নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : ঘরোয়া ফুটবলের জনপ্রিয় আসর ওয়ালটন ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের প্রতিপক্ষ হলো ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। গতকাল রাতে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে আবাহনী ২-১ গোলে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রকে হারালে এই লাইনআপ হয়। এই জয়ের ফলে আবাহনী দীর্ঘ ছয়বছর পর ফেডারেশন কাপের ফাইনালে নাম লেখালো। শেষ ২০১০ সালে এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলেছিলো আকাশী-হলুদরা। আগামী সোমবার ফেডারেশন কাপের শিরোপা নির্ধারনী ম্যাচে আবাহনী ও আরামবাগ মোকাবেলা করবে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বিকাল সাড়ে ৩টায় ম্যাচটি শুরু হবে। বিটিভি ওয়ার্ল্ড খেলা সরাসরি সম্প্রচার করবে।
কাল টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনালটি মন ভরে উপভোগ করেছেন বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে উপস্থিত কয়েকশ’ ফুটবল পাগল দর্শক। শুরু থেকেই দু’দল আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ করে খেলায় ম্যাচটি গতিময় হয়ে ওঠে। ফেডারেশন কাপে অন্যতম ফেবারিট হিসেবেই সেমিফাইনাল নাম লেখায় শেখ রাসেল। অন্যদিকে অনেকটা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়েই শেষ চারে এসেছে ঢাকা আবাহনী। কিন্তু সেমিফাইনালে মাঠে নেমে যেন বদলে যায় আকাশী-হলুদরা। শেখ রাসেলকে পাত্তাই যেনো দেয়নি তারা। আবাহনীর আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দের আটকে রাখতে রীতিমতো ঘাম ঝড়াতে হয়েছে রাসেল ডিফেন্ডারদের। ধারাবাহিক আক্রমণের মুখে ম্যাচের শুরতেই এগিয়ে যায় আবাহনী। ৪ মিনিটে ডিফেন্ডার ওয়ালী ফয়সালের ফ্রি কিকে বল পেয়ে ব্যাকহিল করেন নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে সিজোবা। রাসেল বক্সে বল পেয়ে সুযোগ হাতছাড়া করেননি সেনেগালের ফরোয়ার্ড সারা কামারা। তিনি হেডে বল পাঠান শেখ রাসেলর জালে (১-০)।। ২৪ মিনিটে সুযোগ পেয়েছিলো শেখ রাসেলেরও। এসময় বল নিয়ে প্রতিপক্ষ বক্সের বাইরে থেকে শট নেন ক্যামেরুনের ফরোয়ার্ড পল এমিল। কিন্তু তার শটটা খুব একটা জোড়ালো না থাকায় কোন বিপদ ঘটেনি। সহজেই বল গ্রিপ করেন আবাহনী গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেল। এ ম্যাচে যেন জ্বলে উঠেছিলেন আবাহনীর নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে সিজোবা। একটু পর পর তিনি প্রতিপক্ষ গোলমুখে ভীতি ছড়ান। ৩৮ মিনিটে বামপ্রান্ত থেকে সতীর্থকে দারুন এক পাস দিয়েছিলেন এই নাইজেরিয়ান। কিন্তু সুযোগটা কাজে লাগাতে পারলেন না কামারা। তার শট পা দিয়ে ফিরিয়ে দেন রাসেল গোলরক্ষক লিটন। এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় আবাহনী।
দ্বিতীয়ার্র্ধে দু’দলের লড়াইটা ছিলো হাড্ডা হাড্ডি। ব্যবধান বাড়াতে মরিয়া ছিরো আবাহনী। অন্যদিকে সমতায় ফিরতে নিজেদের সর্ব-শক্তি বিলিয়ে দেয় শেখ রাসেল। সফলতা পায় তারাই। ম্যাচের ৬৪ মিনিটে দারুন এক গোলে সমতা আসে। এসময় বাঁমপ্রান্ত থেকে রাসেল ফরোয়ার্ড পল এমিলের পাসে বক্সে বল পেয়ে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে কাটিয়ে বল জালে ঠেলে দেন ফরোয়ার্ড রুম্মন হোসেন (১-১)। সমতায় ফিরলেও খুব বেশিক্ষণ তা ধরে রাখতে পারেনি শেখ রাসেল। ৭৯ মিনিটে দ্বিতীয় গোল পেয়ে যায় আবাহনী। এসময় একক প্রচেষ্টায় বল নিয়ে বামপ্রান্ত দিয়ে রাসেলের সীমনায় ঢুকে পড়েন আবাহনীর সানডে সিজোবা। বক্সের কোনা থেকে জোড়ালো শটে গোল করেন তিনি (২-১)। এরপর আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে খেলা চললেও আর কোন গোল হয়নি। ফলে শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের জয়েই মাঠ ছাড়ে ঢাকা আবাহনী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।