পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নাগেশ্বরী ছিলাখানা মডেল কলেজের অধ্যক্ষের পদ নিয়ে শিক্ষক কর্মচারী ও কলেজ সভাপতির মধ্যে রশি টানাটানি চলছে। জানা যায়, উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের ছিলাখানা মডেল কলেজের সভাপতি জহুরুল হক গোপনে তার মনগড়া কাগজে কলমে কলেজের ম্যানেজিং কমিটি তৈরি করেন।
বর্তমান স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. আছলাম হোসেন সওদাগরের সুপারিশ ও স্বাক্ষর জাল করে তিনি ভুয়া কাগজ তৈরি করে তার শ্যালিকার স্বামী পার্শ্ববর্তী ফুলবাড়ী উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ অনন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ করেছেন। এতে করে শিক্ষক কর্মচারীগণ ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন। বিষয়গুলি তারা সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে আরও জানা যায়, একই ব্যক্তি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রূপ ধারণ করে কলেজটিকে নিজের কব্জায় রেখে পরিচালনা করতে চায়। জহুরুল হক কখনও অধ্যক্ষ কখনও সভাপতি কখনও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আবার কখনও নিজের স্ত্রী রাশেদা বেগমকে দাতা সদস্য দেখিয়ে নানামুখী কৌশল অবলম্বন করছেন।
এভাবে তার একক সিদ্ধান্তে কলেজের সিনিয়র শিক্ষককে বাদ দিয়ে তার নিজ আত্মীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলামকে অধ্যক্ষ করলে তার সরকারি চাকুরি নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। পরে তাকে বাদ দিয়ে আবারও তার আরেক আত্মীয় জুনিয়র শিক্ষক আলতাফ হোসেনকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেন। যা কলেজের শিক্ষক কর্মচারীগণ মেনে নিতে পারছেন না। এছাড়াও জাল সুপারিশ ও স্বাক্ষরের বিষয়টি শিক্ষক কর্মচারীরা এমপির নিকট লিখিত অভিযোগ করলে তিনি বিষয়টি ডিওলেটারের মাধ্যমে দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেন। ভুয়া ম্যানেজিং কমিটি ভেঙ্গে এডহক কমিটি গঠনসহ ভুয়া ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অপসারণ করে সিনিয়র প্রভাষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগদানের সুপারিশ করেন। শিক্ষক-কর্মচারীসহ স্থানীয়দের দাবি বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আলতাফ হোসেনকে অপসারণ করে কলেজের সিনিয়র শিক্ষক গোলাম মোস্তফাকে অধ্যক্ষ করা হলে ছিলাখানা মডেল কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক অবস্থানে ফিরে আসবে।
এ ব্যাপারে ১৭ ডিসেম্বর নাগেশ্বরী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কামরুল ইসলাম অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিন তদন্তে যায়। তদন্তের শেষ পর্যায়ে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের পতাকা উত্তোলন কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তদন্ত কর্মকর্তা স্থান ত্যাগ করেন।
এ ব্যাপারে কথা বলতে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আলতাফ হোসেনকে একাধিকার ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। সভাপতি জহুরুল হক বলেন, বিষয়টি এমপি সাহেব জানেন, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার তদন্ত করে গেছেন কোনো সমস্যা হবে না, নিস্পত্তি হয়ে যাবে।
তদন্ত কর্মকর্তা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. কামরুল ইসলাম বলেন, তদন্ত চলমান রয়েছে। তাছাড়া এখানে স্থানীয় এমপি মহোদয়ের সংশ্লিষ্টতা আছে, আর উনি ঢাকায় আছেন, এলাকায় আসলে ওনার সাথে কথা বলে তদন্তশেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কুড়িগ্রাম-১ আসনের সংসদ সদস্য আছলাম হোসেন সওদাগর বলেন, জাল সই-স্বাক্ষরের বিষয়টি আমি কনফার্ম না। সত্যতা যাচাইয়ে চেষ্টা চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।