Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খুঁড়িয়ে চলছে রেলের মেরামত কারখানা

পার্বতীপুর (দিনাজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২২ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম


অর্থ ও জনবল সঙ্কটে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে রেলওয়ের ইঞ্জিন মেরামতের একমাত্র স্থান রেলের পশ্চিম জোনের পার্বতীপুরে অবস্থিত কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানা (কেলোকা)।
এখান থেকে প্রতি ৬ বছর অন্তর চলমান প্রত্যেকটি ইঞ্জিনের ভারী মেরামত ও দুর্ঘটনায় কবলিত, ত্রুটিযুক্ত রেল ইঞ্জিনের বিশেষ মেরামতের মাধ্যমে পুনরায় রেল বহরে যুক্ত করতে কাজ করা হয়। তবে বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত হওয়ায় বার্ষিক লক্ষমাত্রা (উৎপাদন) অর্জিত হচ্ছে না বলে কারখানা সূত্রে জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানা অফিস সূত্রে জানা গেছে, মেকানিক্যাল, ইলেক্ট্রিক্যাল, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি), ফার্মাসিষ্ট ও স্টোরসহ বিভিন্ন বিভাগে মঞ্জুরীকৃত মোট জনবলের সংখ্যা ৫৪৫জন। তবে বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র ২৩৬জন। আর শূন্য পদ রয়েছে ৩০৯টি। অর্থাৎ শতকরা ৪৪ ভাগ জনবল নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে এ কারখানার সকল কার্যক্রম। এতে ইঞ্জিন মেরামতের লক্ষমাত্রা পূরণ না হওয়ায় কাঙ্খিত সেবা দিতে পারছে না বাংলাদেশ রেলওয়ে।
জানা গেছে, চলতি অর্থবছর এ কারখানায় ৮৫ কোটি টাকার চাহিদার বিপরীতে এ পর্যন্ত বরাদ্দ পাওয়া গেছে ৫৫ কোটি টাকা। গত অর্থবছরে ৬০ কোটি টাকার চাহিদার বিপরীতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছিলো ৩৭ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছর কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানা থেকে ভারী মেরামতের লক্ষ্যমাত্রা ২৪টি হলেও জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারী মেরামত শেষে আউটটার্ন ইঞ্জিনের সংখ্যা ১০টি ও বিশেষ মেরামত করা হয়েছে ২৩টি রেল ইঞ্জিনের। এর আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রেল ইঞ্জিনের ভারী মেরামত (জেনারেল ওভার হোলিং) এর লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ২১টি। ভারী মেরামত শেষে আউটটার্ন করা হয়েছে ১৮টির। আর বিশেষ মেরামতের করা হয়েছে ২৫টি ইঞ্জিনের। বর্তমানে সারাদেশে চলাচলকারী যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রেনে ইঞ্জিনের সংখ্যা ২৬৩টি। এর মধ্যে ব্রডগেজ (বিজি) লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) ৯০টি ও মিটারগেজ ১৭৩টি রয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পার্বতীপুর কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানার প্রধান নির্বাহী (সিএক্স) প্রকৌশলী কুদরত-ই-খুদা বলেন, জনবল, অর্থ, যন্ত্র ও যন্ত্রপাতি এ চারটি হচ্ছে কারখানার মূল চাবিকাঠি। এর যে কোন একটির সঙ্কট হলে উৎপাদন ব্যহত হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। পার্বতীপুর রেল জংশন স্টেশনের উত্তর দিকে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল সংলগ্ন ১শ’ ১১ একর রেলওয়ের ভূ-সম্পত্তির ওপর ১৯৯২ সালে স্থাপিত হয় কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানা। সারাদেশে চলমান যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রেনে ব্যবহৃত প্রতিটি ইঞ্জিন ও দুর্ঘটনাজনিত ইঞ্জিনের বিশেষ মেরামত করা হয় এখান থেকেই। মূলতঃ এ কারখানা সারাদেশে রেলবহরকে সচল রাখে।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কারখানা

২৩ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ