নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) এবারের আসরে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জিতল খুলনা। রাজশাহীর ছুড়ে দেয়া ১৯০ রানের লক্ষ্য পেরিয়ে গেল ২ বল হাতে রেখেই। এই অর্জণ সম্ভব হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেটর অন্যতম ব্যাটিং ভরসা মুশফিকুর রহিমের বীরত্বপূর্ণ ব্যাটিং প্রদর্শণীতে। দুই ওপেনারের বিদায়ের পর রুশোকে নিয়ে এগিয়েছেন অনেকদূর। এরপর ৪২ রানে রুশো ফিরে গেলে শামসুরের সঙ্গে জুটি গড়ে দলকে জয়ের ভিত গড়ে দেন এই ডানহাতি। শেষ ওভারে জয় থেকে দল যখন মাত্র ২ রান দূরে তখন ক্যাচ আউট হয়ে ফিরে যান মুশফিক। শেষ হয় ৯ চার ও ৪টি ছক্কায় সাজানো ৯৬ রানের ইনিংসটি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
রাজশাহী রয়্যালস : ২০ ওভারে ১৮৯/৪ (লিটন ১৯, জাজাই ১, আফিফ ১৯, মালিক ৮৭, বোপারা ৪০*, রাসেল ১৩*; মিরাজ ০/১৭, আমির ২.৩৬, ফ্রাইলিঙ্ক ১/২৯, শফিউল ০/৩৮, শহীদুল ১/৩৫, আমিনুল ০/৩০)
খুলনা টাইগার্স : ১৯.৪ ওভারে ১৯২/৫ (শান্ত ০, গুরবাজ ৭, রুশো ৪২, মুশফিক ৯৬, শামসুর ২৯, ফ্রাইলিঙ্ক ১৪*, শহীদুল ০*; রাসেল ২/৪১, রাব্বি ১/১৮, আফিফ ১/২৪, রাহী ০/৭, মালিক ০/১৪, বোপারা ১/৩২, কাপালি ১/৩১, তাইজুল ০/১১, রেজা ০/১৪)
ফল : খুলনা ৫ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা : মুশফিকুর রহিম (খুলনা)।
রান তাড়ায় চাপে খুলনা
১৯০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই নাজমুল হোসেন শান্তকে (০) হারায় খুলনা। সেই চাপ কাটতে না কাটতেই আরেক ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ (৭) ফিরে যান আফিফের বলে। তারপর ইনিংস গোছানোর দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন রাইলি রুশো ও মুশফিকুর রহিম। রুশো ২৬ রানে ও মুশফিক ১৮ রানে অপরাজিত আছেন।
৬ ওভার শেষে খুলনার সংগ্রহ ২ উইকেট হারিয়ে ৫৪ রান। জয়ের জন্য ১৪ ওভারে আরও প্রয়োজন ১৩৬ রান। হাতে আছে ৮ উইকেট।
মালিকের ব্যাটে খুলনাকে চ্যালেঞ্জ রাজশাহীর
পাকিস্তানি অলরাউন্ডার শোয়েব মালিকের ৫০ বলে ৮৭ রানের ইনিংসে ভর করে খুলনাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাখল রাজশাহী। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে আন্দ্রে রাসেলের দলের সংগ্রহ ১৮৯ রান। চতুর্থ উইকেটে মালিক ও বোপারা যোগ করেন ১০৬ রান। এই জুটিই মূলত রাজশাহীর বোলারদের জন্য আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। বোপারা অপরাজিত ছিলেন ৪০ রানে। শেষে ৬ বলে ১৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন অধিনায়ক রাসেল। মোহাম্মদ আমির সর্বোচ্চ ২টি উইকেট পেয়েছেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
রাজশাহী রয়্যালস : ২০ ওভারে ১৮৯/৪ (লিটন ১৯, জাজাই ১, আফিফ ১৯, মালিক ৮৭, বোপারা ৪০*, রাসেল ১৩*; মিরাজ ০/১৭, আমির ২.৩৬, ফ্রাইলিঙ্ক ১/২৯, শফিউল ০/৩৮, শহীদুল ১/৩৫, আমিনুল ০/৩০)
মালিক-বোপারার ব্যাটে এগুচ্ছে রাজশাহী
হয়রতউল্লাহ জাজাই ফিরে যাওয়ার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি আরেক ওপেনার লিটন দাসও (১৯)। পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে ফ্রাইলিঙ্কের বলে রুশোর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। এরপর ব্যাট করতে নেমে আক্রমণাত্বক মেজাজে ব্যাটি করতে থাকা আফিফ হোসেনও লম্বা করতে পারেননি তার ইনিংস। ১৭ বলে ২ ছক্কায় ১৯ রান নিয়ে শহীদুলের বলে ক্যাচ আউটে ফেরেন তিনি। এরপর শোয়েব মালিক ও বরি বোপারা ধরেছেন দলের হাল। মালিক ৩৮ রানে ও বোপারা ১১ রানে অপরাজিত আছেন।
১২ ওভার শেষে সংগ্রহ ৩ উইকেট হারি য়ে ৯৪ রান।
ভয়ঙ্কর জাজাইকে ফেরালেন আমির
শুরু থেকেই ভুগছিলেন অস্বস্তিতে। ধীর গতিতে দেখে-বুঝে চালাচ্ছিলেন ব্যাট, ছিলেন সুযোগের সন্ধানে। তবে হজরতউল্লাহ জাজাইকে কোন সুযোগ দেয়নি খুলনা টাইগার্স। নিজের প্রথম ওভারে এসেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠার আগেই এই আফগান ওপেনারকে ফিরিয়েছেন পাকিস্তানের গতি তারকা মোহাম্মদ আমির।
৪ ওভার শেষে ঐ এক উইকেট হারানো রাজশাহী রয়্যালসের সংগ্রহ ২৬।
টস জিতে ফিল্ডিংয়ে খুলনা
বঙ্গবন্ধু বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বে এসে প্রথম টস হাসি হেসেছেন মুশফিকুর রহিম। ঝলমলে দুপুরে রাজশাহী রয়্যালসের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন খুলনা টাইগার্স অধিনায়ক।
বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ঢাকা পর্বে ছিল আটটি ম্যাচ। তারপর দু’দিন বিরতি দিয়ে আজ (মঙ্গলবার) এই ম্যাচ দিয়ে শুরু হলো বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্ব। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দুপুর দেড়টায় এই পর্বের উদ্বোধনী ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে আধিপত্য ধরে রাখতে মাঠে নেমেছে রাজশাহী রয়্যালস। একই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ‘স্বাগতিক’ চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিরুদ্ধে আসরের প্রথম জয়ের লক্ষ্যে লড়বে সিলেট থান্ডার।
১১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে ১৪ তারিখ পর্যন্ত চলে ঢাকা পর্ব। সেখানে আটটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। দু’টি ম্যাচ খেলে এখনও অপরাজিত থেকে ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রাজশাহী। ৩ ম্যাচ খেলে ২ জয় ও এক হার নিয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে ঢাকা প্লাটুন। রান রেটের ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় সমান পয়েন্ট নিয়েও এক নম্বরে রাজশাহী। চট্টগ্রামও ৩ ম্যাচে ২ জয় ও এক হারে ৪ পয়েন্ট নিয়ে আছে তিনে। এক ম্যাচে খেলে জয় পেয়েছে খুলনা। ২ পয়েন্ট নিয়ে তাদের অবস্থান চারে। কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স ২ ম্যাচে এক জয় ও এক হার নিয়ে আছে পাঁচে। সিলেট থান্ডার ও রংপুর রাইডার্স এখনও জয়হীন। তারা যথাক্রমে ছয়ে ও সাতে অবস্থান করছে।
চট্টগ্রামে রং ছড়ানোর আশা
প্রথম পর্ব শেষ করে সব দলের লক্ষ্যই এখন চট্টগ্রাম পর্বকে ঘিরে। ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১২টি ম্যাচ হবে সেখানে। এগিয়ে যাওয়ার জন্য চট্টগ্রাম পর্বে ভালো করার বিকল্প দেখছে না কোন দলই। সবারই লক্ষ্য নিজেদের সেরাটা দেয়ার। আজকের ম্যাচে রাজশাহী খেলবে অপরাজিত থাকার লক্ষ্য নিয়ে। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে সিলেট চাইবে পরাজয়ের বৃত্ত ভাঙতে। তিন ম্যাচে টানা হারের পর চট্টগ্রামে নিজেদের নতুনভাবে মেলে ধরতে চান তারা। তবে প্রথম ম্যাচে রাজশাহী ও খুলনা দু’দলই এখন পর্যন্ত অপরাজিত। তাই লড়াইটা হাড্ডাহাড্ডি হবে, তেমনটাই ভাবছেন সমর্থকেরা। আরেক ম্যাচে চট্টগ্রাম ও সিলেটের মধ্যকার লড়াই গুরুত্বপূর্ণ দু’দলের জন্যই। জয়রথ ধরে রাখতে মরিয়া চট্টগ্রাম। অন্যদিকে হারের লজ্জা থেকে সরে আসার চেষ্টা থাকবে সিলেটের। তবে দুটি ম্যাচেই প্রতিদ্ব›দ্বীতা দেখতে চান দর্শকেরা।
এবারের আসরের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে আছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিপিএলের ঢাকা পর্বে দর্শক টানতে না পেরে অনেকটাই সমালোচনা মুখে পড়েছে সংস্থাটি। এবার চট্টগ্রাম পর্বে কি দর্শক খরা ঘুচাতে পারবেন তারা। দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি চোখে না পড়লেও টিকিটের মূল্য রয়েছে অপরিবর্তিত। তাতে অনেকেরই শঙ্কা চট্টগ্রামেও মুখ ফিরিয়ে নেবে দর্শকেরা। তবে টসের সময় খুব বেশি দর্শক গালারিতে দেখা যায়নি।
আজকের খেলা
খুলনা টাইগার্স-রাজশাহী রয়্যালস, দুপুর দেড়টা
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স-সিলেট থান্ডার, সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম, চট্টগ্রাম
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।