নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
শামীম চৌধুরী : ০১৫ সালে বাংলাদেশের মাটিতে পূর্ণাঙ্গ সফর থেকে একটি টেস্ট কম খেলেছে ভারত। দ্বি-পাক্ষিক আলোচনায় সেই বকেয়া টেস্টটি এ বছরের আগস্টে ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এ বছরের আগস্টের শেষ দুই সপ্তাহে একটি শ্লট ফাঁকা রেখে বাংলাদেশ দলকে আতিথ্য দেয়ার প্রতিশ্রæতি দিয়েছিল বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)। ফিউচার ট্যুর প্রজেক্টে (এফটিপি) প্রতিশ্রæতি ওই শ্লটে একটি টেস্টের সঙ্গে সীমিত ওভারের ম্যাচ খেলার সুযোগ চেয়ে বিসিবি আবেদন পর্যন্ত করেছিল বিসিসিআইকে। তবে প্রতিশ্রæতি দিয়েও কথা রাখতে পারেনি বিসিসিআই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যস্ততার কারণে এ বছরের আগস্টের শেষ ২ সপ্তাহে বাংলাদেশ দলকে আতিথ্য দেয়া সম্ভব নয় বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে বিসিসিআই। ৪ টেস্টের সিরিজ খেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর শেষে ভারত ক্রিকেট দল দেশে ফিরে আসার পর আগস্টের শেষ ২ সপ্তাহে ফ্লাড লাইটে ডে-নাইট লংগার ভার্সন টুর্নামেন্ট আয়োজন করবে বিসিসিআই। গোলাপী বলের ওই পরীক্ষামূলক টুর্নামেন্টে ভারতের সকল ক্রিকেটারের অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক করায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পূর্ব নির্ধারিত সিরিজটি বাতিল করেছে বিসিসিআই। এ তথ্য দিয়েছেন বিসিসি সিইও নিজামুদ্দিন চৌধুরী সুজন।
বিসিবিকে সান্ত¦না দিতে সম্প্রতি ২০১৬-১৭ মৌসুমে আন্তর্জাতিক সূচী তৈরির সময়ে বাংলাদেশ দলকে ১টি টেস্টে আতিথ্য দিতে আগামী বছরের ফেব্রæয়ারীকে যথার্থ সময় মনে করে ওই টেস্টটি হায়দারাবাদে আয়োজনের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে বিসিসিআই। তবে বিসিসিআই’র এই প্রতিশ্রæতি দিলেও দিনক্ষণ চূড়ান্ত না করায় দুর্ভাবনা এড়াতে বিকল্প একটি সফর ঠিক করে রেখেছে বিসিবি। গত ১৯ জানুয়ারী বিসিবি’র পরিচালনা পরিষদের সভায় অনুমোদিত হয়েছে ২০১৬-১৭ ক্রিকেট মৌসুমের ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিক সূচী। তাতে আগামী বছরের ফেব্রæয়ারীতে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ভারত সফরের সঙ্গে ৮ ফেব্রæয়ারী থেকে ৭ মার্চ পূর্ণাঙ্গ সিরিজ (২ টেস্ট ৩ ওয়ানডে ২ টি-২০ ম্যাচ) খেলতে শ্রীলংকা সফরের কথা আছে! আগামী ডিসেম্বর-জানুয়ারীতে নিউজিল্যান্ড সফর শেষে এপ্রিল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সূচীতে নেই বাংলাদেশ দলের ব্যস্ততা। ঠিক একইভাবে দ.আফ্রিকা সফর শেষে ফেব্রæয়ারীতে দেশে ফিরে মে মাস পর্যন্ত এফটিপিতে নেই শ্রীলংকা ক্রিকেট দলের কোন দ্বি-পাক্ষিক আন্তর্জাতিক সিরিজ। সে কারণেই এই ফাঁকা শ্লটে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে পূর্ণাঙ্গ সিরিজে আতিথ্য দিতে চায় শ্রীলংকা ক্রিকেট। আগামী ২০১৮ সালের জানুয়ারী-ফেব্রæয়ারীতে শ্রীলংকা ক্রিকেট দলকে আতিথ্য দিবে বিসিবি, ২০১৪ সালে এফটিপি তৈরির সময়ে চূড়ান্ত হয়েছে তা। সে কারণেই তিন ভার্সনের ক্রিকেটে উপরের সারির র্যাংকিংয়ে থাকা দল শ্রীলংকার সঙ্গে শ্রীলংকার মাটিতে বাড়তি একটি সিরিজ পেয়ে বিসিসি বেশ উৎফুল্ল।
বিসিবি যে ক্যালেন্ডার অনুমোদন করেছে, তাতে ২০১৭ সালের ফেব্রæয়ারীর প্রথম সপ্তাহে ভারত সফরের উল্লেখ আছে। পাশাপাশি ২০১৭ সালের ফেব্রæয়ারীর ৮ থেকে ৭ মার্চ পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে শ্রীলংকা সফরেরও কথা আছে। সে কারণেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি আগামী বছরের ফেব্রæয়ারীতে বাংলাদেশ দলের ভারত সফর নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন কোন অনিশ্চয়তা? বিসিবি সিইও নিজামুদ্দিন চৌধুরী সুজন অবশ্য অনিশ্চয়তার কিছু দেখছেন নাÑ ‘ভারত দিন তারিখ জানানোর পর আমরা সিদ্ধান্ত নিব। তবে যতোটুকু জানি, দ.আফ্রিকা সফর শেষে শ্রীলংকা ক্রিকেট দল দেশে ফিরবে ২০ ফেব্রæয়ারী। সুতরাং ফেব্রæয়ারীর প্রথম ২ সপ্তাহে যে শ্লট পাচ্ছি, তাতে ভারত সফরে একটি টেস্ট খেলা সম্ভব। এ ব্যাপারে বিসিসিআই’র সঙ্গে কথা হচ্ছে।’
বিসিসিআই গ্রীন সিগন্যাল দিয়ে বাংলাদেশ দলকে আতিথ্য দিতে দিনক্ষণ চূড়ান্ত করলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেই সফরটিই আগে করতে চায় বিসিসি। টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার ১৬ বছর পেরিয়ে গেলেও একবারও যারা দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ দলকে জানায়নি আমন্ত্রণ। সেই উপেক্ষার জ্বালা জুড়াতে চায় বিসিবি। দ্বি-স্তর বিশিষ্ট টেস্ট প্রথা প্রবর্তিত হলে প্রতীক্ষিত ভারত সফর ঝুলে পড়বে আরো লম্বা সময়। সে কারণেই বিসিসিআই’র গ্রীন সিগন্যালের দিকে তাকিয়ে বিসিবি। দ্বি-পাক্ষিক আলোচনায় আগামী বছরের ফেব্রæয়ারী-মার্চে সুবিধামতো সময়ে শ্রীলংকা সফরসূচী নির্ধারণ তাই এতোটুকু ভাবাচ্ছে না বিসিবিকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।