Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চট্টগ্রাম বন্দরে ৪ অবৈধ জেটি-ঘাট উচ্ছেদ

প্রকাশের সময় : ১৮ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো ঃ চট্টগ্রাম বন্দরের সাথে লাগোয়া চ্যানেল ঘেঁষে কর্ণফুলী নদীর তীরে গড়ে ওঠা ৪টি অবৈধ জেটি-ঘাট উচ্ছেদ করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কর্ণফুলীর শাহ আমানত সেতুর নিচে দুই পাশে বালুর বস্তা ও বাঁশ-কাঠ দিয়ে গড়ে তোলা হয় উক্ত ৪টি অবৈধ জেটি-ঘাট। গতকাল (রোববার) চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের অথরাইজড অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আবুল হাশেম ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৪টি জেটি-ঘাট উচ্ছেদ করেছেন। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ অধ্যাদেশ-১৯৭৬ এর আওতায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, স্থানীয় জাহাঙ্গীর মেম্বার, আরজুসহ বেশ ক’জন প্রভাবশালী লোক এসব জেটি পরিচালনা করে আসছিল। জেটি-ঘাটগুলো মূলত কয়লা ও সিমেন্টের বস্তা লাইটারেজ করে সড়কপথে পরিবহনের কাজে ব্যবহার করা হতো। অবৈধ এসব জেটি-ঘাট ব্যবহার করে স্থানীয় একটি সিন্ডিকেট চট্টগ্রাম বন্দরের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বছরে কোটি টাকার ব্যবসা করে আসছে।
উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনাকালে জেটি-ঘাট পরিচালনায় জড়িত কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে কয়লা আমদানিকারক আতিকুর রহমানের পক্ষের কথিত মাঝি বাদল মিয়াকে পাওয়া যায় এবং তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া কয়লা খালাসকারী জাহাজের মাস্টারকেও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অভিযানকালে তাৎক্ষণিকভাবে কয়লা খালাসকারী জাহাজ ‘যামানা-১’ কে দু’দিনের মধ্যে উক্ত আনলোডের স্থান থেকে কয়লা সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। উচ্ছেদ করা জেটিতে ব্যবহৃত কাঠ ও একটি অবৈধ ড্রেজারের পাইপ উন্মুক্ত নিলামে বিক্রি করে ৬৩ হাজার টাকা আদায় করা হয়। তাছাড়া শাহ আমানত সেতুর উত্তর পাশে শিকলবাহা খালের নিকটবর্তী অবৈধভাবে পরিচালিত ‘হাজী এ রহমান ডকইয়ার্ডে’ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অবৈধ এই ডকইয়ার্ডের অফিস সিলগালা করে দেয়া হয়। দু’দিনের মধ্যে ডক খালি করার জন্য উপস্থিত শ্রমিকদের নির্দেশ দেয়া হয়।
এদিকে গতকাল অভিযানকালে ইনল্যান্ড শিপিং অর্ডিন্যান্স ১৯৭৬-এর আওতায় ওভারলোডিং করা এবং অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকার অপরাধে ‘নজির বেপারী’ নামক লাইটারেজ কার্গোজাহাজকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মহানগর পুলিশ, স্থানীয় কর্ণফুলী থানা ও চট্টগ্রাম বন্দরের নিজস্ব আনসার বাহিনীর সহায়তায় পরিচালিত উক্ত উচ্ছেদ অভিযানে বন্দর কর্তৃপক্ষের ভূমি উপ-ব্যবস্থাপক জিল্লুর রহমান এবং ভূমি ও হারবার বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চট্টগ্রাম বন্দরে ৪ অবৈধ জেটি-ঘাট উচ্ছেদ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ