Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কুমিল্লায় সবজির ফলন ও দামে কৃষকরা খুশি

সাদিক মামুন, কুমিল্লা থেকে | প্রকাশের সময় : ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০৯ এএম

কুমিল্লায় ফসলের মাঠ সবুজে সবুজে ভরে ওঠেছে। সারি সারি ফুলকপি, বাঁধাকপি, লাউ, শিম, বেগুন, মুলা, বরবটি, করলা, টমেটো, পালং ও লাল শাকসহ রকমারি শীতকালীন সবজিতে ছেয়ে গেছে কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলার ফসলের মাঠ। সবজির বাম্পার ফলন আর দাম ভালো হওয়ায় খুশিতে কৃষকরা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের হিসেবে এবারে কুমিল্লা জেলায় প্রায় ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে শীতকালিন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করেছেন কৃষকরা।
কুমিল্লার ১৫ উপজেলায় এবারে ১২ হাজার ৯২০ হেক্টর জমিতে শীতকালিন সবজি চাষ হয়েছে। এর মধ্যে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলায় ১হাজার হেক্টর জমিতে শীতকালিন সবজি চাষ হয়েছে ২১ হাজার ৬শ’ মেট্টিকটন। চান্দিনা উপজেলায় ১৪শ’ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে ৩০ হাজার ২৪০ মেট্টিকটন। বুড়িচংয়ে ১৩৩০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে ২৮ হাজার ৭২৮ মেট্টিকটন। ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় ৫৪০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে ১১ হাজার ৬৬৪ মেট্টিকটন সবজি। মুরাদনগরে ১১৩০ হেক্টর জমিতে ২৪ হাজার ৪০৮ মেট্টিকটন সবজি চাষ হয়েছে। সদর দক্ষিণ উপজেলায় ৯শ’ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে ১৯ হাজার ৪৪০ মেট্টিকটন। মনোহরগঞ্জ উপজেলায় ১শ’ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে ১৯ হাজার ৪৪০ মেট্টিকটন সবজি। চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় ৫৯০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ করা হয়েছে ১২ হাজার ৭৪৪ মেট্টিকটন। লাকসাম উপজেলায় ২২০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে ৪ হাজার ৭৫২ মেট্টিকটন। মনোহরগঞ্জ উপজেলায় ১শ’ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে ১৯ হাজার ৪৪০ মেট্টিকটন সবজি। নাঙ্গলকোট উপজেলায় ৩৫০ হেক্টর জমিতে ৭ হাজার ৫৬০ মেট্টিকটন সবজি চাষ হয়েছে। দাউদকান্দিতে ৬৫০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ ১৪ হাজার ৪০ মেট্টিকটন। হোমনায় ৭৫০ হেক্টর জমিতে ১৬ হাজার ২শ’ মেট্টিকটন সবজি চাষ। মেঘনা উপজেলায় ৭শ’ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে ১৫ হাজার ১২০ মেট্টিকটন সবজি এবং তিতাস উপজেলায় ৫শ’ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে ১০ হাজার ৮শ’ মেট্টিকটন শীতকালিন সবজি।
কৃষকরা জানান, চলতি মৌসুমে সবজির দামও বেশ ভালো। সবমিলিয়ে সবজি চাষকেই তারা লাভজনক মনে করছেন। প্রাকৃৃতিক অনুকূল পরিবেশের জন্য এবার উৎপাদিত সবজির ফলন ও দাম বেশ ভালো পাচ্ছেন এবং সামনে ভালো পাবেন বলে তারা মনে করছেন। কৃষকরা আরও জানান, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে কয়েকদিনের অতি বৃষ্টিতে কিছুটা ক্ষতির আশঙ্কা করা হয়েছিলো। তবে সময়মতো পানি নিষ্কাশন করায় সবজির তেমন ক্ষতি হয়নি।
কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক সুরজিত চন্দ্র দত্ত জানান, কৃষি পণ্য উৎপাদনে অন্যান্য জেলার চেয়ে অনেকটা এগিয়ে কুমিল্লা। আবহাওয়া অনুকূল ও সেচের জন্য গোমতি নদীর পানির ব্যবহার এবং মাটি উর্বরতার কারণে কৃষকরা প্রতি বছরই ভালো ফলন পেয়ে থাকেন। শীতকালিন সবজির লক্ষ্যমাত্রা পূরণের বিষয়ে চাষিদের পরামর্শ ও সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। কৃষি বিভাগের সার্বিক সহায়তায় আগামীতে কৃষি পণ্যের আবাদ আরও বাড়বে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কৃষক


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ