গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
সমাজ সেবার নামে ‘হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক’ প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম সম্পূর্ণ ঈমান বিধ্বংসী ও শরীআহ বিরোধী কাজ। অবিলম্বে এই কার্যক্রম বন্ধে সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন উচ্চতর ইসলামী শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান শায়খ আবুল হাসান আলী নদভী ইসলামিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক ইসলামিক স্কলার ও গবেষক মাওলানা শহীদুল ইসলাম ফারুকী।
মাওলানা ফারুকী বলেন, ওআইসি’র ইসলামি ধর্মীয় বিধান বিষয়ক বোর্ড ‘মাজমাউল ফিকহিল ইসলামী’ (International Islamic jurist of OIC) এর ঐক্যমতের ভিত্তিতে মিল্ক ব্যাংককে হারাম ঘোষণা করা হয়েছে। ওআইসির ফতোয়া অনুসারে মিল্কব্যাংকে দুধ দান করা, মিল্কব্যাংক থেকে দুধ পান করা এবং মিল্কব্যাংক স্থাপন করা সবই হারাম। আর এর ওপরই উম্মাহর ইজমা ও ঐকমত্য। বিবৃতিতে তিনি বলেন, মুসলিম দেশে মিল্কব্যাংক গড়ে তোলার মতো অনৈসলামিক ও ঈমান বিধ্বংসী কোনো প্রজেক্ট মেনে নেয়া যায় না।
মাওলানা ফারুকী হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক হারাম হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে বলেন, ইসলামি শরীআহ’র পাঁচটি লক্ষ্য উদ্দেশ্যের একটি হচ্ছে, নছল তথা বংশধারা রক্ষা করা। এজন্যই ইসলামে বিবাহ বহির্ভূত সব ধরনের যৌন সম্পর্ক হারাম। হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক বংশধারা ও আত্মীয়তার সম্পর্ককে ধ্বংস করবে। ইসলামে দুধের সম্পর্কও রক্তের সম্পর্কের মতো। দুধ পান করার সাথে সাথে ওই মায়ের রক্তের লোকজন বিয়ের ক্ষেত্রে তার জন্য হারাম হয়ে যায়। আল্লাহ পাক কোরআনে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ (বিয়ের জন্য) তোমাদের দুধ মাতা, দুধ বোন’। (সূরা নিসা, ২৩)।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘রক্তের সম্পর্কের ভিত্তিতে যেসব স্বজনেরা (বিয়ের জন্য) হারাম তদ্রূপ দুধপানের সম্পর্কের ভিত্তিতেও তারা হারাম। (বুখারী ও মুসলিম)। হিউম্যান মিল্ক ব্যাংকের মাধ্যমে বহু অজানা দুধ ভাই বোন হবে, যাদের মধ্যে বিয়ে হারাম। অজ্ঞাতেই বহু হারাম বিবাহ হওয়ার আশঙ্কা থাকবে। সুতরাং হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক একটি হারাম ও শরীআহ বিরোধী কার্যক্রম শুরু করতে চাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, মুসলিম বিশ্বের কোথাও এ ধরনের কোনো মিল্ক ব্যাংক নেই। গণমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, বাংলাদেশে বেসরকারি অনুদানে একটি ইন্সটিটিউট এই মিল্ক ব্যাংক গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে।
সরকারকে অবশ্যই এর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে এবং এ ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হবে। তিনি বলেন, এদেশের ঈমানদার তৌহিদী জনতা ওআইসির সদস্যভুক্ত দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশে প্রকাশ্যে মিল্ক ব্যাংকের ইসলামী সমাজ ও শরীআহ বিরোধী কর্মকান্ড কোনোভাবেই মেনে নিবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।