Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মোশারফের বিরুদ্ধে রায় দেয়া বিচারপতির পদত্যাগ চাইছে পাক সরকার

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৩:১৯ পিএম

মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার আগে মৃত্যু হলে মোশারফের দেহ তিন দিন ইসলামাবাদের ডি-চকে ঝুলিয়ে রাখার নির্দেশ দেয়া সেই বিচারপতিকে‘মানসিক ভাবে অসুস্থ’ বলে দাবি করল পাকিস্তান সরকার। ওই বিচারপতির অপসারণ চেয়ে এ বার সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে আবেদন করতে চলেছে পাক-সরকার।

পাকিস্তানের আইনমন্ত্রী ফারোগ নাসীম পেশোয়ার হাইকোর্টের তিন সদস্যের বেঞ্চের মুখ্য বিচারপতি ওয়াকার আহমেদ শেঠকে ‘মানসিকভাবে অসুস্থ’ বলে মন্তব্য করেছেন। এই ধরনের রায় পাকিস্তানের আইনের বিরোধী বলেও তিনি জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন, ‘ফেডারেল গভর্মেন্ট এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের কাছে আবেদন জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোনও বিচারপতি যদি এমন রায় দেন তাহলে তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ এবং অযোগ্য।’ পাকিস্তানে সুপ্রিম কোর্ট বা হাই কোর্টের কোনও বিচারপতিকে সরানোর অধিকার রয়েছে এই সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে।

রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশারফের বিরুদ্ধে গত ১৭ ডিসেম্বর রায় দেয় পেশোয়ার হাইকোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চ। ২০০৭ সালে সংবিধান বাতিল করে সাংবিধানিক জরুরি অবস্থা ঘোষণার জন্য তিন সদস্যের বেঞ্চ তাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে। ২০১৪ সালেই তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে চার্জ গঠন হয়। ১৬৭ পাতার সেই রায়ে পারভেজ মোশারফের ফাঁসির সাজা হয়। শুধু তাই নয়, তাতে এও উল্লেখ করা হয় যে, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার আগে যদি মোশারফের মৃত্যু হয়, তাহলে তার মৃতদেহ ইসলামাবাদের ডি-চকে নিয়ে আসতে হবে। সেখানে তা তিন দিন ঝুলিয়ে রাখতে হবে। এই রায় প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মোশারফ অবশ্য দাবি করেছেন, তার বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই এই রায় দেয়া হয়েছে। এই রায়ের বিরোধিতা করেছে পাকসেনাও।

২০০১ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি ছিলেন পারভেজ মোশারফ। ২০০৮ সালে ইমপিচমেন্ট এড়াতে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। বর্তমানে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে রয়েছেন ৭৬ বছরের মোশারফ। একটি দুর্নীতির মামলায় তাকে সাত বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল পাকিস্তানেরই অন্য আদালত। সেই মামলায় শারীরিক অসুস্থতার কারণে জামিন পেয়েছেন তিনি। মোশারফ প্রায় তিন বছর ধরে দুবাইয়ে থাকেন। ২০১৬ সালের ১৮ মার্চ চিকিৎসার জন্য দুবাইয়ে গিয়ে আর ফেরেননি। তার কয়েক মাস পরেই বিশেষ আদালত তাকে অপরাধী ঘোষণা করে। বারবার আদালতে হাজির না হওয়ায় পাকিস্তানে থাকা মোশারফের সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দেয় আদালত। পরে আদালতের নির্দেশে বাতিল হয় তার পাসপোর্ট এবং সমস্ত পরিচয়পত্রও। সূত্র: আল-জাজিরা।



 

Show all comments
  • ash ২০ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৮:৩২ পিএম says : 0
    I THINK THAT JURGE IS A RAW AGENT !! THATS FOR SURE
    Total Reply(1) Reply
    • kuli ২০ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৯:১৫ পিএম says : 4
      you have no idea who this mosarraf is.This scumbag is americas agent.he opened the pakistani soil for america like nobody before him did.because of him talibans are suffering to this day.he gave up Dr. afia siddiq to u.s.a and those cia scumbag gang raped her.She is still imprisoned inside america.Majority of pakistan people hate Mossaraf because he is a lapdog of america.

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পাকিস্তান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ