পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগের কমিটি গঠনের পর সিলেটে নেতাকর্মীদের মাঝে এখন চরম হতাশা বিরাজ করছে। শেষ পর্যন্ত সিলেট কি নেতৃত্ব শূন্য হয়ে যাবে? এমন প্রশ্ন এখন সিলেট আওয়ামী লীগে ঘুরপাক খাচ্ছে। নেতাদের চোখ ছিল শনিবারে। কিন্তু সেদিন তাদের আশা পূরণ হয়নি। তারা আশা করছেন আজ প্রত্যাশামতো কিছু হবে।
আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলন শেষ হয়েছে গত শনিবার। দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে শনিবার শেষ দিনে দলটির বিভিন্ন পদে নেতাদের নাম ঘোষণা করা হয়। তবে ঘোষিত হয়নি পূর্ণাঙ্গ কমিটি। দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্যদের বৈঠক আছে। এ বৈঠকে আলোচনা করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষিত হতে পারে। জানা গেছে, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি হয় ৮১ সদস্যের। তবে সম্মেলনের শেষ দিনে ৪২ জনের নাম ঘোষণা করা হয়। বাকি ৩৯ সদস্যের নাম মঙ্গলবার ঘোষণা করা হতে পারে।
পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার দিকেই এখন সিলেট আওয়ামী লীগের নেতাদের চোখ রয়েছে। এসব নেতারা হলেন, এ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, অধ্যাপক রফিকুর রহমান, শফিকুর রহমান চৌধুরী ও আসাদ উদ্দিন আহমদ। তিনজন আওয়ামী লীগের আগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ছিলেন।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ঘোষিত ৪২ জনের মধ্যে সিলেটের এসব নেতাদের কারো নাম নেই। ফলে এসব নেতা এখন বাকি ৩৯ সদস্যের তালিকা আসার অপেক্ষায় রয়েছেন। বিশেষ করে আগের কমিটির মিসবাহ, কামরান ও রফিকুর এবারও কমিটিতে জায়গা করে নিতে চাইছেন। অন্যদিকে, শফিক ও আসাদ প্রথমবারের মতো কেন্দ্রে জায়গা পাওয়ায় আশায় আছেন। এ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ টানা তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রথম দুই মেয়াদে তিনি সিলেট বিভাগীয় দায়িত্ব পালন করেন। শেষ মেয়াদে ময়মনসিংহ বিভাগের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তবে দলের এবারের সম্মেলনে তিনি পদ হারিয়েছেন।
বদর উদ্দিন আহমদ কামরান ছিলেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি। গেল ৫ ডিসেম্বর জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনের পর দীর্ঘ প্রায় দুই দশক পর তিনি মহানগরের সভাপতির পদ হারান। একই আশায় আছেন অধ্যাপক রফিকুর রহমান। আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনের পর তাকে নির্বাহী সদস্য করা হয়। বর্তমানে তিনি মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। গেল ৫ ডিসেম্বর পদ হারান সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ।
শঙ্কা নিয়ে অপেক্ষায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের সাবেক ৩ বারের সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ ও সাবেক সদস্য বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। দলের ২১তম সম্মেলনে ৪২ সদস্যের নাম ঘোষণা করা হলেও মিসবাহ-কামরানের নাম এখনও ঘোষণা করা হয়নি। তবে পরবর্তীতে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে আসতে পারে মিসবাহ-কামরানের নাম। কেন্দ্রীয় কমিটিতে সিলেট থেকে একমাত্র নুরুল ইসলাম নাহিদ সভাপতিমন্ডলীর সদস্য হিসেবে স্থান পেয়েছেন। কমিটিতে সিলেটের রাজনীতিবিদদের নাম না থাকায় দলীয় নেতাকর্মী ও তাদের সমর্থকরা হতাশায় ভুগছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।