কুড়িগ্রামে গত ৫দিন দিন প্রচন্ড শীত দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে কুড়িগ্রাম জেলা জুড়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বইছে। কুয়াশার চাদরে ঢেকে আছে গোটা জনপদ। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা মিলছেনা। দুপুরের পর থেকে পুরো জনপদে তাপমাত্রা কমতে থাকে। ঘন কুয়াশায় সারারাত ও সকাল পেরিয়ে দুপুর পর্যন্ত শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরাই আক্রান্ত হচ্ছে শীতজনিত নানা রোগে।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানায়,বৃহস্পতিবার ভোরে তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। ঘন কুয়াশা আর মেঘে আচ্ছন্ন জেলায় সূর্যের দেখা মিলছে না।।তবে দুই তিনদিনের মধ্যে বড় ধরনের একটি শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে বলে জানায় আবহাওয়া অফিস । এছাড়া হালকা বৃষ্টি পাত হতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।

এদিকে,জেলার চরাঞ্চলসহ নদীতীরবর্তী এলাকার মানুষগুলো ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছে। অনেকে শীতের প্রকোপে আগুন জ্বালিয়ে ঠান্ডা নিবারনের চেষ্টা করছেন।দুরপাল্লার গাড়িগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে রাস্তায় চলাচল করতে দেখা যায়। নদ-নদীর অববাহিকায় দিনের বেলা ঠান্ডা কিছুটা কম থাকলেও রাত ও সকাল বেলা শীতের তীব্রতা বেশি অনুভুত হচ্ছে।এখানকার খেটে খাওয়া মানুষগুলো কাজে যেতে না পারায় পড়েছে চরম বিপাকে।

তাই এ জনপদের মানুষ শীতে কষ্ট লাঘবে শীতবস্ত্রসহ গরম কাপড় সহায়তার দাবি জানিয়েছেন।

এদিকে কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোছাঃ সুলতানা পারভীন জানান, শীতে কোন মানুষের যাতে কষ্ট না হয় সেদিকে আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে।