পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশের দুই মন্ত্রীর পর জাপানের প্রধানমন্ত্রীও ভারত সফর স্থগিত করেছেন। নরেন্দ্র মোদির সরকারের বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাসের প্রতিবাদে আসামসহ বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ভারত সফর স্থগিত করেন আবে শিনজোও। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের ভারত সফর এড়ানোর পর আবের সরকার এই সিদ্ধান্ত জানায়।
গতকাল শুক্রবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবীশ কুমার টুইটারে এক বার্তায় বলেন, দু’পক্ষ (আবের) এ সফর পেছানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং তা নিকট ভবিষ্যতে পারস্পরিক সুবিধামতো দিনে হবে।
স¤প্রতি সিএবি পাসের জন্য সংসদে উত্থাপনকালে বাংলাদেশকে নিয়ে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ অদ্ভ‚ত বক্তব্য দেন। তিনি পাকিস্তান-আফগানিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের নামও উল্লেখ করে বলেন, ‘এসব দেশে লাখ লাখ মানুষের সঙ্গে ধর্মীয়ভাবে প্রতারণা করা হয়েছে। এই বিলের মাধ্যমে সেসব শরণার্থীদের অধিকার দেয়া হবে। উল্লিখিত তিন দেশ থেকে ভারতে যাওয়া অমুসলিমদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।’
এ নিয়ে দ্বিমত স্পষ্ট করে বক্তব্য দেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। তার বক্তব্যে অসন্তোষও প্রকাশ পায়। এরপর ১২ ডিসেম্বর ড. মোমেন তার প‚র্বনির্ধারিত ভারত সফর বাতিল করেন। অতপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের ১৩ ডিসেম্বর নির্ধারিত মেঘালয় সফর স্থগিত করা হয়।
ভারতের সংবাদমাধ্যম জানায়, ১৫ ডিসেম্বর থেকে তিন দিনের ভারত সফরে আসার কথা ছিল জাপানের প্রধানমন্ত্রী আবের। গত সপ্তাহেই ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবীশ কুমার ঘোষণা দেন ওই সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আবের বৈঠকের কর্মস‚চিও রয়েছে। স‚ত্র বলছিল, সেই বৈঠকের প্রস্তুতি চলছিল আসামের গৌহাটিতে। কিন্তু বিতর্কিত সিএবি পাসের পর আসামজুড়ে বিক্ষোভ-সংঘাত শুরু হলে জাপানের জিজি প্রেস জানায়, আবে তার সফর বাতিলের চিন্তা-ভাবনা করছেন। শেষ পর্যন্ত রবীশ কুমারই জানালেন আবের সফর স্থগিত করার কথা।
কলকাতা ও গৌহাটির সংবাদমাধ্যম বলছে, নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) প্রকাশের পর সিএবি পাসের প্রতিবাদে আসামের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভ দমনে ভারত সরকার সেনা মোতায়েন করে কারফিউ জারি করলেও রাস্তায় নামে লাখো জনতা। বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে এখন পর্যন্ত তিন জন নিহত হওয়ার খবর মিলেছে, আহত হয়েছে আরও অনেক বিক্ষোভকারী।
এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর বাতিলের পর জাপানের প্রধানমন্ত্রী আবের সফরও স্থগিত হয়ে পড়ায় উদ্বেগ বেড়েছে নয়াদিল্লির। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।