Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঘরোয়া হকিতে পাকিস্তানী সহোদরের কীর্তি

প্রকাশের সময় : ২৫ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

জাহেদ খোকন : ঘরোয়া হকির মর্যাদাপূর্ণ আর গ্রীণডেল্টা ইন্স্যুরেন্স প্রিমিয়ার লিগে এবার বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে ২০ জন পাকিস্তানী খেলোয়াড় খেলেছেন। লিগে ভালো পারফরমেন্স করে এরা নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণও করেছেন। ঢাকার দর্শকদের নজর কেড়েছেন প্রায় সবাই। এদের মধ্যে দুই সহোদর খেলেছেন পুরান ঢাকার দল বাংলাদেশ স্পোর্টিং ক্লাবে। যাদের অসাধারণ নৈপুণ্যে ছোট দল হয়েও এই ক্লাবটি প্রিমিয়ার হকির প্রথম পর্ব শেষে তালিকার পঞ্চমস্থানে থেকে সুপার সিক্স নিশ্চিত করে। যদিও সুপার সিক্স পর্বে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ স্পোর্টিং তেমন নজর কাড়া পারফরমেন্স দেখাতে পারেনি। তিন ভাইয়ের সবাই হকি খেলোয়াড়। পাকিস্তান জাতীয় দলের সাবেক তিন সদস্য শাহবাজ আলী, শেহজাদ আলী ও সিরাজ আলী বর্তমানে আজারবাইজান ও কাতারের নাগরিকত্ব নিয়ে খেলছেন ওই দু’দেশের জাতীয় দলের হয়ে। তাদের দু’জন শাহবাজ ও সিরাজ আলী। এরা এবার ঢাকায় এসে খেলেছেন বাংলাদেশ স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে।
পাকিস্তানের গুজরা প্রদেশের বাসিন্দা শাহবাজ আলী, শেহজাদ আলী ও সিরাজ আলী পাক জাতীয় দলের সাবেক সদস্য। বর্তমানে শাহবাজ আজারবাইজান এবং শেহজাদ ও সিরাজ কাতারের নাগরিকত্ব নিয়ে সেদেশে খেলছেন। এরই ফাঁকে শেহজাদ ও সিরাজ ঢাকায় এসেছেন খেলতে। তাদের নৈপুণ্যে দারুণ খুশী বাংলাদেশ স্পোর্টিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. হুমায়ুন। তিনি বলেন, ‘শাহবাজ আলী ও সিরাজ আলী দু’জনেই বিশ্বমানের খেলোয়াড়। স্থানীয় খেলোয়াড়দের সঙ্গে তাদের দক্ষতাও আমাদেরকে সহায়তা করেছে। তবে বাকি খেলোয়াড়রা তাদের মতো অভিজ্ঞ নয় বলেই দলের জন্য খুব বেশি কিছু করে দেখাতে পারছেন না এরা।’ সিরাজ আলী বলেন, ‘পাকিস্তানের গুজরা প্রদেশটি হকির জন্য বিখ্যাত। যেখানে জাতীয় হকি দলের সাবেক ও বর্তমান প্রায় ২০০ জন খেলোয়াড় রয়েছেন। ৪৫ জন অলিম্পিয়ান আছেন। বাংলাদেশে কোচিং করিয়ে যাওয়া তাহির জামানও এই প্রদেশের বাসিন্দা। তাই আমরাও তার বাইরে যেতে পারিনি। পরিবারের কেবল আমরা তিন ভাই নই, ভগ্নিপতি আতিফ ইয়াকুবও জাতীয় দলের একজন হকি খেলোয়াড় ছিলেন।’
কাতারে পাঁচ বছর ধরে খেলা শাহবাজ আলীর কথা, ‘উপমহাদেশের অন্য দেশগুলোর মতোই পাকিস্তানের কিশোর-তরুণরা ঝুঁকছে ক্রিকেটের দিকে। তাছাড়া আগে বিভিন্ন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানে হকি খেলোয়াড়দের জন্য চাকরির সুবিধা থাকলেও এখন সেই স্থান দখল করে নিয়েছে ক্রিকেট। তাই হকিতে পড়ন্ত অবস্থা আমাদের দেশে।’ বাংলাদেশের হকি নিয়ে সিরাজের কথা, ‘তুলনামূলকভাবে অনেক এগিয়েছে বাংলাদেশের হকি। বড় দল ঊষা, আবাহনী ও মোহামেডানের সঙ্গে এখন পাল্লা দিচ্ছে মেরিনার ইয়াংস। সমশক্তির দল গঠন করতে ওই চার দলের মতো বিদেশী খেলোয়াড় এনেছে বাংলাদেশ স্পোর্টিং ক্লাবও। এটাই যে কোন দেশের একটি ইভেন্ট উন্নয়নের ধাপ। আশাকরি এদেশের হকি আরও এগিয়ে যাবে।’

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঘরোয়া হকিতে পাকিস্তানী সহোদরের কীর্তি
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ