বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পটুয়াখালীর বাউফল ছয় বছর বয়সী শিশু কন্যার সামনে তার শিক্ষক বাবা ও মাকে নির্মম ভাবে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। আহত ওই দম্পত্তিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল রোববার সকালে উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের মদনপুরা গ্রামে ওই ঘটনা ঘটেছে।
ওই শিক্ষকের নাম মো. শহিদুল ইসলাম (৩৬) ও তাঁর স্ত্রীর নাম মোসা. তানিয়া বেগম (৩০)। শহিদুল মদনপুরা দরগাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও আহত শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,২০১৩ সালে মদনপুরা গ্রামের মো. ফয়জর গাজীর কাছ থেকে ১৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ জমি ক্রয় করেন একই গ্রামের শিক্ষক মো. শহিদুল ইসলাম। ফয়জর গাজীর কাছ থেকে ওই জমি বুঝে নিয়ে দীর্ঘদিন ওই জমি শহিদুলের ভোগ-দখলে ছিল। কয়েক মাস আগে ফয়জর গাজী মারা যান। পরে ওই জমি নিয়ে ফয়জর গাজীর দুই ছেলে আলম গাজী (৪৫) ও সোনা গাজীর (৫৫) সঙ্গে শহিদুলের বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে সালিশ হয়। সেই অনুযায়ী ওই জমিতে ধান চাষ করেন শহিদুল। গতকাল সকালে শহিদুল একজন শ্রমিক নিয়ে ওই ধান কাটতে যান। ওই সময় তাঁর সঙ্গে শিশু কন্যা মোসা. জেরিনও (৬) যায়। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে আলম গাজী ও সোনা গাজী আট-দশ জনের একটি দল নিয়ে শহিদুলকে ধান কাটতে বাধা দেন। এ নিয়ে শহিদুলের সঙ্গে তাঁদের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে শহিদুলকে তাঁরা এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে। বাবার ওপর নির্যাতনের দৃশ্য দেখে অবুঝ শিশুটি হাউমাউ করে কাঁদতে থাকেন। পরে সে পৌনে প্রায় পৌনে এক কিলোমিটার পথ দৌঁড়ে বাড়ি গিয়ে মা তানিয়া বেগমকে খবর দেয়। স্বামীকে বাঁচাতে তানিয়া বেগম গেলে তাঁকেও পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
এ বিষয়ে আলম গাজী বলেন,‘ শহিদুল আমাদের জমির ধান কাটতে ছিল। খবর পেয়ে আমরা গিয়ে বাধা দিলে তিনি (শহিদুল) ও তাঁর লোকজন আমাদের উপর হামলা করে তাঁকেসহ তাঁর স্ত্রী মিনারা বেগম (৩৫), তাঁর বড় ভাই সোনা গাজী ও ভাইয়ের স্ত্রী মিনারা বেগমেকে মারধর করে আহত করে।’ একজন মানুষের পক্ষে কিভাবে সম্ভব- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আরও লোকজন ছিল।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,‘এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।