মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মনে করেন তাকে অযথা ‘ইমপিচ’ করা হচ্ছে। তার কোনো দোষ নেই। এক টুইটে রীতমতো ক্ষোভ প্রকাশ করে ট্রাম্প লেখেন, আমি কোনো দোষ করিনি। আমাকে অযথা অভিশংসন করা হচ্ছে। এটা অত্যন্ত অন্যায়। তিনি আরো লেখেন, র্যাডিকাল লেফ্ট আর নিষ্কর্মা ডেমোক্র্যাটরা সকলেরই ঘৃণার পাত্র হয়ে ওঠছেন। আমাদের দেশের পক্ষে তাদের মতো খারাপ আর কিছু হয় না। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ইমপিচ করার প্রস্তাব মার্কিন কংগ্রেসের কমিটি অনুমোদন করায় হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে। হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে প্রতিদ্ব›দ্বী দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির। ফলে সেখানে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাবটি পাস হয়ে যাবে বলেই সকলের ধারণা। তারপর প্রস্তাবটি আসবে ১০০ সদস্যের সেনেটে। সেখানে অবশ্য ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টিরই সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। অপর এক খবরে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব গ্রহণ করেছে কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ। শুক্রবার প্রতিনিধি পরিষদে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়ে ২৩টি আর বিপক্ষে পড়ে ১৭টি ভোট। একই সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং কংগ্রেসের কাজে বাধা দেওয়ার দুটি অভিযোগও উত্থাপন করা হয়েছে। গত ১১ ডিসেম্বর এই অভিযোগ দুটি গঠন করা হয়। এর ফলে আগামী সপ্তাহে প্রতিনিধি পরিষদে অভিশংসন প্রশ্নে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে অনুমোদন পেলেই তৃতীয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের অভিশংসন নিশ্চিত হবে। যদিও চ‚ড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেট। অপরদিকে, মার্কিন সিনেট যদি ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণের পাশাপাশি তাকে তার অফিসে থেকে সরিয়ে দিতে সমর্থ হয় তবে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স প্রেসিডেন্টের পদে আসীন হবেন। এক্ষেত্রে ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হিসেবে যে মেয়াদ ছিল (২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত) তা প‚র্ণ করবেন মাইক পেন্স। মনে করা হচ্ছে ক্ষমতাচ্যুত হচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ কথাই এখন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মাঝে ঘুরপাক খাচ্ছে। কারণ, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারসহ দুটি অভিযোগ অনুমোদিত হয়েছে। শুক্রবার মার্কিন কংগ্রেসের হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ-এর জুডিশিয়ারি কমিটিতে ওই অভিযোগ অনুমোদন পেয়েছে। হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ-এর ম‚ল জুডিশিয়ারি কমিটি ট্রাম্পকে ইম্পিচমেন্ট সংক্রান্ত দুটি আর্টিক্যালের অনুমোদন দিয়েছে বলে জানা গেছে। হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভের জুডিশিয়ারি কমিটিতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অনুমোদন পাওয়া দুটি আর্টিক্যাল হলো : বিচার প্রক্রিয়ায় বাধাদান এবং ক্ষমতার অপব্যবহার। এর ফলে ট্রাম্পের অপসারণের পথ আরও খানিকটা প্রশস্ত হলো। এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে এ বিষয়ে হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ-এ ভোটাভুটি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী বুধবার এ সংক্রান্ত ভোটাভুটি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ক্ষমতায় থেকে কি আদৌ ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন?-এ নিয়ে কংগ্রেসে টানা দুদিন বির্তক চলেছে। এরপর ভোটাভুটির ওপর সাময়িক স্থগিতাদেশ জারি করেন ডেমোক্রেটিক কমিটির চেয়্যারম্যান জেরি ন্যাডলার। আর এতে ক্ষেপে যান রিপাবলিকান সদস্যরা। এরপরই তড়িঘড়ি করে শুক্রবার হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ-এর তদন্ত কমিটিতে ভোটাভুটি হয়। কমিটিতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিপক্ষে ২৩টি এবং পক্ষে ১৭টি ভোট পরেছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে ওই কমিটি ক্ষমতার অপব্যবহারের দুটি অভিযোগেই ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অপসারণ করা হবে কিনা, সেই প্রস্তাবের ওপর আগামী সপ্তাহে হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ-এ বির্তক ও ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হবে। এই হাউজে ডেমোক্র্যাটরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। ফলে এই হাউজে সহজেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ইমপিচ বা অপসারণ করার প্রস্তাব পাস হয়ে যেতে পারে। মার্কিন আইন বলছে, প্রেসিডেন্টকে অপসারণ করতে ৫১ শতাংশ ভোট প্রয়োজন। এরপর সিনেটে এই প্রস্তাব পাশ হওয়া জরুরী। কিন্তু সেখানে আবার রিপাবলিকানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ রয়েছে? ডোনাল্ড টাম্পের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ থাকলেও দুটি অভিযোগকে মেনে নিয়েছে মার্কিন হাউজের জুডিশিয়ারি কমিটি। এক-রাজনৈতিক প্রতিদ্ব›দ্বী জো বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করতে ইউক্রেনের ওপর চাপ তৈরি। দুই-মার্কিন কংগ্রেসের তদন্তে বাধা দান। ট্রাম্প দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছে বলেও অভিযোগ এনেছেন রিপাবলিকানরা। কিন্তু প্রথম থেকেই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ডোনাল্ড ট্রাম্প সে দেশের তৃতীয় প্রেসিডেন্ট যার বিরুদ্ধে এই প্রস্তাব আনা হচ্ছে। ইতিপ‚র্বে ১৯৯৮ সালে বিল ক্লিনটনকে এই পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছিল। রয়টার্স,আল-জাজিরা, সংবাদ প্রতিদিন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।