Inqilab Logo

শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

গণমাধ্যমে জাপানের নিপ্পন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান

২০৩০ সালের মধ্যেই কুষ্ঠ নির্মূল | প্রকাশের সময় : ১২ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম

জাপানের নিপ্পন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও জাপান সরকারের মানবাধিকার বিষয়ক শুভেচ্ছা দূত ইউহেই সাসাকাওয়া বলেছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে অবশ্যই কুষ্ঠ নির্মূল হবে। এ বিষয়ে এ দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং সংশ্লি­ষ্ট সবাই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কেন হবে, কিভবে সেটি বড় বিষয় নয়। কেউ যদি কোন লক্ষ্য স্থির করে অগ্রসর হয়, তবে অবশ্যই তিনি সফল হন। এ কারনেই এ দেশ থেকে কুষ্ঠ নির্মূল হবে। গতকাল রাজধানীর হেটেল সোনারগাঁওয়ে কয়েকজন গণমাধ্যম প্রতিনিধির সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি হোটেলর বল রুমে ‘জিরো লেপ্রসি ইনিসিয়েটিভ-২০৩০’ সংক্রান্ত জাতীয় সম্মেলনে-২০১৯-এ বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় নিপ্পন ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম ডিরেক্টর শোতা নাকাউয়েসু উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার লক্ষ্যমাত্রা ছিল চিকিৎসা গ্রহণকারী কুষ্ঠরোগীর সংখ্যা প্রতি দশ হাজার জনগণের মধ্যে ১ জনের নীচে নামিয়ে আনা। বাংলাদেশে ১৯৯৮ সলে সেই লক্ষাত্রা অর্জিত হয়। অর্থাৎ বাংলাদেশ কুষ্ঠ নির্মূলের ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে রয়েছে। তবে এখনো দেশের কয়েকটি জেলা উপজেলায় এ রোগের বিস্তার রয়েছে। সমন্বিতভাবে কাজ করলে দ্রুত এটি নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব।
তিনি বলেন, চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় কুষ্ঠ একটি সংক্রামক রোগ। না জানা এবং না বোঝার কারনে অনেকে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন এবং পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করণের মাধ্যমে কুষ্ঠ প্রতিরোধ করা সম্ভব। গবেষণায় দেখাগেছে, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে বসবাস করনে এবং অপুষ্ঠিতে ভোগেন এমন লোকরাই কুষ্ঠতে আক্রান্ত হয়ে থাকে। ইতিপূর্বে আন্তর্জাতিক কুষ্ঠ সম্মেলনেও পুষ্টির বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়া কুষ্ঠ নির্মূলে দ্রত রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরী।
সাসাকাওয়া বলেন, কুষ্ঠ নির্মূলে সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরিবারে এক জনের কুষ্ঠ হলে পরিবারের অন্যদেরও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার আওতায় আনতে হবে। এছাড়া স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ বিষয়ে সচেতনতামূলক ধারনা দেয়া যেতে পারে। সচেতন হলে কুষ্ঠ আক্রান্ত হওয়ার পরেও পঙ্গুত্ব থেকে নিরাপদ থাকা সম্ভব। তাই সর্বোস্তরে এ সংক্রান্ত গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।
প্রসঙ্গেত, ইউহেই সাসাকাওয়া জাপানের নিপ্পন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও জাপান সরকারের মানবাধিকার বিষয়ক শুভেচ্ছা দূত। তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কুষ্ঠ বিষয়ক শুভেচ্ছাদূতের দায়িত্ব পালন করছেন। বিশ্বব্যাপি কুষ্ঠ নির্মূলে যে অর্থ ব্যয় হয় তার প্রধান দাতা তিনিই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গণমাধ্যম


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ