Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্রেক্সিট প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের দুই দলে দুই মত

প্রকাশের সময় : ২৬ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের আলাদা হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তকে ভিন্ন ভিন্ন চোখে দেখছে ডেমোক্র্যাট আর রিপাবলিকানরা। রিপাবলিকানদের বেশিরভাগই ইইউ ত্যাগকে ব্রিটিশদের বৃহত্তর সার্বভৌমত্বের আকাক্সক্ষা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে এর সঙ্গে সংহতি জানিয়েছেন। অন্যদিকে গণতান্ত্রিকতার প্রশ্নে ব্রিটিশদের এ রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা রাখলেও ডেমোক্র্যাটরা মনে করছেন, ব্রেক্সিটের কারণে সামনের দিনগুলোতে যুক্তরাজ্যকে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং সম্ভাব্য ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন দুজনই যুক্তরাজ্যের সঙ্গে তাদের দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের উল্লেখ করেছেন। তারা বলেছেন, ব্রিটিশ জনগণের রায়কে শ্রদ্ধা করেন। তবে সামনের চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে তাদের মাঝে। সিলিকন ভ্যালি সফরে গিয়ে বারাক ওবামা বলেন, বিশ্বায়নের কারণে উদ্ভূত পরিবর্তন আর চ্যালেঞ্জগুলোর কথাই বলছে যুক্তরাজ্যের গণভোট। ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বের হয়ে যাওয়ার প্রশ্নে গণভোট আয়োজন এবং যথাযথ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ব্রেক্সিট ইস্যুর অবসানের ব্যাপারে তিনি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ও জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের সঙ্গে কথা বলেছিলেন বলে জানান ওবামা। ব্রেক্সিট ইস্যুতে দেওয়া এক বিবৃতিতে হিলারি ক্লিনটন বলেন, এ ঘটনায় যে ধরনের অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে তা যেন যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত পরিবারগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত না করতে পারে তা নিশ্চিত করাই আমাদের প্রথম কাজ। পরে পররাষ্ট্র দফতরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের কাছে ব্রেক্সিটের ব্যাপারে ডেমোক্র্যাট নেতৃত্বাধীন সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করেন। তিনি বলেন, গণভোটে যে রায় এসেছে তা নিশ্চিভাবেই আমাদের সরকারের কেউ চায়নি। তবে এটি যেহেতু গণতন্ত্রের প্রশ্ন সেক্ষেত্রে আমরা এর সঙ্গে আছি। আমাদেরকে থাকতে হবে। যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সম্পর্কটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যুক্তরাজ্যের সঙ্গে যেসব ইস্যুতে কাজ করছি সেগুলোও খুব গুরুত্বপূর্ণ। আফগানিস্তান, ইউক্রেন, সিরিয়া এবং এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল-যাই বলি না কেন বিভিন্ন ইস্যুতেই আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে পাশে পাই। পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র জন কিরবি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন এ গণভোটের ফলাফলের কারণে যুক্তরাজ্য কিংবা ইইউ কারও সঙ্গেই যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক পরিবর্তিত হবে না। তবে রিপাবলিকানরা আরও অনেক ইতিবাচকভাবেই ব্রিটিশদের স্বাগত জানিয়েছেন। রিপাবলিকানদের দাবি, তারা ব্রিটিশ জনগণের স্বাধীনতার আকাক্সক্ষাকে উপলব্ধি করতে পারেন। যুক্তরাজ্যের গণভোট চলার সময় স্কটল্যান্ডে অবস্থান করছিলেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। গণভোটের ফলাফল পাওয়ার পর পরই ব্রিটিশ জনগণকে স্বাগত জানান তিনি। হাউজ স্পিকার পল রায়ান বলেন, একজন মার্কিন হিসেবে আমরা সার্বভৌমত্ব, আত্মনির্ভরশীলতা, সম্মতির ভিত্তিতে সরকার বাছাইয়ের নীতিমালাকে মূল্য দিয়ে থাকি। স্কটিশ এবং আইরিশদের কাছ থেকে নতুন করে গণভোটের ডাক ওঠার কথা উল্লেখ না করেই তিনি বলেন, যুক্তরাজ্য আমাদের অবিচ্ছেদ্য মিত্র। যুক্তরাজ্যে থাকা আমাদের বন্ধুরা আমাদের অবিচ্ছেদ্য মিত্র। আর এ সম্পর্কটা খুব বিশেষ। যা কিছুই হোক না কেন এ সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে। ব্রেক্সিটকে স্বাগত জানিয়ে সিনেটের পররাষ্ট্র সম্পর্কবিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান বব কর্কার বলেন, একজন মুক্ত মানুষের উচিত নিজের পথ নিজে বেছে নেওয়া। উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকবে নাকি জোটটি থেকে আলাদা হয়ে যাবে সে প্রশ্নে ব্রিটিশরা বৃহস্পতিবার গণভোটে অংশ নেন। শুক্রবার পাওয়া ফলাফলে দেখা যায়, ব্রিটিশ জনগণের রায় ইইউ ছাড়ার পক্ষেই গেছে। দ্য গার্ডিয়ান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ব্রেক্সিট প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের দুই দলে দুই মত
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ