পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আখাউড়া-সিলেট রেলপথটি ডুয়েলগেজের পাশাপাশি ডাবল লাইনে উন্নীত করার জন্য আধা-সরকারি পত্র (ডিও লেটার) দিয়েছেন চারজন মন্ত্রী। স¤প্রতি রেলপথমন্ত্রী বরাবর সিলেট বিভাগের চার মন্ত্রী ডিও লেটার দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আখাউড়া-সিলেট ডাবল লাইন নির্মাণের বিষয়ে রেলওয়ের মতামত চেয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান, মতামত পজিটিভ হবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। শিগগিরি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। এতে করে আখাউড়া-সিলেট রেলপথটি ডাবল লাইন হতে যাচ্ছে।
আখাউড়া-সিলেট মিটারগেজ রেলপথটি ডুয়েলগেজে রূপান্তর করা হবে। এ জন্য গত আগস্টে একটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে সরকার। ডুয়েলগেজ হলেও সিঙ্গেল লাইনের কারণে প্রকল্পটি বাস্তবায়নেও ট্রেন চলাচল সক্ষমতা বাড়বে না। রেলওয়ে সূত্র জানায়, আখাউড়া-সিলেট রেলপথটি ডাবল লাইন উন্নীত করতে গত আগস্টে ডিও দেন তিন মন্ত্রী। তারা হলেন-সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, মৌলভীবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য ও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়কমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এবং সিলেট-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়কমন্ত্রী ইমরান আহমদ। গত ২৫, ২৬ ও ২৭ আগস্ট ডিও দেন এ তিন মন্ত্রী। একই অনুরোধ জানিয়ে গত ২৪ অক্টোবর ডিও দেন সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঢাকা থেকে আখাউড়া পর্যন্ত রেলপথ ডাবল লাইন রয়েছে। তবে আখাউড়া থেকে সিলেট অংশটি সিঙ্গেল লাইন রেলপথ। এতে ঢাকা বা চট্টগ্রাম থেকে সিলেট রুটে ট্রেন চলাচল বৃদ্ধিতে এ অংশটি বড় প্রতিবন্ধক। এ রেলপথে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে সিঙ্গেল লাইনের কারণে এ রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী দেশের সব রেলপথকে ডুয়েলগেজ ও ডাবল লাইনে উন্নীত করার বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। তাই আখাউড়া-সিলেট রেলপথ ডুয়েলগেজের পাশাপাশি ডাবল লাইন নির্মাণ জরুরি।
রেলওয়ে তথ্য মতে, সিঙ্গেল লাইন হওয়ায় ডুয়েলগেজে রূপান্তর প্রকল্পের আওতায় বিদ্যমান রেলপথের পাশে অস্থায়ী মিটারগেজ আরেকটি লাইন নির্মাণ করতে হবে। আর বিদ্যমান রেলপথ ডুয়েলগেজে রূপান্তরের পর তা তুলে ফেলা হবে। এতে প্রচুর অর্থের অপচয় হবে প্রকল্পটিতে। অথচ প্রায় একই ব্যয়ে ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন নির্মাণ করা সম্ভব। এতে ভবিষ্যতে ডাবল লাইন নির্মাণ পৃথক কোনো প্রকল্প নিতে হবে না। তাই চার মন্ত্রীর অনুরোধের বিষয়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
জানা গেছে, আখাউড়া-সিলেট রেলপথ ডুয়েলগেজ রূপান্তর প্রকল্পের আওতায় ২৩৯ দশমিক ১৪ কিলোমিটার মিটারগেজ রেলপথকে ডুয়েলগেজে রূপান্তর করা হবে। এর মধ্যে ১৭৬ দশমিক ২৪ কিলোমিটার মূল রেলপথ ও ৬২ দশমিক ৯০ কিলোমিটার লুপ লাইন রয়েছে। জিটুজি ভিত্তিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে চায়না রেলওয়ে কনস্ট্রাকশন কোম্পানি। দরপত্র ছাড়াই দরকষাকষির মাধ্যমে এ ঠিকাদার চূড়ান্ত করা হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ১০৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। এতে কিলোমিটারপ্রতি যে ব্যয় পড়ছে, তা অন্যান্য প্রকল্পের কয়েকগুণ বেশি।
এদিকে আখাউড়া-সিলেট মিটারগেজ রেলপথটি ডুয়েলগেজে রূপান্তরের চুক্তি মূল্য ধরা হয়েছে ১৪৯ কোটি ৭৬ লাখ ডলার। এর মধ্যে ৮৫ শতাংশ তথা ১২৭ কোটি ২৯ লাখ ডলার বা প্রায় ১০ হাজার ৬৫৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা ঋণ দেবে চীন। চুক্তি মূল্যের বাকি অর্থ ও অন্যান্য ব্যয় বাবদ পাঁচ হাজার ৪৫০ কোটি আট লাখ বাংলাদেশ সরকার সরবরাহ করবে। প্রকল্পটির ব্যয় বিশ্লেষণে দেখা যায়, রেলপথ নির্মাণে মূল ব্যয় ধরা হয়েছে ৯ হাজার ২৮৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। এর সঙ্গে দর সমন্বয় যুক্ত হবে ২৭ শতাংশ। আর অনিশ্চিত ব্যয় রয়েছে আরও দুই শতাংশ। রয়েছে অন্যান্য খাতের ব্যয়ও। সব মিলিয়ে নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩ হাজার ৯৬৪ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ কিলোমিটারপ্রতি ব্যয় পড়বে ৫৮ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।