মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচল লস্কর-ই-তৈয়বার প্রধান হাফিজ সাইদের ছেলে তালহা সাইদ। গত শনিবার বিকেলে পাকিস্তানের এক ফ্রিজের দোকানে বোমা বিস্ফোরণে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়, আহত হন সাত লস্কর সমর্থক। এক নিউজপোর্টালের দাবি, ওই দোকানেই তখন ধর্ম-সম্মেলনে বক্তৃতা দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিল তালহা। বিস্ফোরণে আহত হয় সে-ও। লাহোরের মাল্টিস্পেশ্যালিটি জিন্না হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে। তবে পাক পাঞ্জাব প্রশাসন বা হাফিজের নিষিদ্ধ সংগঠন জামাদ-উদ-দাওয়া কেউই এ খবরের সত্যতা স্বীকার করেনি।
পুলিশ প্রথমে শুধু জানিয়েছিল, বিষয়টি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ। তা-ও আকস্মিক। গ্যাস রিফিল করার সময় তা ফেটে যায় বলে দাবি করেছিল পুলিশ। নিহতের নাম হাফিজ মেহমুদ। তবে ওই নিউজপোর্টালের দাবি, আসলে লাহোরের টাউনশিপ কলেজ রোডের এক ফ্রিজ সারানোর দোকানে ধর্ম সম্মেলনে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। এতেই শেষ নয়। স্থানীয় সাংবাদিক যারা সেই ঘটনার বর্ণনা জোগাড় করতে এসেছিলেন তাদের লাহোর পুলিশ জানিয়ে দেয়, যে সরকারি ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে তার বাইরে যেন তারা আর কোনও ধরনের খোঁজখবর করার চেষ্টা না করেন।
সূত্রের মতে, সে দিনের বিস্ফোরণ যে তালহাকে হত্যা করতেই সে ব্যাপারে এক রকম নিশ্চিত লস্কর নেতারা। তবে এর নেপথ্যে কারা, তা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত ওই জঙ্গিগোষ্ঠী। একাংশ মনে করে, ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা ‘র’-এর কাজ এটি, অন্য অংশের মত গোষ্ঠীর ভেতরেই বিক্ষুব্ধ নেতারা এই ষড়যন্ত্রের করেছিলেন।
তালহা এখন লস্কর-ই-তৈয়বার সেকেণ্ড-ইন-কম্যান্ড। বাবার উত্তরসূরি হিসেবে সংগঠনের আর্থিক লেনদেন থেকে শুরু করে সামগ্রিক নিয়ন্ত্রণ তার হাতে চলে যাওয়ায় তালহার উপর অনেক নেতাই ক্ষুব্ধ। এই হামলার পর বিশেষজ্ঞদের অনেকেই তাই বলছেন, জোর দিয়ে হামলাকারীর নাম বলা না গেলেও সবসময় নিরাপত্তার কড়া বলয়ের মধ্যে থাকা লস্কর সংগঠনের মধ্যে যে সবকিছু ঠিকঠাক নেই, তা স্পষ্ট।
উল্লেখ্য, শনিবারের ঘণ্টাখানেক আগেই লাহোরের সন্ত্রাসদমন আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছিল হাফিজ সাইদকে। কিন্তু জঙ্গি কার্যকলাপে আর্থিক মদত দেওয়ার ওই মামলাতেই আর এক অভিযুক্তকে পেশ করতে না পারায় তার অপরাধ প্রমাণ করা যায়নি। সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।