Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঊষাকে থামালো আবাহনী

প্রকাশের সময় : ২৬ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার
ঘরোয়া হকির মর্যাদাপূর্ণ আসর গ্রীণডেল্টা ইন্স্যরেন্স প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা প্রত্যাশী ঊষা ক্রীড়া চক্রের জয়রথ থামালো ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। তবে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ড্র করে ঊষার পয়েন্ট কেড়ে নিলেও শিরোপার লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়লো আকাশী-হলুদরা। গতকাল মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে ঊষা ১-১ গোলে ড্র করে আবাহনীর বিপক্ষে। মিডফিল্ডার রোম্মান সরকারের গোলে আবাহনী এগিয়ে গেলেও ঊষার পাকিস্তানী ফরোয়ার্ড আলিম বেলাল পেনাল্টি কর্নার (পিসি) থেকে গোল করে সমতা আনেন।
আগেই মোহামেডান ছিটকে পড়ায় ঊষা ক্রীড়া চক্র, ঢাকা মেরিনার ইয়াংস এবং আবাহনী লিমিটেড- এই তিন দলের মধ্যেই শিরোপার লড়াইটা হচ্ছিল। কিন্তু ঊষার সঙ্গে ড্র করে মোহামেডনের পথেই যেন হাঁটছে আরেক ঐতিহ্যবাহী ক্লাব আবাহনী। ফলে এখন শিরোপা লড়াই সীমাবদ্ধ হয়ে পড়লো ঊষা এবং মেরিনারের মধ্যে। ১৪ ম্যাচ শেষে ঊষা যেখানে ৩৮ পয়েন্ট পেয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন সমানসংখ্যক ম্যাচে মেরিনার ইয়াংস ৩৭ পয়েন্ট পেয়ে তাদের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে। আর ১৩ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট পাওয়া আবাহনী এখন শিরোপা রেস থেকে অনেকটা দূরেই বলা যায়।
কাল ঊষা-আবাহনী ম্যাচের শুরু থেকেই দু’দল গোল পেতে মরিয়া ছিলো। এক্ষেত্রে এগিয়ে থাকে আবাহনীই। ম্যাচের ১৪ মিনিটে মিডফিল্ডার রোম্মান সরকারের চমৎকার গোলে এগিয়ে যায় অভিজাতপাড়ার দলটি। এসময় মাঝমাঠ থেকে একাই বল নিয়ে এগিয়ে যান রোম্মান। সামনে গতিরোধ করার জন্য প্রস্তুত ছিল উষার রক্ষণভাগ। কিন্তু সেই রক্ষণবুহ্য ভেদ করে কোণাকুণি এক দৌঁড়ে তিনি ঢুকে পড়েন ঊষার বক্সে। স্টিকের মোচড়ে বিভ্রান্ত করেন গোলরক্ষক ও মার্কারকে। সেই সঙ্গে রোম্মার জোড়ালো রিভার্স হিটে বল আছড়ে ফেলেন বোর্ডে (১-০)। গোল হজমের পর তা শোধে মরিয়া হয়েই খেলে ঊষা। তারা প্রতিপক্ষের রক্ষণদুর্ঘে একের পর এক আক্রমণ চালায়। কিন্তু কাশিফ আলি, ফরহাধ আহমেদ শিটুল ও মেহেদি হাসানের সমন্বয়ে গড়া আবাহনী রক্ষণভাগে ফাটল ধরাতে পারেনি উষা। উপরন্তু ২৪ মিনিটে শাফকাত রাসূলের করা পাল্টা আক্রমণে পোস্টের কয়েক ফুট দূর থেকে বল ঠেলতে ব্যর্থ হন মিডফিল্ডার তানজিল আহমেদ। প্রথমার্ধের অন্তিম সময়ে সমতা আনার সুযোগ পেয়েও তা নষ্ট করে ঊষা। পাল্টা আক্রমণ থেকে ডানপ্রান্তে চলে আসেন মিডফিল্ডার নাইমুদ্দিন। সেখানে দাঁড়িয়েই কোণাকুণি হিট করলেও আনমার্ক পুষ্কর খিসা মিমো ফাঁকা পোস্টে বল ঠেলতে পারেননি। পেনাল্টি কর্নার থেকেও গোল শোধে ব্যর্থ হয় ঊষা। আলিম বেলালের করা ড্র্যাগটি নিজের গ্লাভস দিয়ে প্রতিহত করেন আবাহনী গোলরক্ষক অসিম গোপ। দীর্ঘক্ষণ চেষ্টার পর অবশেষে ম্যাচের ৬৫ মিনিটে গোলের দেখা পায় উষা। কৃষ্ণ কুমার, সারোয়ার ও আলিম বেলালের কম্বিনেশনে আসে পিসি থেকে আসে সমতাসূচক গোলটি (১-১)। স্বস্তি ফিরে আসে ঊষা শিবিরে। তবে শেষ হয়েও যেন হলো না শেষ। এত বড় ম্যাচ, অথচ গোলযোগ হবে না? এটা তো হতে পারে না। হকির ললাটে এটা লিখন হয়ে গেছে। নইলে শেষ মিনিটে একটি পেনাল্টি কর্ণারকে (পিসি) কেন্দ্র করে কেনই বা গন্ডগোল হবে। আর কেনইবা খেলা পনের মিনিট বন্ধ থাকবে। গন্ডগোলের কারণে আবাহনীর খেলোয়াড়রা খেলতে অস্বীকৃতি জানায় এবং মাঠ থেকে বেরিয়ে যায়। পরে তারা মাঠে ফিরলেও দশ সেকেন্ড পরেই ম্যাচ শেষের বাশি বাঁজে। ফলে ১-১ গোলের ড্র’তে অমীমাংসিতভাবেই শেষ হয় ম্যাচ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঊষাকে থামালো আবাহনী
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ