পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ধূলোবালি ধোঁয়ার সাথে মিশেছে ঘন কুয়াশা। এতে করে আবহাওয়ায় মারাত্মক দূষণ তৈরি হয়েছে। সূর্যের রোদের তেজ মাটিতে পড়তে বাধা পাচ্ছে। তাছাড়া পৌষের বর্তমান সময়ে আবহাওয়া যেখানে সর্বাপেক্ষা শুষ্ক থাকাই স্বাভাবিক। সেখানে বাতাসে অস্বাভাবিক হারে জলীয়বাষ্পের উপস্থিতি। গতকাল (শনিবার) সন্ধ্যায় ঢাকার বাতাসে জলীয়বাষ্পের হার ৮৯ এবং সকালে ছিল ৯৯ শতাংশ।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ সূত্র জানায়, এহেন ধূলিদূষিত ঘন কুয়াশা এবং মাত্রাতিরিক্ত আর্দ্র বাতাসে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার গতিতে কনকনে হিমেল হাওয়ায় ভর করে ঠান্ডা আবহাওয়া পরিস্থিতি তীব্ররূপে বিরাজ করছে। এ অবস্থায় রাত ও দিনের তাপমাত্রার তফাৎ অনেকটাই কমে গেছে। গতকাল ঢাকার তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ ১৫.৫ আর সর্বনিম্ন ১২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনে-রাতে পারদের ব্যবধান মাত্র ৩.৩ ডিগ্রির। রংপুরে ছিল যথাক্রমে ১৫ এবং ১২, অর্থাৎ ৩ ডিগ্রির ফারাক। এতে করে পৌষের প্রথম সপ্তাহ পার না হতেই ঠান্ডায় শীতের কষ্ট ও নানামুখী জনদুর্ভোগ চরমে।
ধুলোবালি, ধোঁয়ায় দূষিত ঘন কুয়াশা এবং ঠান্ডাজনিত সর্দি-কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, চর্মরোগসহ বিভিন্ন রোগব্যাধিতে হাসপাতাল-ক্লিনিক, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ডাক্তারের চেম্বারে বিশেষ করে শিশু-বৃদ্ধ রোগীর ভিড় দিন দিন বৃদ্ধি পেয়েছে। গতকাল সারাদেশে সার্বিকভাবে রাতের পারদ কিছুটা ঊর্ধ্বে থাকলেও ভোর থেকে কুয়াশার ঘনত্ব আগের কয়েকদিনের চেয়ে ছিল বিস্তৃত। ঘন কুয়াশার কারণে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ফ্লাইট চলাচল বন্ধ রাখা হয়। ফ্লাইট সিডিউল হয়ে পড়ে এলোমেলো।
আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানা গেছে, আজ (রোববার) থেকে ক্রমশ প্রায় সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। আবার কোথাও কোথাও দিন ও রাতের পারদ থাকতে পারে অপরিবর্তিত। দেশের অনেক জেলায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় তাপমাত্রা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। এ সপ্তাহের শেষের দিকে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। যা পৌষের তীব্র শীতের আগমনী বার্তা বয়ে আনতে পারে।
এরপর পারদ ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গিয়ে প্রচন্ড শীত পড়তে পারে আসছে জানুয়ারি মাসের প্রথম পনের দিনের মধ্যে। জানুয়ারিতে দেশের উত্তররাঞ্চল, উত্তর-পশ্চিম, দক্ষিণ-পশ্চিম এবং ঢাকাসহ মধ্যাঞ্চলে ২ থেকে ৩টি মাঝারি থেকে তীব্র ধরনের শৈত্যপ্রবাহের কথা জানানো হয় আবহাওয়া বিভাগের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে।
এদিকে গতকাল দিনভর উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে আসা হিমেল কনকনে হাওয়ায় তীব্র ঠান্ডার দাপট আরও কিছুটা বেড়ে চলে রাজধানীসহ ঢাকা এবং বরিশাল বিভাগে। কুয়াশার সাথে ঠান্ডা কনকনে বাতাসে কর্মমুখী সর্বস্তরের মানুষের কষ্ট ও ভোগান্তি বেড়ে গেছে। অসুস্থ মানুষের দুর্ভোগ আরও চরমে।
ঘন কুয়াশার কারণে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ থাকে। এরফলে ফ্লাইট শিডিউল এলোমেলো হয়ে গেছে। গতকাল সকাল থেকে শৈত্যপ্রবাহের কামড় কমেছে দেশের উত্তরাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে। এসব অঞ্চলে আগের দুই তিন দিনের চেয়ে রাতের পারদ স্থানভেদে ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সে. বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে ঘন কুয়াশা পড়ছে দেশের প্রায় সর্বত্র।
শীতে জবুথবু ঢাকা বিভাগের ফরিদপুরে গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০.১ ডিগ্রি সে.। গোপালগঞ্জে ১০.৫, বরিশালের তাপমাত্রা ছিল সর্বনিম্ন ১০.৪ ডিগ্রি সে.। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ২৬.৪ ডিগ্রি সে.।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।