নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
রাজশাহী রয়্যালসের আফিফ হোসেন তখন ব্যস্ত সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতায়। পাশ দিয়ে যেতে যেতে খুলনা টাইগার্সের নাজমুল হোসেন শান্ত বললেন, ‘ওর সাথে বেশি কথা বলেন, ও এসএ গেমসে সোনার পদক জিতে এসেছে।’ সোনাজয়ী দলের অধিনায়ক শান্তর সেই কথায় হাসির ফোয়ারা ছুটল। নিজেদের এই সাফল্য নিয়ে এরপর কথা বললেন আফিফও। শোনালেন সোনার পদক জয়ের গর্বের কথা।
আট বছর পর এবার এসএ গেমসে ফিরল ক্রিকেট। কাঠমান্ডু-পোখারায় গতপরশু শেষ হওয়া আসরে সোনার পদক এনেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দল। আফিফ জানান, দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় ক্রীড়া আসরের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত দলের সবাই, ‘আমাদের সবার জন্যই এটা অনেক বড় অর্জন। সোনা জয়ের ভাবনাটা আমাদের সবার মধ্যেই ছিল। আমরা সবাই খুব খুশি। দেশের জন্য এমন কিছু করার সুযোগ সবার আসে না। আমাদের জীবনে এই সুযোগটা এসেছে। আমরা অনেক ভাগ্যবান যে এমন একটি টুর্নামেন্ট খেলতে পেরেছি ও সাফল্য নিয়ে ফিরতে পেরেছি।’
এই গর্ব সঙ্গী করেই এবার বিপিএল মিশন। দলের কণিষ্ঠতম এই সদস্যের তাই ‘গুরু’র শেষ নেই। এই তালিকায় সবার উপরে রাখলেন আন্দ্রে রাসেলের নামই। ক্রিস গেইল না থাকায় আসরের সব আলো এখন পর্যন্ত এই ক্যারিবিয়ানকে ঘিরেই। দুজনের শারীরিক গড়নের পার্থক্য অনেক। আরও বেশি পার্থক্য স্কিলে। আপাতত রাসেল ও আফিফের মিল একটিই- দু’জন একই দলে। সেই সুযোগটাই নিতে চান আফিফ। সমৃদ্ধ করতে চান নিজেকে।
বিপিএলে এবার রাজশাহী রয়্যালসের অধিনায়ক রাসেল। এই ক্যারিবিয়ানের নেতৃত্বে খেলবেন আফিফ। গত বিপিএলে খেলেছিলেন ডেভিড ওয়ার্নানের নেতত্বে। বিশ্ব ক্রিকেটের এই মহাতারকাদের সঙ্গে খেলতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান ভাবছেন বাংলাদেশের তরুণ অলরাউন্ডার, ‘এরকম একজন বিশ্বমানের ক্রিকেটারকে আমরা অধিনায়ক হিসেবে পেয়েছি, আমরা খুবই সৌভাগ্যবান। ওর মতো একজন ক্রিকেটারের সঙ্গে ড্রেসিং রুম ভাগাভাগি করতে পারব, এগুলো শেখার চেষ্টা করব। ওর হাত ধরে আমরা যেন পুরো টুর্নামেন্টে ভালো করতে পারি, সেই আশা করব। আমি অবশ্যই সৌভাগ্যবান যে, এরকম বিশ্বমানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে ড্রেসিং রুমে থাকতে পারছি। এবারও আশা করব, ভালো কিছু শিখতে পারব, যা ভবিষ্যতে কাজে দেবে।’
রাসেলের মতো ক্রিকেটারদের কাছ থেকে শেখার আছে অনেক কিছুই। আফিফ জানালেন, তার কোনটি শেখার তাগিদ বেশি, ‘তার পাওয়ার হিটিং শিখতে চাই। তার কোয়ালিটি একরকম, আমি আরেকরকম। তবে সে যে টেকনিক কাজে লাগায়, সেগুলো থেকে ভালো কিছু যেন করতে পারি, সেই চেষ্টা করব।’
শেখার পাশাপাপাশি পারফরম্যান্সেও আফিফ চান নিজের সেরাটা দিতে। পুনরাবৃত্তি চান না আগের আসরের ভুলগুলোর, ‘প্রতিটি ম্যাচে ভালো পারফর্ম করতে চাই। নিজের সেরাটা দিতে চাই। আগে যে বিপিএলগুলো খেলেছি, সেখানে যে ভুলগুলো করেছি, ওই ভুলগুলো আর না করে আরও ভালো পারফর্ম করার আশা করছি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।