ইনকিলাব ডেস্ক : পরমাণু সরবরাহকারী সংস্থাতে (এনএসজি) অন্তর্ভুক্ত হতে পারল না ভারত। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চীনের প্রেসিডেন্ট শিং জিং পিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেও তার মন গলাতে পারেননি। চীনের আপত্তিতেই এনএসজি বৈঠকের প্রথম দিনে ভারতের সদস্যপদ নিয়ে সিদ্ধান্ত ঝুলেই রইল। ভারতের সদস্যপদের কড়া বিরোধিতা করেছে তুরস্ক, আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, নিউজিল্যান্ড, ব্রাজিল ও চীন। ৪৮ সদস্যবিশিষ্ট এনএসজি’র প্লেনারি বৈঠকের আগে চীন বারবারই বলেছে, ভারতের সদস্যপদের বিষয়টি আলোচ্যসূচিতে নেই। ভারতের আবেদন কোনোরকম আলোচনা রাখতেই চায়নি চীন। যদিও চীনের এই প্রচেষ্টা ভেস্তে যায়। সকালের বৈঠকে জাপান ভারতের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষ নৈশভোজ-পরবর্তী বৈঠকে ভারতের আবেদনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে রাজি হয় সদস্য দেশগুলো।
এনএসজি-র প্লেনারি বৈঠকের সময়েই তাসখন্দে ‘সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন’-এর শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তিনি চীনের প্রধানমন্ত্রী শি জিন পিংয়ের সঙ্গে আলোচনায় এনএসজি-তে ভারতের সদস্যপদের আবেদনের সমর্থনের অনুরোধ জানান। ভারতের সদস্যপদের আবেদনকে ‘যুক্তিসঙ্গতভাবে’ বিচার করতে জিন পিংকে অনুরোধ জানান মোদি। তবে সেই অনুরোধেও চীনের মনোভাবের কোনো পরিবর্তন হয়নি। ভারতের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভারতের বিরোধিতায় চীনের সঙ্গে যোগ দেয় তুরস্ক, আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, নিউজিল্যান্ড, ব্রাজিলও। পরমাণু অস্ত্র প্রসার রোধ চুক্তিতে (এনপিটি) স্বাক্ষর না করায় ভারতকে কীভাবে এনএসজি-তে শামিল করা হবে সেই প্রশ্ন তোলে ওই দেশগুলো। যে দেশগুলো ভারতের বিরোধিতা করেছে তাদের মধ্যে ব্রাজিলের অবস্থান অপ্রত্যাশিত। ব্রিকস জাতিভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ভারত ও চীন ছাড়াও রয়েছে ব্রাজিল, রাশিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা। তাই ব্রাজিলের বিরোধিতা কিছুটা হলেও বিস্মিত করেছে ভারতকে। ভারতের পক্ষে সমর্থন দিতে সিউলে এসেছিলেন দেশটির পররাষ্ট্র সচিব এস জয়শঙ্কর। টাইমস অব ইন্ডিয়া।