মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : চীনের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ জিয়াংসুতে টর্নেডো ও শিলাবৃষ্টিতে অন্ততপক্ষে ৯৮ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন শত শত মানুষ। গত বৃহস্পতিবারের এ প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রদেশটির বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত এবং ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রবল বৃষ্টি, শিলাঝড় ও টর্নেডোতে ইয়ানচেং শহরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অনেক ঘরবাড়ির বিধ্বস্ত হয়েছে। অনলাইন গণমাধ্যমে পোস্ট করা ছবিতে বিধ্বস্ত বাড়ি ও উল্টে যাওয়া গাড়িতে আহত মানুষজনকে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে রাস্তায় পড়ে আছে। ঘন্টায় ৭৮ মাইল বেগে ঝড়োবাতাস প্রদেশটির বেশ কয়েকটি শহরে তা-ব চালিয়ে যায়। রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত চায়না ন্যাশনাল রেডিও গতকাল শুক্রবার তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, জিয়াংসুতে টর্নেডো ও শিলাবৃষ্টিতে ৯৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং অপর ৮০০ জন আহত হয়েছেন। এই দুর্যোগ নিয়ে প্রাদেশিক পর্যায়ের বৈঠকের সূত্রে রেডিওটি এই পরিসংখ্যান উল্লেখ করেছে। এর আগে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে মৃতের সংখ্যা ৭৮ ও আহতের সংখ্যা ৫০০ জন বলে প্রচার করা হয়েছিল। অনলাইনে পোস্ট করা ছবিগুলোতে দেখা যায়, বিধ্বস্ত বাড়ি-ঘরের সামনে মানুষেরা বসে আছেন। গাড়ি উল্টে আছে, গাছ উপড়ে গেছে এবং বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়েছে। বর্তমানে উজবেকিস্তান সফররত চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ব্যাপক উদ্ধার তৎপরতার ঘোষণা দেন। তিনি চীনের মন্ত্রিসভাকে ত্রাণ তৎপরতা পর্যবেক্ষণে একটি দল পাঠানোর নির্দেশ দেন।
প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং কর্তৃপক্ষকে তল্লাশি ও উদ্ধার তৎপরতা চালানোর পাশাপাশি আহতদের চিকিৎসার নির্দেশ দেন। এর আগে চলতি সপ্তাহের প্রথমদিকে দক্ষিণ চীনে মারাত্মক বন্যায় অন্ততপক্ষে ২২ জনের মৃত্যু ও ২০ জন নিখোঁজ হন। অপর এক খবরে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার চীনের ইয়াঞ্চেং শহরের কাছে এই ঘূর্ণিঝড়ের উৎপত্তি হয়। এতে নিহতের পাশাপাশি অনেক মানুষ আহত হয়েছেন। শহরের রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে গেছে। এদিকে চীনের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলে বেশ কয়েকদিন যাবত ঝড়ো আবহাওয়া ও ভারী বর্ষণে প্রবল বন্যা হচ্ছে। বন্যায় অনেকেই হতাহত হয়েছেন। চীনে প্রাকৃতিক দুর্যোগ নতুন কিছু নয়। বিশেষ করে বন্যা ও ভূমিকম্প। চলতি বছরে চীনে রেকর্ড পরিমাণ বন্যা হয়েছে। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশ্বব্যাপী প্রাকৃতিক দুর্যোগের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। উষ্ণ তাপমাত্রার পাশাপাশি দাবানল, খরা, বন্যা ইত্যাদি মারাত্মক রূপ নিয়েছে। সিনহুয়া, এপি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।