্চ্চ ভূমিকা রাখবো। উন্নয়ণ দেশের আদলে একটি পরিচ্ছন্ন বাণিজ্যিক এলাকা গড়ে তুলতে যা যা করণীয় তা করবো। তরুণ সমাজকে খেলাধুলা ও সামাজিক কাজে যুক্ত করবো এবং ব্যবসায়ীদের সকল সমস্যা নিরসনের চেষ্টা করবো।
কাউন্সিলর প্রার্থী আমিনুল ইসলাম শামীম বলেন, জনগণ চায় এ ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দারা জনপ্রতিনিধি হয়ে আসুক। আমি নির্বাচিত হলে, নিয়মিত উন্নয়ন কাজের পাশাপাশি কমিউনিটি সেন্টার ও খেলার মাঠ করব। তরুণ সমাজকে সামাজিক কাজে যুক্ত করবো এবং ইয়ং গ্যাংস্টারের সমস্যা নিরসনের চেষ্টা করবো। এলাকার নাগরিক সমস্যা দূর করার পাশাপাশি মাদক নির্মূলে কাজ করবো।
কাউন্সিলর প্রার্থী মো. আল আমিন ইনকিলাবকে বলেন, ক্লাব পাড়া হিসেবে এই ওয়ার্ড ইমেজ সংকটে রয়েছে। এখানের বাসিন্দারা চান এলাকার সুনাম ফিরিয়ে আনতে। দলের নেতাকর্মী এবং সাধারণ জনগণ চায় আমি কাউন্সিলর নির্বাচন করি; তাই প্রার্থী হয়েছি। এলাকার বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে আমি জড়িত, সব সময় সাধারণ মানুষকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করি। যদি দলের মনোনয়ন পাই এবং নির্বাচনে জয়লাভ করি তাহলে, মাদক, ক্যাসিনো, চাঁদাবাজি মুক্ত ওয়ার্ড গড়ে তুলবো।
৯নং ওয়ার্ডে বিএনপির প্রার্থী:
ক্লাব পাড়া হিসেবে পরিচিত ৯নং ওয়ার্ডটিতে বিএনপির প্রার্থী হতে চান বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন আনু এবং শ্রমিক দলের নেতা এইচ এম মাহবুব। ক্রীড়াঙ্গনে অবদানের কারণে এই এলাকার ক্লাবগুলো যে সুনাম দীর্ঘদিন ধরে ছিল সেটি ক্যাসিনো কাণ্ডে ধুলিস্যাৎ হয়ে যাওয়ায় এবার সেটিকেই প্রচারণায় কাজে লাগাচ্ছে বিএনপির প্রার্থীরা। নির্বাচিত হয়ে পুনরুদ্ধার করতে চান হারানো সেই ঐতিহ্য। পাশাপাশি দাবি জানাচ্ছেন শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের।
আনোয়ার হোসেন আনু বলেন, আমার দল আমাকে দলীয় মনোনয়ন দিলে আমি নির্বাচন করব, গত নির্বাচনেও আমি প্রার্থী হয়েছিলাম। জোর-জবরদস্তি, কেন্দ্র দখল করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচিত হওয়ার পর বর্তমান কাউন্সিলর তেমন কোন উন্নয়ন করতে পারেননি। এই ওয়ার্ডে কমিনিউটি সেন্টার নেই সেটি স্থাপন করতে পারেনি। জনগণ ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করলে প্রথমে আমি একটি কমিনিউটি সেন্টার স্থাপন করব এবং নাগরিকদের যে সকল সুযোগ সুবিধা থাকা প্রযোজন তা নিশ্চিত করব।
এইচ এম মাহবুব শ্রমিক দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, ঢাকা মহানগর প্রিন্টিং বাইন্ডিং শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে গিয়ে ২৩টি মামলার আসামী এবং তিনবার কারাবরণ করেছেন। তিনি বলেন, দলের জন্য মামলা-হামলা নিয়ে দলীয় কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছি। বেগম জিয়ার কারাবন্দী হওয়ার দিনসহ প্রতিটি কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছি। প্রিন্টিং সংগঠনে নেতৃত্ব দেয়ার কারণে ফকিরাপুল-আরামবাগ এলাকায় শ্রমিকদের সাথে ঘনিষ্ট ও সসম্পর্ক রয়েছে। দল মনোনয়ন দিলে জয়লাভ করতে সক্ষম হবো।
মাহবুব বলেন, নির্বাচিত হতে পারলে ক্যাসিনো কাণ্ডে ওয়ার্ড যে দুর্নাম কুড়িয়েছে এই এলাকার ক্লাবগুলো তা পুনরুদ্ধার করবো। এই এলাকায় খেলার মাঠ, কমিউনিটি সেন্টার নেই, নির্বাচিত হলে এসবসহ অন্যান্য যে সমস্যাগুলো আছে তা সমাধানের চেষ্টা করবো। সিটি করপোরেশনের যেসব নাগরিক সুবিধা রয়েছে তা সকলের দ্বারে পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করবো।
ডিএসসিসির ৮ নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের প্রার্থী:
সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীরা হলেন, ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি বর্তমান কাউন্সিলর হাজী মোঃ সুলতান মিয়া, মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ শাকিল আহমেদ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ওয়ার্ডেও যেখানে সেখানে মশার অদ্রব ও মাদকের আড্ডা, দক্ষিণ কমলাপুর কবরস্থান এলাকায় প্রায় সময় দেখা দেয় পানির সংকট, ওয়ার্ডেও বিভিন্ন স্থানে দেখা দেয় গ্যাসের সমস্যাও। বাসাবাড়ি থেকে আনা ময়লা-আর্বজনা অস্থায়ীভাবে রাখার জন্য নেই কোন সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) শিশু কিশোরদের বিনোদনের জন্য নেই কোন বিনোদন র্পাক।
হাজী মোঃ সুলতান মিয়া ইনকিলাবকে বলেন, আমার কাছে জনগনের অনেক কিছু চাওয়ার আছে, আমি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি জনগনের আমার কাছে অনেক কিছু চাওয়ার আছে। আমার দ্বারা জনগণ কোন প্রতারিত হয়নি। আমি আসার পর এলাকার জলাবদ্ধতা সুয়ারেজ সমস্যা সমাধান এবং রাস্তা গুলা সংস্কার করেছি। আমার নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিল তার অনেকটা পূরণ করার চেষ্টা করেছি, গ্যাস ও ওয়াসার পানিতে যে সমস্যাটা আছে আর একটি সরকারি বাজার ও খেলার মাঠ তার বিষয়ে এমপি ও এবং মেয়র মহোদয়ের সাথে কথা হয়েছে আশা করি সে সমস্যাটা আর থাকবেনা। এখানে স্থায়ী কোন মাদক ব্যবসায়ি নেই যা আছে ভ্রাম্যমান তাদের বিরুদ্ধে আমাদেও অভিযান অব্যাহত থাকবে, ওইওয়ার্ড মাদক মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত।
মতিঝিল থানা আওয়ামীলীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ শাকিল আহমেদ বলেন, এই ওয়ার্ডটি অনেক ছোট একটি ওয়ার্ড। বিগত সময়ে এলাকাবাসীর কাক্সিক্ষত আশা বাস্তবায়ন না হওয়ায় সবাই চান আমি কাউন্সিলর নির্বাচন করি। দলের মনোনয়ন পেলে এবং কাউন্সিলর হতে পারলে ওত্র এলাকার চাঁদাবাজি বন্ধ, মাদক নির্মূলে কাজ করবেন তিনি।
৮নং ওয়ার্ডে বিএনপির প্রার্থী:
এই ওয়ার্ডে গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ছিলেন ইসমাঈল হোসেন। এবার পারিবারিক সমস্যার কারণে তিনি প্রার্থী হতে চান না। তবে এই ওয়ার্ডের বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সভাপতি ও বর্তমানে মতিঝিল থানা বিএনপিসাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। ইতোমধ্যে তিনি ওয়ার্ডটিতে নিজের অবস্থান সুসংহত করেছেন। তার পাশাপাশি ওয়ার্ড বিএনপির আরেক নেতা মিয়া হোসেনও চান দলের মনোনীত কাউন্সিলর হতে।
জানতে চাইলে আলমগীর হোসেন বলেন, বিএনপি বিশেষ করে ৮নং ওয়ার্ডটি সব সময় বিএনপির শক্তিশালী ঘাটি হিসেবে পরিচিত। এখানে শান্তিপূর্ণ ভোট হলে ৭০ শতাংশ ভোটই বিএনপি মনোনীত প্রার্থী পাবে। কারণ গত ৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগের যিনি কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন উল্লেখযোগ্য কোন কাজই করেননি। এমনকি এলাকার মানুষ তাকে চেনেই না। অন্যদিকে আমার ক্লিন ইমেজ এবং দলের ভোট ব্যাংককে কাজে লাগিয়ে যদি প্রকৃত পক্ষে ফেয়ার নির্বাচন হয় তাহলে বিএনপিকে এই ওয়ার্ডটি উপহার দিতে পারবো। আর যদি বিগত দিনের মতো লোক দেখানো, কেন্দ্র দখল করে ভোট গ্রহণ করা হয় তাহলে এই নির্বাচনের কোন মানেই হয় না।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঢাকা দক্ষিণ সিটি নির্বাচন
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ